করোনা পরিস্থিতির মাঝেই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১। অনলাইনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অলিম্পিয়াডের সমাপনী এবং ফলাফল ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, ১৬-২৭ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এ অলিম্পিয়াড আয়োজিত হয়েছে। অনলাইনে ৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান।
আগামী বছর সরকারিভাবে ৬৪ জেলায় রোবটিক্স এক্টিভেশন কার্যক্রম এবং ৮টি বিভাগীয় শহরে রোবটিক্স কর্মশালা আয়োজন করার পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে ৩০০টি ফিউচার অফ স্কুল নির্মাণে রোবটিক্সকে সংযুক্ত করার আশা ব্যাক্ত করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষক অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এই আয়োজনগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। ৩০০টি স্কুল অফ ফিউচারে গড়ে তোলা হবে রোবটিক্স ক্লাব যেখানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা যেমন- আরডুইনো, ইন্টারনেট অফ থিংস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি বিষয়গুলো।
রোবটিক্স এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং নিত্য প্রয়োজনীয় বিবেচনা করে তিনি বলেন, রোবটিক্স এর প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার রোবটিক্স ল্যাব, রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া আগামী ২০২২ সালে সারাদেশে রোবটিক্স মেলা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আগামী বছরগুলোতে আরো বৃহৎ পরিসরে রোবট অলিম্পিয়াড আয়োজনের কথা জানিয়ে অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ এনামুল কবির সকল অংশগ্রহনকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ২০১৮ সালে যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল খুব সীমিত সংখ্যক প্রতিযোগী নিয়ে তা আজ কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে যা আমাদের ডিজিটাল বিপ্লবের জন্য মানবসম্পদ তৈরীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আগামী বছরগুলোতে রোবট অলিম্পিয়াডের সাফল্যের ইতিবাচক ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর।
এবছর জাতীয় পর্বে ৬৪টি জেলা থেকে ১১২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট ইন মুভি, রোবট গ্যাদারিং, রোবটিক কুইজ এবং রোবটিক্স কুইক কুইজ এই মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিয়াডে এই পাঁচ ক্যাটাগরি থেকে মোট ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের মধ্য থেকে পরবর্তীতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২৩তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরিতে জুনিয়র গ্রুপে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা। একই ক্যাটাগরিতে জুনিয়র গ্রুপে রৌপ্যপদক অর্জন করেছে আগা খান স্কুল ঢাকার শিক্ষার্থী যারিয়া মুসাররাত ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের শিক্ষার্থী মাহ্রুজ মোহাম্মাদ আয়মান। ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরিতে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী রাগিব ইয়াসার রহমান ও ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেফিন আনোয়ার, রৌপ্যপদক পেয়েছে চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল-ঢাকার শিক্ষার্থী তাফসীর তাহরীম, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল সিলেটের শিক্ষার্থী রাফিহাত সালেহ ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী মাহির তাজওয়ার চৌধুরী এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে আগা খান স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ যাহরা মাহযারীন পূর্বালী ও জাইবা মাহজাবীন।
অপরদিকে রোবট ইন মুভি ক্যাটাগরিতে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর উমাইমা হক ও প্রপা হালদার, রৌপ্যপদক পেয়েছে সানবিমসের শিক্ষার্থী নাশীতাত যাইনাহ রহমান ও চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল ঢাকার কাজী মোস্তাহিদ লাবিব এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী রাগিব ইয়াসার রহমান ও ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেফিন আনোয়ার। একই ক্যাটাগরিতে জুনিয়র গ্রুপে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা।
রোবট গ্যাদারিং প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ গ্রুপে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নোয়াখালীর শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম ও অনারেবল মেনশন পেয়েছে ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পাবনার শিক্ষার্থী সাদিয়া আনজুম পুষ্প।
একইভাবে রোবটিক কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র গ্রুপে যথাক্রমে স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদক ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার মোঃ ফাইয়াজ সিদ্দিকী, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চাপাইনবাবগঞ্জের মোঃ ত্ব-সীন ইলাহি এবং ভেলাতৈড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঠাকুরগাঁও এর শিক্ষার্থী মোঃ শফিউজ্জামান বর্ষন। একই ক্যাটাগরিতে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ স্বর্ণপদক পেয়েছে নটরডেম কলেজের মোঃ আশরাফুজ্জামান ফুয়াদ, রৌপ্যপদক পেয়েছে দনিয়া কলেজের আতিকুর রহমান এবং ব্রোঞ্জপদক যৌথভাবে অর্জন করেছে আব্দুল খালেক মোকসুদা উচ্চ বিদ্যালয় ময়মনসিংহের শিক্ষার্থী মোঃ রাইসুল আলম রাতুল ও ঢাকা কলেজের মুহাম্মদ আবরার জাওয়াদ।
রোবটিক্স কুইক কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ গ্রুপে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে সিলেট সরকারি কলেজের মাজেদুল ইসলাম নাঈম, সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল কলেজের তানজিম আহমেদ ও দনিয়া কলেজের আতিকুর রহমান। একই ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক অর্জন করেছে মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী ফাহিম মোশারফ রাতুল ও রাইয়ান হক এবং ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে সামিট স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ নিয়ামুল মোর্শেদ নিয়ন ও খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ ফাহিমুজ্জামান। রোবটিক্স কুইক কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র গ্রুপে রৌপ্যপদক অর্জন করেছে বরিশাল জেলা স্কুলের মোঃ সামিন মুসতাকিম ও পুলিশ লাইনস হাই স্কুল ফরিদপুরের শিক্ষার্থী আহনাফ সাদিক আল সায়েম এবং ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থ প্রতিভা সরকার ও সাফিনা নাফসি।
মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
করোনা পরিস্থিতির মাঝেই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১। অনলাইনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অলিম্পিয়াডের সমাপনী এবং ফলাফল ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, ১৬-২৭ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এ অলিম্পিয়াড আয়োজিত হয়েছে। অনলাইনে ৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান।
আগামী বছর সরকারিভাবে ৬৪ জেলায় রোবটিক্স এক্টিভেশন কার্যক্রম এবং ৮টি বিভাগীয় শহরে রোবটিক্স কর্মশালা আয়োজন করার পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে ৩০০টি ফিউচার অফ স্কুল নির্মাণে রোবটিক্সকে সংযুক্ত করার আশা ব্যাক্ত করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষক অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এই আয়োজনগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। ৩০০টি স্কুল অফ ফিউচারে গড়ে তোলা হবে রোবটিক্স ক্লাব যেখানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা যেমন- আরডুইনো, ইন্টারনেট অফ থিংস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি বিষয়গুলো।
রোবটিক্স এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং নিত্য প্রয়োজনীয় বিবেচনা করে তিনি বলেন, রোবটিক্স এর প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার রোবটিক্স ল্যাব, রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এছাড়া আগামী ২০২২ সালে সারাদেশে রোবটিক্স মেলা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আগামী বছরগুলোতে আরো বৃহৎ পরিসরে রোবট অলিম্পিয়াড আয়োজনের কথা জানিয়ে অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ এনামুল কবির সকল অংশগ্রহনকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ২০১৮ সালে যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল খুব সীমিত সংখ্যক প্রতিযোগী নিয়ে তা আজ কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে যা আমাদের ডিজিটাল বিপ্লবের জন্য মানবসম্পদ তৈরীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আগামী বছরগুলোতে রোবট অলিম্পিয়াডের সাফল্যের ইতিবাচক ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর।
