প্রকল্পের সময়ের ৫১ দিন আগেই শেষ হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ভায়াডাক্ট-২ এর সেগমেন্টাল গার্ডার বসানোর কাজ। গত ৩ মে পিয়ার এম০১ ও পিএন১ এর ওপর বক্স গার্ডারের শেষ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে এ কাজ শেষ হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী ডি এন মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পিবিআরএলপি’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন এ. চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্ট কনসোর্টিয়ামের চিফ কো-অর্ডিনেটর অফিসার (সিওও) মেজর জেনারেল জাহিদ এবং চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) প্রকল্প পরিচালক ওয়্যাং কুন শেষ স্প্যান বসানোর সময় উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআরএলপি’র ভায়াডাক্ট-২ এর মোট দৈর্ঘ্য ২৫৮৯.২ মিটার। এ সেগমেন্টাল বক্স গার্ডার ভায়াডাক্টটির ৬৫টি স্প্যান রয়েছে, এর মধ্যে চারটি স্প্যান ৩৪ মিটার এবং ৬১টি স্প্যান ৩৮ মিটার। সবমিলে ৭৭৬টি সেগমেন্ট রয়েছে। বাংলাদেশে সিআরইসি’র সেতু নিমার্ণে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থা বিবেচনা করে চায়না রেলওয়ে এরইউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের (সিআরইইসি) ডিজাইনাররা এবং চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের (এমবিইসি) টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন অনুসরণ করেছেন এবং পুরু সুপার সিল্টি সূক্ষ্ম বালির স্তর স্থিতিশীল করতে বেন্টোনাইট স্লারি ও পলিমার স্লারি ব্যবহার করে বোর্ড পাইল নির্মাণের অসুবিধা দূর করেছেন, যার মাধ্যমে পাইল নকশা ও নির্মাণ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তিনটি বড় আকারের আধুনিক বক্স গার্ডার প্রিকাস্ট ইয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। কংক্রিট বক্স গার্ডার প্রিফ্যাব্রিকেশন ও অ্যাসেম্বলি প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা সেগমেন্টের দৃঢ় কাঠামো ও নান্দনিকতা নিশ্চিত করেছে, পাশাপাশি দ্রুত নির্মাণের ভিত্তি তৈরি করেছে।
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মাওয়া, ভাঙ্গা, শিবচর ও জাঞ্জিরায় স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা জংশন স্টেশন হবে এবং রেল লাইনের মাধ্যমে চারটি গন্তব্যকে সংযুক্ত করবে। বিদ্যমান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন এনে আমরা একে একটি আইকনিক স্টেশনে পরিণত করবো। অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ শেষ করছে বলে আমি আমাদের কনস্ট্রাকশন গ্রুপ সিআরইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বৈশ্বিক মহামারির আঘাত সত্ত্বেও, তাদের কাজ ও ধারাবাহিকতা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিআরইসিকে প্রশংসাপত্র দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’
সিআরইসি’র প্রতিনিধি ওয়্যাং কুন বলেন, ‘সিআরইসি অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ছিলো প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশার অনুমোদন ও পেমেন্ট প্রদানে দেরি হওয়ার ফলে প্রকল্পের কাজে দেড় বছরের কালক্ষেপণ। পাশাপাশি, আরও ছিলো বৈশ্বিক মহামারি ও বন্যার ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা। পাইলিং এর কাজ থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু বক্স গার্ডার নির্মাণ কাজের পূর্ণ বাস্তবায়ন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভায়াডাক্ট নির্মাণে সময় লেগেছে দেড় বছর। পিএমবিপি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত স্প্যান ছাড়া, ভায়াডাক্ট-৩ এর শেষ স্প্যানও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বসবে। বাংলাদেশে সেতু নির্মাণে সিআরইসি চীনা নির্মাণ গতির ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। জুন মাসে পিবিআরপিএল’র মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ট্র্যাক স্থাপনের পূর্ববর্তী কাজ প্রায় সমাপ্ত হবে এবং ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শুরু হবে। যদি এ লক্ষ্য অর্জন করা যায়, তবে আড়াই বছরের মধ্যে একটি নতুন রেল লাইন তৈরি হবে এবং চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে।’
শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১
প্রকল্পের সময়ের ৫১ দিন আগেই শেষ হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের (পিবিআরএলপি) ভায়াডাক্ট-২ এর সেগমেন্টাল গার্ডার বসানোর কাজ। গত ৩ মে পিয়ার এম০১ ও পিএন১ এর ওপর বক্স গার্ডারের শেষ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে এ কাজ শেষ হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী ডি এন মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পিবিআরএলপি’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন এ. চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল কনসালটেন্ট কনসোর্টিয়ামের চিফ কো-অর্ডিনেটর অফিসার (সিওও) মেজর জেনারেল জাহিদ এবং চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি) প্রকল্প পরিচালক ওয়্যাং কুন শেষ স্প্যান বসানোর সময় উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআরএলপি’র ভায়াডাক্ট-২ এর মোট দৈর্ঘ্য ২৫৮৯.২ মিটার। এ সেগমেন্টাল বক্স গার্ডার ভায়াডাক্টটির ৬৫টি স্প্যান রয়েছে, এর মধ্যে চারটি স্প্যান ৩৪ মিটার এবং ৬১টি স্প্যান ৩৮ মিটার। সবমিলে ৭৭৬টি সেগমেন্ট রয়েছে। বাংলাদেশে সিআরইসি’র সেতু নিমার্ণে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থা বিবেচনা করে চায়না রেলওয়ে এরইউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের (সিআরইইসি) ডিজাইনাররা এবং চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের (এমবিইসি) টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন অনুসরণ করেছেন এবং পুরু সুপার সিল্টি সূক্ষ্ম বালির স্তর স্থিতিশীল করতে বেন্টোনাইট স্লারি ও পলিমার স্লারি ব্যবহার করে বোর্ড পাইল নির্মাণের অসুবিধা দূর করেছেন, যার মাধ্যমে পাইল নকশা ও নির্মাণ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তিনটি বড় আকারের আধুনিক বক্স গার্ডার প্রিকাস্ট ইয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। কংক্রিট বক্স গার্ডার প্রিফ্যাব্রিকেশন ও অ্যাসেম্বলি প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা সেগমেন্টের দৃঢ় কাঠামো ও নান্দনিকতা নিশ্চিত করেছে, পাশাপাশি দ্রুত নির্মাণের ভিত্তি তৈরি করেছে।
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মাওয়া, ভাঙ্গা, শিবচর ও জাঞ্জিরায় স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা জংশন স্টেশন হবে এবং রেল লাইনের মাধ্যমে চারটি গন্তব্যকে সংযুক্ত করবে। বিদ্যমান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন এনে আমরা একে একটি আইকনিক স্টেশনে পরিণত করবো। অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ শেষ করছে বলে আমি আমাদের কনস্ট্রাকশন গ্রুপ সিআরইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বৈশ্বিক মহামারির আঘাত সত্ত্বেও, তাদের কাজ ও ধারাবাহিকতা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিআরইসিকে প্রশংসাপত্র দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’
সিআরইসি’র প্রতিনিধি ওয়্যাং কুন বলেন, ‘সিআরইসি অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ছিলো প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশার অনুমোদন ও পেমেন্ট প্রদানে দেরি হওয়ার ফলে প্রকল্পের কাজে দেড় বছরের কালক্ষেপণ। পাশাপাশি, আরও ছিলো বৈশ্বিক মহামারি ও বন্যার ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা। পাইলিং এর কাজ থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু বক্স গার্ডার নির্মাণ কাজের পূর্ণ বাস্তবায়ন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভায়াডাক্ট নির্মাণে সময় লেগেছে দেড় বছর। পিএমবিপি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত স্প্যান ছাড়া, ভায়াডাক্ট-৩ এর শেষ স্প্যানও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বসবে। বাংলাদেশে সেতু নির্মাণে সিআরইসি চীনা নির্মাণ গতির ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। জুন মাসে পিবিআরপিএল’র মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ট্র্যাক স্থাপনের পূর্ববর্তী কাজ প্রায় সমাপ্ত হবে এবং ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শুরু হবে। যদি এ লক্ষ্য অর্জন করা যায়, তবে আড়াই বছরের মধ্যে একটি নতুন রেল লাইন তৈরি হবে এবং চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে।’