রাজধানীর মোহাম্মদপুরে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ওটি বয় দিয়ে অপারেশনসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৬জনকে কারাদন্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড অভিযান চালানো হয়। সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে মক্কা মদিনা ও নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল।
র্যাব-২ ও ডিজি হেলথ এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, হাসপাতালগুলোর পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা এবং সেখানে সাধারণ রোগীও অসুস্থ হয়ে পরবে। কোনো চিকিৎসক নেই, মালিক ও ওয়ার্ডবয় মিলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে আনা রোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেশন করা হয়। অভিযানে দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোতে ওটি বয় দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। একজন এসএসসি পাশ ছেলে, যার চিকিৎসা সর্ম্পকে নুন্যতম লেখাপড়া নেই, সেই লোক নিচ্ছে অপারেশনের সিদ্ধান্ত এবং নিজে অপারেশন করছে। এতে করে রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। সেই সঙ্গে অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে।
এসব অপরাধের জন্য মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নূরুন নবীকে এক বছর, ওটি বয় আনোয়ার হোসেনকে ছয় মাস ও আবদুর রশীদকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতালের ওটি বয় জাহাঙ্গীর হোসেনকে দুই ও বাবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। আর ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এ অভিযান চালানো হয় জানিয়ে পলাশ কুমার বসু বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের ভাগিয়ে একটি দালাল চক্র এসব হাসপাতালে নিয়ে আসে। মোটা অংকের কমিশনের ভিত্তিতে দালালরা এসব কাজ করেন। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলেও রোগীদের মোটা অংকের বিল ধরিয়ে দেয়া হয়। বিল পরিশোধ না করতে পারলে রোগীদের আটকে রাখারও অভিযোগ রয়েছে এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ওটি বয় দিয়ে অপারেশনসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৬জনকে কারাদন্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড অভিযান চালানো হয়। সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে মক্কা মদিনা ও নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল।
র্যাব-২ ও ডিজি হেলথ এর সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, হাসপাতালগুলোর পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা এবং সেখানে সাধারণ রোগীও অসুস্থ হয়ে পরবে। কোনো চিকিৎসক নেই, মালিক ও ওয়ার্ডবয় মিলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে আনা রোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেশন করা হয়। অভিযানে দেখা গেছে, হাসপাতালগুলোতে ওটি বয় দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। একজন এসএসসি পাশ ছেলে, যার চিকিৎসা সর্ম্পকে নুন্যতম লেখাপড়া নেই, সেই লোক নিচ্ছে অপারেশনের সিদ্ধান্ত এবং নিজে অপারেশন করছে। এতে করে রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। সেই সঙ্গে অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে।
এসব অপরাধের জন্য মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নূরুন নবীকে এক বছর, ওটি বয় আনোয়ার হোসেনকে ছয় মাস ও আবদুর রশীদকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতালের ওটি বয় জাহাঙ্গীর হোসেনকে দুই ও বাবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। আর ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এ অভিযান চালানো হয় জানিয়ে পলাশ কুমার বসু বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের ভাগিয়ে একটি দালাল চক্র এসব হাসপাতালে নিয়ে আসে। মোটা অংকের কমিশনের ভিত্তিতে দালালরা এসব কাজ করেন। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলেও রোগীদের মোটা অংকের বিল ধরিয়ে দেয়া হয়। বিল পরিশোধ না করতে পারলে রোগীদের আটকে রাখারও অভিযোগ রয়েছে এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে।