alt

জাতীয়

শ্রেণীকক্ষে সরাসরি পাঠদান বন্ধ

বইয়ের জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

রাকিব উদ্দিন : রোববার, ১৩ জুন ২০২১

শ্রেণীভিত্তিক পাঠদান না থাকায় ‘বইয়ের জগত’ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। নিষিদ্ধ ‘নোট-গাইড’ বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে; কোথাও কোথাও অনলাইন কোচিংয়ে ঝুঁকছে বিত্তশালী পরিবারের সন্তানরা। চলমান অনলাইন শিক্ষায় ভিডিও গেমে আসক্ত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। শ্রেণীকক্ষে সরাসরি পাঠদান না থাকায় দূরত্ব বাড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশের মধ্যেই ‘আদব-কায়দা, আচার-আচরণ ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল’ হওয়া বা শেখা- এসব বিষয়ে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় একটি ‘জেনারেশন গ্যাপ’ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা ও শিক্ষকরা।

শিক্ষা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহসাই শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ফিরছে না দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি এবং এইচএসসি’র পাবলিক পরীক্ষা কবে নাগাদ নেয়া যাবে- সেটিও অনিশ্চিত। এই দুই স্তরের শিক্ষার্থী এক বছরের বেশি সময় পর্যন্ত শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বঞ্চিত।

ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডা. শাহদাৎ হোসেন বলেন, ‘অনলাইনে নামমাত্র ক্লাস নেয়া হচ্ছে। নিয়মিত টিউশন ফি আদায়ের লক্ষ্যেই এটি করা হচ্ছে। শ্রেণীশিক্ষকরা চারটি-পাঁচটি বিষয়ের অনলাইন কোচিংও চাপিয়ে দিয়েছেন। এতে দুই সন্তানের জন্য প্রতিমাসে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।’

অনলাইন শিক্ষা ও কোচিংয়ে কোন মেধার বিকাশ ঘটছে না- মন্তব্য করে এই অভিভাবক বলেন, ‘দুই সন্তানকে দুটি স্মার্ট ফোন সেট কিনে দিতে হয়েছে। কোন কারণে শিক্ষকের দেয়া পড়া না পারলে ‘বিদ্যুৎ চলে গেছে, নেট সংযোগ কাজ করছে না, কিছুই শুনা যাচ্ছে না’ এসব বলা হয় শিক্ষককে। অনেক সময় শিক্ষকরাও এসব অজুহাত দেখিয়ে পাঠদানে বিরত থাকেন। এই সুযোগে সন্তানরা মোবাইলে ‘ভিডিও গেম’এ আসক্ত হয়ে পরছে।’

শিক্ষক ও অভিভাবক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বেড়েই চলছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশায় ভুগছেন।

সীমিত পরিসরে অনলাইনে যে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে তার মান এবং দেশের সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রী অনলাইন শিক্ষার কতটুকু সুফল পাচ্ছে সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, অনলাইন পাঠদানের সুফল গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছে না। শহর অঞ্চলেও এর সুফল পুরোপুরি মিলছে না। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।

গত বছর যেসব ছাত্রছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে তারা এখন পর্যন্ত কলেজে যাওয়ারই সুযোগ পায়নি। এসব শিক্ষার্থী শ্রেণীশিক্ষকদেরও দেখা পায়নি। অথচ এই স্তরের ছাত্রছাত্রীদের ২০২২ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ‘জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি’র (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমানে যা অবস্থা তাতে কমপক্ষে দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই দীর্ঘ বন্ধে একটি ‘জেনারেশন গ্যাপ’ হয়ে যাবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অভ্যস্ত হতে গিয়ে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী পরবর্তী স্তরে গিয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ’ সিলেবাস গ্রহণ করতে পারবে না। এক কথায়- সবার মধ্যেই মেধার ঘাটতি তৈরি হয়ে যাচ্ছে।’

অনলাইন পাঠদানে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে না- মন্তব্য করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শহর অঞ্চলের সব শিক্ষার্থীও এই সুবিধা পাচ্ছে না। অনেক পরিবারেই সন্তানদের স্মার্ট ফোন কিনে দেয়ার সক্ষমতা নেই। আবার অনেক ছেলেমেয়ে স্মার্ট ফোন সেটে ‘ভিডিও গেমে’ আসন্ত হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান থেকে বিরত থাকায় অনেক শিক্ষার্থী নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’ আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য

‘অ্যাসাইনমেন্ট’ভিত্তিক শিক্ষা

২০২২ সালের এইচএসসি ও সমপর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের খুব সহসাই শ্রেণী কার্যক্রমে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না-এমনটি ধরে নিয়ে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সাত বিষয়ে ৬০টি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ প্রণয়ন করে গত সপ্তাহে মাউশিতে জমা দিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে ২টি করে ৩০ সপ্তাহে এই ৬০টি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ বাস্তবায়ন করবে শিক্ষার্থীরা।

সাতটি বিষয় হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, পৌরনীতি ও যুক্তিবিদ্যা।

জানতে চাইলে মাউশি’র পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে সেটা বলা মুশকিল। আবার যখনই স্কুল-কলেজ খুলবে তখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যান্য শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষাও আছে।’

এসব কারণে স্কুল-কলেজ খুললেও ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর শ্রেণী কার্যক্রম পুরোদমে চালু নাও হতে পারে- জানিয়ে মাউশি পরিচালক বলেন, ‘এ কারণে আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০টি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ প্রণয়ন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।’

ঈদের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

আগামী মাসের ২২ তারিখে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে ঈদের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম চালুর সম্ভাবনা দেখছেন না শিক্ষক নেতারা।

এ ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি ও ঢাকার মিরপুরের সিন্ধান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম রনি সংবাদকে বলেন, ‘সবকিছু খুলে দিয়ে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বইয়ের জগত থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ বন্ধের কারণে একটি প্রজন্মই বিপথগামী হচ্ছে, ভিডিও গেমসে আসক্ত হচ্ছে, ঝরে পড়ছে এবং মেধা শূন্য হয়ে পড়ছে।’

গত বছরের শেষ দিক থেকে এই বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল দাবি করে এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘ওই সময় সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেত। একেক শ্রেণীর পাঠদান একেক দিন নেয়া যেত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, একটি বিপথগামী মহল সরকারকে ভুল বুঝিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোন শিক্ষার্থীই ঘরে বসে নেই- দাবি করে নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে বসাতে পারছি না। অথচ এরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, হাটবাজারে যাচ্ছে, পাড়ামহল্লার রাস্তায় ক্রিকেট খেলছে, কেউ কেউ গ্রামের বাড়িতে ছুটি ভোগ করছে। একটু বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা নানা রকম অপরাধে জড়াচ্ছে; হাতাশায় ভুগছে।’

গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে আংশিকভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন রেডিও এবং সংসদ টিভিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বেশ কয়েকবার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা খোলা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ গত ২৬ মে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ১২ জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কারও ৬ দিন হবে, কারও একদিন ক্লাস হবে। যারা ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা সপ্তাহে ছয় দিন এবং অন্য ক্লাসগুলোর একদিন ক্লাস হবে এবং পর্যায়ক্রমে এটা বাড়ানো হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যেন দ্রুত খুলে দিতে পারি সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, যেন সংক্রমণের হার না বাড়ে। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের মধ্যে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।’

ছবি

একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১৬ জন

ছবি

তাপপ্রবাহ নিয়ে ৭২ ঘণ্টার সতর্ক বার্তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের

ছবি

বঙ্গবন্ধু টানেলে টোল ফ্রি সুবিধা পেল যেসব গাড়ি

ছবি

সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

ছবি

জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাস আর নেই

ছবি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে : আরাফাত

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং মুজিবনগর দিবস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মেকে জানাতে হবে

ছবি

স্থানীয় সরকার নির্বাচ‌নে ভোটার উপ‌স্থি‌তি সংসদ নির্বাচ‌নের ‌চে‌য়ে বে‌শি থাকবে

ছবি

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ছবি

থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

জুন-জুলাইয়ে দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার হার বেশি

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

এথেন্স সম্মেলনে দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ছবি

কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: স্পিকার

ছবি

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ

ছবি

তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে

ছবি

এমভি আবদুল্লাহ : ২১ নাবিক দেশে ফিরবেন জাহাজে, বাকি দুজন বিমানে

ছবি

৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগে প্রক্রিয়া শুরু, আবেদনের নিয়ম

ছবি

ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা

ছবি

টিসিবির তালিকা হালনাগাদ করতে চাই:বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গমের আবাদ কম

ছবি

ভোজ্য তেলের দাম বাড়াতে চায় ব্যবসায়ীরা আপত্তি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

ছবি

অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখাত : মন্ত্রী

ছবি

দেশে ফিরতে আরও ১০ দিন সময় লাগবে নাবিকদের

ছবি

মুক্ত এমভি আবদুল্লাহর ৩ ছবি প্রকাশ

ছবি

২ মে বসছে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন

ছবি

কারো যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি

মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি নিয়ে যা বললেন নৌ প্রতিমন্ত্রী

ছবি

লঞ্চে বেড়েছে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ

ছবি

নববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট ভবিষ্যৎ নির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান অর্থ প্রতিমন্ত্রীর

ছবি

জিম্মি জাহাজটি কীভাবে মুক্ত হলো, জানাল মালিকপক্ষ

ছবি

সোমানিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আব্দুল্লাহ মুক্ত ২৩ নাবিক অক্ষত

ছবি

মুক্তিপণ নিয়ে তীরে উঠেই ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

ছবি

দেশের প্রতি ভালোবাসার বার্তা এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের

tab

জাতীয়

শ্রেণীকক্ষে সরাসরি পাঠদান বন্ধ

বইয়ের জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

রাকিব উদ্দিন

রোববার, ১৩ জুন ২০২১

শ্রেণীভিত্তিক পাঠদান না থাকায় ‘বইয়ের জগত’ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। নিষিদ্ধ ‘নোট-গাইড’ বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে; কোথাও কোথাও অনলাইন কোচিংয়ে ঝুঁকছে বিত্তশালী পরিবারের সন্তানরা। চলমান অনলাইন শিক্ষায় ভিডিও গেমে আসক্ত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। শ্রেণীকক্ষে সরাসরি পাঠদান না থাকায় দূরত্ব বাড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশের মধ্যেই ‘আদব-কায়দা, আচার-আচরণ ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল’ হওয়া বা শেখা- এসব বিষয়ে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় একটি ‘জেনারেশন গ্যাপ’ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা ও শিক্ষকরা।

শিক্ষা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সহসাই শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ফিরছে না দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি এবং এইচএসসি’র পাবলিক পরীক্ষা কবে নাগাদ নেয়া যাবে- সেটিও অনিশ্চিত। এই দুই স্তরের শিক্ষার্থী এক বছরের বেশি সময় পর্যন্ত শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বঞ্চিত।

ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডা. শাহদাৎ হোসেন বলেন, ‘অনলাইনে নামমাত্র ক্লাস নেয়া হচ্ছে। নিয়মিত টিউশন ফি আদায়ের লক্ষ্যেই এটি করা হচ্ছে। শ্রেণীশিক্ষকরা চারটি-পাঁচটি বিষয়ের অনলাইন কোচিংও চাপিয়ে দিয়েছেন। এতে দুই সন্তানের জন্য প্রতিমাসে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।’

অনলাইন শিক্ষা ও কোচিংয়ে কোন মেধার বিকাশ ঘটছে না- মন্তব্য করে এই অভিভাবক বলেন, ‘দুই সন্তানকে দুটি স্মার্ট ফোন সেট কিনে দিতে হয়েছে। কোন কারণে শিক্ষকের দেয়া পড়া না পারলে ‘বিদ্যুৎ চলে গেছে, নেট সংযোগ কাজ করছে না, কিছুই শুনা যাচ্ছে না’ এসব বলা হয় শিক্ষককে। অনেক সময় শিক্ষকরাও এসব অজুহাত দেখিয়ে পাঠদানে বিরত থাকেন। এই সুযোগে সন্তানরা মোবাইলে ‘ভিডিও গেম’এ আসক্ত হয়ে পরছে।’

শিক্ষক ও অভিভাবক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বেড়েই চলছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশায় ভুগছেন।

সীমিত পরিসরে অনলাইনে যে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে তার মান এবং দেশের সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রী অনলাইন শিক্ষার কতটুকু সুফল পাচ্ছে সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, অনলাইন পাঠদানের সুফল গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছে না। শহর অঞ্চলেও এর সুফল পুরোপুরি মিলছে না। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।

গত বছর যেসব ছাত্রছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে তারা এখন পর্যন্ত কলেজে যাওয়ারই সুযোগ পায়নি। এসব শিক্ষার্থী শ্রেণীশিক্ষকদেরও দেখা পায়নি। অথচ এই স্তরের ছাত্রছাত্রীদের ২০২২ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও ‘জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি’র (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমানে যা অবস্থা তাতে কমপক্ষে দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই দীর্ঘ বন্ধে একটি ‘জেনারেশন গ্যাপ’ হয়ে যাবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অভ্যস্ত হতে গিয়ে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী পরবর্তী স্তরে গিয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ’ সিলেবাস গ্রহণ করতে পারবে না। এক কথায়- সবার মধ্যেই মেধার ঘাটতি তৈরি হয়ে যাচ্ছে।’

অনলাইন পাঠদানে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে না- মন্তব্য করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শহর অঞ্চলের সব শিক্ষার্থীও এই সুবিধা পাচ্ছে না। অনেক পরিবারেই সন্তানদের স্মার্ট ফোন কিনে দেয়ার সক্ষমতা নেই। আবার অনেক ছেলেমেয়ে স্মার্ট ফোন সেটে ‘ভিডিও গেমে’ আসন্ত হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান থেকে বিরত থাকায় অনেক শিক্ষার্থী নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’ আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য

‘অ্যাসাইনমেন্ট’ভিত্তিক শিক্ষা

২০২২ সালের এইচএসসি ও সমপর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের খুব সহসাই শ্রেণী কার্যক্রমে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না-এমনটি ধরে নিয়ে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সাত বিষয়ে ৬০টি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ প্রণয়ন করে গত সপ্তাহে মাউশিতে জমা দিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে ২টি করে ৩০ সপ্তাহে এই ৬০টি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ বাস্তবায়ন করবে শিক্ষার্থীরা।

সাতটি বিষয় হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, পৌরনীতি ও যুক্তিবিদ্যা।

জানতে চাইলে মাউশি’র পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে সেটা বলা মুশকিল। আবার যখনই স্কুল-কলেজ খুলবে তখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যান্য শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষাও আছে।’

এসব কারণে স্কুল-কলেজ খুললেও ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীর শ্রেণী কার্যক্রম পুরোদমে চালু নাও হতে পারে- জানিয়ে মাউশি পরিচালক বলেন, ‘এ কারণে আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০টি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ প্রণয়ন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।’

ঈদের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

আগামী মাসের ২২ তারিখে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে ঈদের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণী কার্যক্রম চালুর সম্ভাবনা দেখছেন না শিক্ষক নেতারা।

এ ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি ও ঢাকার মিরপুরের সিন্ধান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম রনি সংবাদকে বলেন, ‘সবকিছু খুলে দিয়ে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বইয়ের জগত থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ বন্ধের কারণে একটি প্রজন্মই বিপথগামী হচ্ছে, ভিডিও গেমসে আসক্ত হচ্ছে, ঝরে পড়ছে এবং মেধা শূন্য হয়ে পড়ছে।’

গত বছরের শেষ দিক থেকে এই বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল দাবি করে এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘ওই সময় সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেত। একেক শ্রেণীর পাঠদান একেক দিন নেয়া যেত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, একটি বিপথগামী মহল সরকারকে ভুল বুঝিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোন শিক্ষার্থীই ঘরে বসে নেই- দাবি করে নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে বসাতে পারছি না। অথচ এরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, হাটবাজারে যাচ্ছে, পাড়ামহল্লার রাস্তায় ক্রিকেট খেলছে, কেউ কেউ গ্রামের বাড়িতে ছুটি ভোগ করছে। একটু বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা নানা রকম অপরাধে জড়াচ্ছে; হাতাশায় ভুগছে।’

গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে আংশিকভাবে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন রেডিও এবং সংসদ টিভিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বেশ কয়েকবার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা খোলা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ গত ২৬ মে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ১২ জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কারও ৬ দিন হবে, কারও একদিন ক্লাস হবে। যারা ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা সপ্তাহে ছয় দিন এবং অন্য ক্লাসগুলোর একদিন ক্লাস হবে এবং পর্যায়ক্রমে এটা বাড়ানো হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যেন দ্রুত খুলে দিতে পারি সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, যেন সংক্রমণের হার না বাড়ে। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের মধ্যে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।’

back to top