বাংলাদেশকে উপহার দেয়া চীনের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ বুধবার ভোরে টিকা নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানটি কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী টিকা আনতে সি-১৩০জে পরিবহন বিমান চীনে পাঠিয়েছিল গতকাল। এ বিমানেই টিকা ও এডি সিরিঞ্জ আনা হয়।
দুপুরে ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এ টিকা হস্তাস্তর করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং তার কাছ থেকে আমরা সবসময় সহায়তা পেয়ে এসেছি।’ এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
চীনের টিকা এর আগে অনুমোদন কেন দেওয়া হয়নি এটির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন আছে, যার অধীনে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোনও টিকা বা ওষুধ আমদানি করতে পারি না। সেই কারণে চীনের টিকা অনুমোদন দিতে দেরি হয়েছে। বর্তমানের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে আরও বেশি টিকা কেনা নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি, আগামী জুন জুলাইয়ের মধ্যে আমরা প্রতিমাসে কিছু কিছু করে টিকা পাবো।’
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘আমাদের ওখানে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন বাংলাদেশ আমাদের পাশে দাঁড়েয়েছিল। আমরা সেটা ভুলিনি। আমরা এই টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে আশা করি, আমরা আরও টিকা দিতে পারবো।’
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে চীন থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা আনতে মঙ্গলবার (১১ মে) বিমান বাহিনীর ১৩ জন এয়ার ক্রু ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান দলনেতা হিসেবে এই মিশনের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোস টিকা ও এডি সিরিঞ্জ দেশটি থেকে আনার মাধ্যমে গুডইউল মিশন সম্পন্ন করেছে। টিকা প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকার চীন সরকারকে ধন্যবাদ দেয়।
বুধবার, ১২ মে ২০২১
বাংলাদেশকে উপহার দেয়া চীনের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ বুধবার ভোরে টিকা নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানটি কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী টিকা আনতে সি-১৩০জে পরিবহন বিমান চীনে পাঠিয়েছিল গতকাল। এ বিমানেই টিকা ও এডি সিরিঞ্জ আনা হয়।
দুপুরে ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এ টিকা হস্তাস্তর করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং তার কাছ থেকে আমরা সবসময় সহায়তা পেয়ে এসেছি।’ এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
চীনের টিকা এর আগে অনুমোদন কেন দেওয়া হয়নি এটির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন আছে, যার অধীনে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোনও টিকা বা ওষুধ আমদানি করতে পারি না। সেই কারণে চীনের টিকা অনুমোদন দিতে দেরি হয়েছে। বর্তমানের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীনের কাছ থেকে আরও বেশি টিকা কেনা নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি, আগামী জুন জুলাইয়ের মধ্যে আমরা প্রতিমাসে কিছু কিছু করে টিকা পাবো।’
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘আমাদের ওখানে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন বাংলাদেশ আমাদের পাশে দাঁড়েয়েছিল। আমরা সেটা ভুলিনি। আমরা এই টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে আশা করি, আমরা আরও টিকা দিতে পারবো।’
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে চীন থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা আনতে মঙ্গলবার (১১ মে) বিমান বাহিনীর ১৩ জন এয়ার ক্রু ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান দলনেতা হিসেবে এই মিশনের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ স্বশস্ত্র বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোস টিকা ও এডি সিরিঞ্জ দেশটি থেকে আনার মাধ্যমে গুডইউল মিশন সম্পন্ন করেছে। টিকা প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকার চীন সরকারকে ধন্যবাদ দেয়।