এবছর জাতীয় পর্বে ৬৪টি জেলা থেকে ১১২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরি, রোবট ইন মুভি, রোবট গ্যাদারিং, রোবটিক কুইজ এবং রোবটিক্স কুইক কুইজ এই মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিয়াডে এই পাঁচ ক্যাটাগরি থেকে মোট ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের মধ্য থেকে পরবর্তীতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২৩তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরিতে জুনিয়র গ্রুপে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা। একই ক্যাটাগরিতে জুনিয়র গ্রুপে রৌপ্যপদক অর্জন করেছে আগা খান স্কুল ঢাকার শিক্ষার্থী যারিয়া মুসাররাত ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের শিক্ষার্থী মাহ্রুজ মোহাম্মাদ আয়মান। ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরিতে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ থেকে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী রাগিব ইয়াসার রহমান ও ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেফিন আনোয়ার, রৌপ্যপদক পেয়েছে চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল-ঢাকার শিক্ষার্থী তাফসীর তাহরীম, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল সিলেটের শিক্ষার্থী রাফিহাত সালেহ ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী মাহির তাজওয়ার চৌধুরী এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে আগা খান স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ যাহরা মাহযারীন পূর্বালী ও জাইবা মাহজাবীন।
অপরদিকে রোবট ইন মুভি ক্যাটাগরিতে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছে নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর উমাইমা হক ও প্রপা হালদার, রৌপ্যপদক পেয়েছে সানবিমসের শিক্ষার্থী নাশীতাত যাইনাহ রহমান ও চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল ঢাকার কাজী মোস্তাহিদ লাবিব এবং ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী রাগিব ইয়াসার রহমান ও ধানমন্ডি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেফিন আনোয়ার। একই ক্যাটাগরিতে জুনিয়র গ্রুপে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন ইনান ও উইলিয়াম কেরি একাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা যাহিন ওয়ারা।
রোবট গ্যাদারিং প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ গ্রুপে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নোয়াখালীর শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম ও অনারেবল মেনশন পেয়েছে ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পাবনার শিক্ষার্থী সাদিয়া আনজুম পুষ্প।
একইভাবে রোবটিক কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র গ্রুপে যথাক্রমে স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদক ও ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার মোঃ ফাইয়াজ সিদ্দিকী, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চাপাইনবাবগঞ্জের মোঃ ত্ব-সীন ইলাহি এবং ভেলাতৈড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঠাকুরগাঁও এর শিক্ষার্থী মোঃ শফিউজ্জামান বর্ষন। একই ক্যাটাগরিতে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ স্বর্ণপদক পেয়েছে নটরডেম কলেজের মোঃ আশরাফুজ্জামান ফুয়াদ, রৌপ্যপদক পেয়েছে দনিয়া কলেজের আতিকুর রহমান এবং ব্রোঞ্জপদক যৌথভাবে অর্জন করেছে আব্দুল খালেক মোকসুদা উচ্চ বিদ্যালয় ময়মনসিংহের শিক্ষার্থী মোঃ রাইসুল আলম রাতুল ও ঢাকা কলেজের মুহাম্মদ আবরার জাওয়াদ।
রোবটিক্স কুইক কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ গ্রুপে স্বর্ণপদক অর্জন করেছে সিলেট সরকারি কলেজের মাজেদুল ইসলাম নাঈম, সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল কলেজের তানজিম আহমেদ ও দনিয়া কলেজের আতিকুর রহমান। একই ক্যাটাগরিতে রৌপ্যপদক অর্জন করেছে মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী ফাহিম মোশারফ রাতুল ও রাইয়ান হক এবং ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে সামিট স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ নিয়ামুল মোর্শেদ নিয়ন ও খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মোঃ ফাহিমুজ্জামান। রোবটিক্স কুইক কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র গ্রুপে রৌপ্যপদক অর্জন করেছে বরিশাল জেলা স্কুলের মোঃ সামিন মুসতাকিম ও পুলিশ লাইনস হাই স্কুল ফরিদপুরের শিক্ষার্থী আহনাফ সাদিক আল সায়েম এবং ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থ প্রতিভা সরকার ও সাফিনা নাফসি।