সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা শহরে করোনায় আক্রান্তদের বড় একটি অংশের নমুনা পরীক্ষা করে অতিসংক্রামক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যরিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বি।
আইসিডিডিআর,বির গবেষকরা গত ২৫ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে ঢাকার ৬০ জন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে সংক্রমিত ছিলেন বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে। আইসিডিডিআর,বির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডেল্টার ভ্যারিয়েন্টের বাইরে ২২ জনের নমুনায় সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, দুই জনের নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট, একজনের উহান ভ্যারিয়েন্ট ও একজনের নমুনায় অজানা একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
গত মে মাসের শেষ এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬০ জনের নমুনার জেনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ৬৮ শতাংশের দেহে ডেল্টার সংক্রমণ পেয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
আইসিডিডিআর,বির মিডিয়া ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বৃহস্পতিবার বলেন, “আমাদের ল্যাবে এসব নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।”
দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তা নাম পেয়েছে ডেল্টা।
এই ধরন বা ভ্যারিয়েন্টটি (বি.১.৬১৭.২) অতি সংক্রামক হওয়ায় একে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ভারতের মহামারীতে বিপযস্ত হওয়ার জন্য এই ধরনটিকে দায়ী করা হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এর আগে আইইডিসিআরের পরীক্ষায়ও ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল।
“এটা মোটামুটি অনুমিতই ছিল। ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ধরন পাওয়া মানে এই ধরনটি আমাদের এখানে প্রাধান্য বিস্তার করছে। এটা অবশ্যই ঝুঁকির বিষয়। কারণ এই ধরন খুব দ্রুত ছড়ায়। আক্রান্ত মানুষকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।"
“ধরন যাই হোক, করোনাভাইরাস থেকে প্রতিরোধের একটাই উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা,” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৩৪৫-এ। একই সময়ে আরও ৩ হাজার ৮৪০ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুন) করোনাভাইরাসে ৬০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর শনাক্তের হিসাবে বলা হয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন। সেই হিসাবে শনাক্ত কিছুটা কমলেও ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা শহরে করোনায় আক্রান্তদের বড় একটি অংশের নমুনা পরীক্ষা করে অতিসংক্রামক ভারতীয় ডেল্টা ভ্যরিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বি।
আইসিডিডিআর,বির গবেষকরা গত ২৫ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে ঢাকার ৬০ জন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। এদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে সংক্রমিত ছিলেন বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে। আইসিডিডিআর,বির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডেল্টার ভ্যারিয়েন্টের বাইরে ২২ জনের নমুনায় সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, দুই জনের নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট, একজনের উহান ভ্যারিয়েন্ট ও একজনের নমুনায় অজানা একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
গত মে মাসের শেষ এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬০ জনের নমুনার জেনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে ৬৮ শতাংশের দেহে ডেল্টার সংক্রমণ পেয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
আইসিডিডিআর,বির মিডিয়া ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বৃহস্পতিবার বলেন, “আমাদের ল্যাবে এসব নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।”
দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তা নাম পেয়েছে ডেল্টা।
এই ধরন বা ভ্যারিয়েন্টটি (বি.১.৬১৭.২) অতি সংক্রামক হওয়ায় একে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ভারতের মহামারীতে বিপযস্ত হওয়ার জন্য এই ধরনটিকে দায়ী করা হচ্ছে।
সরকারি সংস্থা আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এর আগে আইইডিসিআরের পরীক্ষায়ও ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল।
“এটা মোটামুটি অনুমিতই ছিল। ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ধরন পাওয়া মানে এই ধরনটি আমাদের এখানে প্রাধান্য বিস্তার করছে। এটা অবশ্যই ঝুঁকির বিষয়। কারণ এই ধরন খুব দ্রুত ছড়ায়। আক্রান্ত মানুষকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।"
“ধরন যাই হোক, করোনাভাইরাস থেকে প্রতিরোধের একটাই উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা,” বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৩৪৫-এ। একই সময়ে আরও ৩ হাজার ৮৪০ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুন) করোনাভাইরাসে ৬০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর শনাক্তের হিসাবে বলা হয়েছিল, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন। সেই হিসাবে শনাক্ত কিছুটা কমলেও ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।