ডিজিটাল নাগরিকত্ব ও অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে দিনব্যাপী একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ। মূলত নারী-পুরুষের সমাধিকার এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এরকম ৩০টিরও বেশি বাংলাদেশি তৃণমূল সংগঠনের ৮০জনেরও অধিক অংশগ্রহণকারী অনুষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটিতে ফেসবুকের প্রতিনিধিগণ বিভিন্ন সেশন পরিচালনার মাধ্যমে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মাঝে প্রধানত ডিজিটাল শেয়ারিং, প্রাইভেসি টুলস ও অনলাইনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা বক্তব্য রাখেন।
ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিকের পলিসি প্রোগ্রামের পরিচালক বেথ অ্যান লিম বলেন, “নারীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে বিশ^ জুড়ে নারীরা নিজেদের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন। ফেসবুক বাংলাদেশসহ সারাবিশে^ ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও নাগরিকত্ব, রেজিলেন্সি ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবসময়ই নারী নেতৃত্বাধীন ও নারীর কল্যাণে বিনিয়োগ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করার পাশাপাশি তাদের বৃদ্ধির জন্য কাজ করে এসেছি। সেজন্য বাংলাদেশে ইউএন উইমেনের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
কর্মশালাটি এই বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শুরু হওয়া ফেসবুক ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় আয়োজিত হয়েছে। এই যৌথ উদ্যোগের সূচনা হয় বাংলাদেশী নারীদের নেতৃত্ব এবং তাদের জীবনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা নিয়ে “লেড বাই হার” শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইনের দ্বারা। তাছাড়া এর আওতায় ফেসবুক এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশ একই ক্ষেত্রের ভিন্ন বয়সের নারীদের মধ্যে একটি ধারাবাহিক সংলাপের আয়োজন করবে।
ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রধান শোকো ইশিকাওয়া বলেন, ডিজিটাল স্পেস জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে যা সমাজে ইতোমধ্যে প্রচলিত সহিংসতার গ্রহণযোগ্যতার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখছে। ইতিবাচক বিষয়বস্তু এবং নারী বিদ্বেষ বিরোধী সংলাপ তৈরির ক্ষেত্রে নারীদেও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারী ও বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়গুলোর সাথে কাজ করছে ইউএন উইমেন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এই অংশীদারিত্বের জন্য আমরা ফেসবুককে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করছি নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোকে আরও কার্যকরভাবে ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার করতে এবং আরও সম্মিলিত সম্প্রদায় গঠনের ক্ষেত্রে এটি সহায়তা করবে।
নিজেদের নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করতে ফেসবুক নিয়মিতভাবে বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে নিরাপদ ডিজিটাল ক্ষেত্র তৈরি করার লক্ষ্যে, বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষার জন্য ফেসবুকের বেশ কিছু উদ্যোগের মধ্যে একটি এই কর্মশালা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আরও দায়িত্বশীল অনলাইন সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের।
রোববার, ০৯ মে ২০২১
ডিজিটাল নাগরিকত্ব ও অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে দিনব্যাপী একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশ। মূলত নারী-পুরুষের সমাধিকার এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে এরকম ৩০টিরও বেশি বাংলাদেশি তৃণমূল সংগঠনের ৮০জনেরও অধিক অংশগ্রহণকারী অনুষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটিতে ফেসবুকের প্রতিনিধিগণ বিভিন্ন সেশন পরিচালনার মাধ্যমে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মাঝে প্রধানত ডিজিটাল শেয়ারিং, প্রাইভেসি টুলস ও অনলাইনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা বক্তব্য রাখেন।
ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিকের পলিসি প্রোগ্রামের পরিচালক বেথ অ্যান লিম বলেন, “নারীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে বিশ^ জুড়ে নারীরা নিজেদের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন। ফেসবুক বাংলাদেশসহ সারাবিশে^ ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও নাগরিকত্ব, রেজিলেন্সি ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবসময়ই নারী নেতৃত্বাধীন ও নারীর কল্যাণে বিনিয়োগ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করার পাশাপাশি তাদের বৃদ্ধির জন্য কাজ করে এসেছি। সেজন্য বাংলাদেশে ইউএন উইমেনের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
কর্মশালাটি এই বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শুরু হওয়া ফেসবুক ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় আয়োজিত হয়েছে। এই যৌথ উদ্যোগের সূচনা হয় বাংলাদেশী নারীদের নেতৃত্ব এবং তাদের জীবনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা নিয়ে “লেড বাই হার” শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইনের দ্বারা। তাছাড়া এর আওতায় ফেসবুক এবং ইউএন উইমেন বাংলাদেশ একই ক্ষেত্রের ভিন্ন বয়সের নারীদের মধ্যে একটি ধারাবাহিক সংলাপের আয়োজন করবে।
ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রধান শোকো ইশিকাওয়া বলেন, ডিজিটাল স্পেস জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে যা সমাজে ইতোমধ্যে প্রচলিত সহিংসতার গ্রহণযোগ্যতার প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখছে। ইতিবাচক বিষয়বস্তু এবং নারী বিদ্বেষ বিরোধী সংলাপ তৈরির ক্ষেত্রে নারীদেও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারী ও বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়গুলোর সাথে কাজ করছে ইউএন উইমেন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এই অংশীদারিত্বের জন্য আমরা ফেসবুককে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করছি নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোকে আরও কার্যকরভাবে ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার করতে এবং আরও সম্মিলিত সম্প্রদায় গঠনের ক্ষেত্রে এটি সহায়তা করবে।
নিজেদের নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করতে ফেসবুক নিয়মিতভাবে বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে নিরাপদ ডিজিটাল ক্ষেত্র তৈরি করার লক্ষ্যে, বিশেষ করে নারীদের সুরক্ষার জন্য ফেসবুকের বেশ কিছু উদ্যোগের মধ্যে একটি এই কর্মশালা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আরও দায়িত্বশীল অনলাইন সম্প্রদায় গড়ে তোলার জন্য কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের।