বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ তরুণকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সহায়তা করবে হুয়াওয়ে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সরকার, বিশ^বিদ্যালয় এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের সাথে কাজ করবে। ২০ মে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ট্যালেন্ট রিজিওনাল সামিট অনলাইনে এ কথা জানান হুয়াওয়ের মুখপাত্র।
‘কালটিভেটিং এ ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম ফর ইনক্লুসিভ ডিজিটাল প্রোসপারিটি’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সামিটে ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি পূরণ এবং মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে কীভাবে ডিজিটাল রূপান্তরকে প্রভাবিত করা যায় এবং তরুণদের কীভাবে এতে আরও বেশি সংযুক্ত করা যায় সেসব নিয়ে আলোচনায় তিন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবগণ, ইউনেস্কো বাংলাদেশ; শিক্ষকবৃন্দ এবং আইসিটি খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিগণ সামিটে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট) এর উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, হেড অব অফিস এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন সামিটে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সামিটে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন বলেন, আমরা বিশ^াস করি, ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও স্থায়ী ডিজিটাল ভবিষ্যতের মূলভিত্তি। অনেক দেশই ডিজিটাল মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে হুয়াওয়ে এই অঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও নেপালে এক লাখেরও বেশি আইসিটি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি এবং একটি ডিজিটাল ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম নির্মাণ করবে বলে প্রত্যাশা করছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল ট্যালেন্ট তৈরির এখনি সঠিক সময়। করোনা মহামারি সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, হুয়াওয়ে দেশের ডিজিটালাইজেশনে এবং তরুণ সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। তাদের সহায়তায় আমাদের তরুণ সমাজ শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছে। এই ধরনের অংশীদারিত্ব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আমাদের তরুণদের প্রস্তুত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সামিটের প্যানেল আলোচনায় এই অঞ্চলের বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন এবং তারা এই ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সুপারিশসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, এ বৈশি^ক মহামারি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে থাকতে হবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যদি আমরা আইসিটি খাতে তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি। এজন্য, আইসিটি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাওয়া উচিৎ। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সহযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে একসাথে কাজ করে আসছি। আজকের আয়োজনের লক্ষ্য উদ্ভাবনের চাকা সচল রাখা, আর এমন সময়োপযোগী একটি সামিট আয়োজনের জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে আমাদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, মূলধারার ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশ এবং ডিজিটাল শিক্ষা বিষয়ক রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে ইউনেস্কোর সাথে অংশীদারিত্বে হুয়াওয়ে ‘টেকফরঅল’ উদ্যোগ নিয়ে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে এ পরিকল্পনা বিস্তৃত করার। এটা দীর্ঘমেয়াদী ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ যার লক্ষ্য বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষকে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন।
বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ তরুণকে ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সহায়তা করবে হুয়াওয়ে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সরকার, বিশ^বিদ্যালয় এবং শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের সাথে কাজ করবে। ২০ মে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ট্যালেন্ট রিজিওনাল সামিট অনলাইনে এ কথা জানান হুয়াওয়ের মুখপাত্র।
‘কালটিভেটিং এ ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম ফর ইনক্লুসিভ ডিজিটাল প্রোসপারিটি’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সামিটে ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি পূরণ এবং মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে কীভাবে ডিজিটাল রূপান্তরকে প্রভাবিত করা যায় এবং তরুণদের কীভাবে এতে আরও বেশি সংযুক্ত করা যায় সেসব নিয়ে আলোচনায় তিন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবগণ, ইউনেস্কো বাংলাদেশ; শিক্ষকবৃন্দ এবং আইসিটি খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিগণ সামিটে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট) এর উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, হেড অব অফিস এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন সামিটে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সামিটে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে চেন বলেন, আমরা বিশ^াস করি, ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও স্থায়ী ডিজিটাল ভবিষ্যতের মূলভিত্তি। অনেক দেশই ডিজিটাল মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে হুয়াওয়ে এই অঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও নেপালে এক লাখেরও বেশি আইসিটি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি এবং একটি ডিজিটাল ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম নির্মাণ করবে বলে প্রত্যাশা করছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল ট্যালেন্ট তৈরির এখনি সঠিক সময়। করোনা মহামারি সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, হুয়াওয়ে দেশের ডিজিটালাইজেশনে এবং তরুণ সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। তাদের সহায়তায় আমাদের তরুণ সমাজ শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছে। এই ধরনের অংশীদারিত্ব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় আমাদের তরুণদের প্রস্তুত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সামিটের প্যানেল আলোচনায় এই অঞ্চলের বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন এবং তারা এই ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সুপারিশসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, এ বৈশি^ক মহামারি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে থাকতে হবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যদি আমরা আইসিটি খাতে তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি। এজন্য, আইসিটি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও বুয়েটের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাওয়া উচিৎ। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সহযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে একসাথে কাজ করে আসছি। আজকের আয়োজনের লক্ষ্য উদ্ভাবনের চাকা সচল রাখা, আর এমন সময়োপযোগী একটি সামিট আয়োজনের জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে আমাদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, মূলধারার ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশ এবং ডিজিটাল শিক্ষা বিষয়ক রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে ইউনেস্কোর সাথে অংশীদারিত্বে হুয়াওয়ে ‘টেকফরঅল’ উদ্যোগ নিয়ে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে এ পরিকল্পনা বিস্তৃত করার। এটা দীর্ঘমেয়াদী ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ যার লক্ষ্য বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষকে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতায় সমৃদ্ধ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন।