দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্রেফ দুর্ঘটনা নাকি কোন নাশকতা এ বিষয়টি তদন্ত করবে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিএমপির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হুমায়ন কবিরকে প্রধান করে কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি বাড্ডা) এলিন চৌধুরী এবং বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে এদিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্রাবের) পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬ জুন সোমবার ক্রাবের উপদেষ্টা এবং কার্য নির্বাহী কমিটির যৌথ বৈঠকে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ১২ জুন ভোররাতে আফনাবগরের নিজ ফ্লাটে আগুনে দগ্ধ হন দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টার মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু। তিনি যে রুমে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন একই রুমে পায় ৬ মাস আগে ২ জানুয়ারি তাদের একমাত্র ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়। একটি ফ্লাটে পর পর দু’বার আগুনের ঘটনা রহস্যজনক।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ থাকায় এখনও আলামত সংগ্রহ করা যায়নি। দুই-একদিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষা করে দেখা হবে। পাশাপাশি গ্যাস লিকেজের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মৃত্যু অস্বাভাবিক কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে আমরা এক্সপার্ট অপিনিয়ন নেব। ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডির সহযোগিতা নেয়া হবে। সময় মতোই প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ, রাজধানীর আফতাবনগরের জহিরুল ইসলাম সিটির ৩ নম্বর সড়কের বি-ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন সাংবাদিক নান্নু। গত শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সেখানে রহস্যজনক আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মাত্র ছয় মাস আগে গত ২ জানুয়ারি ওই একই বাসায় একই রুমে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাদের একমাত্র সন্তান স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস (২৪) প্রাণ হারান।
সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্রেফ দুর্ঘটনা নাকি কোন নাশকতা এ বিষয়টি তদন্ত করবে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিএমপির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হুমায়ন কবিরকে প্রধান করে কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি বাড্ডা) এলিন চৌধুরী এবং বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে এদিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্রাবের) পক্ষ থেকে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬ জুন সোমবার ক্রাবের উপদেষ্টা এবং কার্য নির্বাহী কমিটির যৌথ বৈঠকে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ১২ জুন ভোররাতে আফনাবগরের নিজ ফ্লাটে আগুনে দগ্ধ হন দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টার মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু। তিনি যে রুমে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন একই রুমে পায় ৬ মাস আগে ২ জানুয়ারি তাদের একমাত্র ছেলে অগ্নিদগ্ধ হয়। একটি ফ্লাটে পর পর দু’বার আগুনের ঘটনা রহস্যজনক।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএমপির গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ থাকায় এখনও আলামত সংগ্রহ করা যায়নি। দুই-একদিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষা করে দেখা হবে। পাশাপাশি গ্যাস লিকেজের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মৃত্যু অস্বাভাবিক কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে আমরা এক্সপার্ট অপিনিয়ন নেব। ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডির সহযোগিতা নেয়া হবে। সময় মতোই প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ, রাজধানীর আফতাবনগরের জহিরুল ইসলাম সিটির ৩ নম্বর সড়কের বি-ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন সাংবাদিক নান্নু। গত শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সেখানে রহস্যজনক আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মাত্র ছয় মাস আগে গত ২ জানুয়ারি ওই একই বাসায় একই রুমে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাদের একমাত্র সন্তান স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস (২৪) প্রাণ হারান।