ঈদ-উল-ফিতরের আজ তৃতীয় দিন, ছুটিও শেষ। নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষ পুনরায় রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সিটি কেন্দ্রীক গণপরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদের আগে যে যার মত করে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিলেন।
কেউ মোটরসাইকেলে করে, কেউ সিটি/জেলা কেন্দ্রীক গণপরিবহনে ভেঙে ভেঙে, কেউবা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ভাড়া করে আবার কেউ মিনি পিকআপে করে ঢাকামুখী হতে শুরু করেছেন। ছুটি শেষে নিজেদের রুটি-রুজি ও কাজের তাগিদে সবাই ফিরছে ঢাকায়। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী ফের ব্যস্ত হতে শুরু করছে।
রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, সায়দাবাদ, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে সকাল থেকে ঢাকামুখী মানুষের স্বাভাবিক ভিড় দেখা গেছে। আন্তঃজেলা গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। অনেক মানুষকে দেখা গেছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ফিরতে। এদিকে ফাঁকা ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে আসা ফিরতি মানুষদের টঙ্গী থেকে হেটে আব্দুল্লাহপুর আসতে দেখা গেছে। তারা আব্দুল্লাহপুর থেকে আবার অন্য যানবাহনে করে বাসায় ফিরছেন।
মোটরসাইকেল চালক আরিফুল বলেন, বাস চলে না তাতে কি!! নিজের মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা, চালাতেও ভালো লেগেছে। তাই মোটর সাইকেলে করে ঢাকায় ফিরলাম। আগামী কাল থেকে অফিস শুরু করবো।
তবে ইশতিয়াখের মত অনেকেই এবার ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে করে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলেন। যারা মোটরসাইকেলে করেই আবার ঢাকামুখী হচ্ছেন।
মাহমুদুল কবির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের চার দিন ছুটি পেয়ে তিনি গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায় গিয়েছিলেন। ঈদের ছুটি শেষে তিনি রোববার সকালে ঢাকায় ফিরলেন। তিনি বলেন, ভালুকা থেকে মিনি পিকআপ ও টেম্পো করে করে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এসেছি। সেখান থেকে একটি বাসে চড়ে টঙ্গী স্টেশনরোড পর্যন্ত এরপর পায়ে হেটে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত এসেছি। এখন একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর বাড্ডায় বাসায় যাবো। আগামীকাল থেকে আবার প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করবো।
তিনি বলেন, করোনা ঠেকাতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ করেছে। কিন্তু মানুষজন ঠিকই বাড়ি গেছে। কষ্ট করেই গেছে। এখন আমাদের ঢাকায় ফিরতেও কষ্ট হচ্ছে। কাউকেই আটকাতে পারেনি। যদি গণপরিবহন খোলা থাকতো তবে এত কষ্ট হতো না। আর বন্ধ রেখেও কোনো লাভ হয়নি।
একটি গার্মেন্টসে সুইং সেকশনে কাজ করনে জাহানারা আক্তার। তিনি বলেন, দক্ষিণখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ করি। পরিবারের সবাই থাকে টাঙ্গাইল। তাই ঈদের ছুটিতে আমি একা ঢাকায় থেকে কি করবো। তাই বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু আবার ছুটি শেষ হওয়ার এক-দুইদিন আগেই ঢাকায় এসে পড়েছি। কাল হয়তো অনেক ভিড় হবে। কিন্তু অনেক ভেঙে আসতে হয়েছে। খুব কষ্ট হয়েছে।
এদিকে ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষদের চাপে রাজধানীর কিছু কিছু জায়গায় সামান্য যানবাহনের জটলা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। তবে এই জটলা খুব বেশি সময় থাকছে না। আবারও পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা।
রোববার, ১৬ মে ২০২১
ঈদ-উল-ফিতরের আজ তৃতীয় দিন, ছুটিও শেষ। নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষ পুনরায় রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সিটি কেন্দ্রীক গণপরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদের আগে যে যার মত করে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিলেন।
কেউ মোটরসাইকেলে করে, কেউ সিটি/জেলা কেন্দ্রীক গণপরিবহনে ভেঙে ভেঙে, কেউবা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ভাড়া করে আবার কেউ মিনি পিকআপে করে ঢাকামুখী হতে শুরু করেছেন। ছুটি শেষে নিজেদের রুটি-রুজি ও কাজের তাগিদে সবাই ফিরছে ঢাকায়। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী ফের ব্যস্ত হতে শুরু করছে।
রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, সায়দাবাদ, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে সকাল থেকে ঢাকামুখী মানুষের স্বাভাবিক ভিড় দেখা গেছে। আন্তঃজেলা গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। অনেক মানুষকে দেখা গেছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ফিরতে। এদিকে ফাঁকা ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে আসা ফিরতি মানুষদের টঙ্গী থেকে হেটে আব্দুল্লাহপুর আসতে দেখা গেছে। তারা আব্দুল্লাহপুর থেকে আবার অন্য যানবাহনে করে বাসায় ফিরছেন।
মোটরসাইকেল চালক আরিফুল বলেন, বাস চলে না তাতে কি!! নিজের মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা, চালাতেও ভালো লেগেছে। তাই মোটর সাইকেলে করে ঢাকায় ফিরলাম। আগামী কাল থেকে অফিস শুরু করবো।
তবে ইশতিয়াখের মত অনেকেই এবার ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে করে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলেন। যারা মোটরসাইকেলে করেই আবার ঢাকামুখী হচ্ছেন।
মাহমুদুল কবির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের চার দিন ছুটি পেয়ে তিনি গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায় গিয়েছিলেন। ঈদের ছুটি শেষে তিনি রোববার সকালে ঢাকায় ফিরলেন। তিনি বলেন, ভালুকা থেকে মিনি পিকআপ ও টেম্পো করে করে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এসেছি। সেখান থেকে একটি বাসে চড়ে টঙ্গী স্টেশনরোড পর্যন্ত এরপর পায়ে হেটে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত এসেছি। এখন একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর বাড্ডায় বাসায় যাবো। আগামীকাল থেকে আবার প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করবো।
তিনি বলেন, করোনা ঠেকাতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ করেছে। কিন্তু মানুষজন ঠিকই বাড়ি গেছে। কষ্ট করেই গেছে। এখন আমাদের ঢাকায় ফিরতেও কষ্ট হচ্ছে। কাউকেই আটকাতে পারেনি। যদি গণপরিবহন খোলা থাকতো তবে এত কষ্ট হতো না। আর বন্ধ রেখেও কোনো লাভ হয়নি।
একটি গার্মেন্টসে সুইং সেকশনে কাজ করনে জাহানারা আক্তার। তিনি বলেন, দক্ষিণখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ করি। পরিবারের সবাই থাকে টাঙ্গাইল। তাই ঈদের ছুটিতে আমি একা ঢাকায় থেকে কি করবো। তাই বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু আবার ছুটি শেষ হওয়ার এক-দুইদিন আগেই ঢাকায় এসে পড়েছি। কাল হয়তো অনেক ভিড় হবে। কিন্তু অনেক ভেঙে আসতে হয়েছে। খুব কষ্ট হয়েছে।
এদিকে ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষদের চাপে রাজধানীর কিছু কিছু জায়গায় সামান্য যানবাহনের জটলা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। তবে এই জটলা খুব বেশি সময় থাকছে না। আবারও পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা।