দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। এ আশঙ্কা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার বুলেটিন তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড–১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। পজিটিভিটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে এ অবস্থার মধ্যেও দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত গতকালের তুলনায় বেড়েছে। নতুন করে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ৩০ জন। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭২৭ জনের। রোগী শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। গতকাল ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর শনাক্ত হয়েছিল ৪ হাজার ৮৪৬ জনের। এ তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের, যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ অধিদপ্তরের বুলেটিনে রোবেদ আমিন সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে প্রথম থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ শতাংশের মত হলেও গত সাত দিনের পরিসংখ্যান যাচাই করলে দেখা যাবে মৃত্যুর হার এবং সংক্রমণ শনাক্তের হার বেড়েই যাচ্ছে।"
বিভিন্ন বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় রোবেদ আমিন বলেন, "বরিশাল বিভাগে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিড পজিটিভ হওয়ার হার (সাপ্তাহিক পরিবর্তন হার) বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশে, খুলনাতেও প্রায় ৫০ ভাগ, চট্টগ্রামে প্রায় ৪২ শতাংশ আর ময়মনসিংহে ৬১.৯ ভাগ।"
রোবেদ আমিন বলেন, এই ঊর্ধ্ব সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোভিড–১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, হাসপাতালে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, চিকিৎসক, নার্স এবং যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী আছেন, তাঁদের সেবা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
রোবেদ আমিন বলেন, নিত্যদিনের মতো সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ২২শে জুন থেকে ৯ দিনের জন্য রাজধানীকে দেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে ঢাকার আশেপাশের ৭টি জেলায় নয় দিনের বিশেষ বিধিনিষেধ বা লকডাউন জারি করা হয়েছে।
এর আগে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজশাহী, সাতক্ষীরা-সহ সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় একই ধরনের লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল।
বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। এ আশঙ্কা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার বুলেটিন তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড–১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। পজিটিভিটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে এ অবস্থার মধ্যেও দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত গতকালের তুলনায় বেড়েছে। নতুন করে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ৩০ জন। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭২৭ জনের। রোগী শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। গতকাল ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর শনাক্ত হয়েছিল ৪ হাজার ৮৪৬ জনের। এ তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের, যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ অধিদপ্তরের বুলেটিনে রোবেদ আমিন সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ মানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে প্রথম থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ শতাংশের মত হলেও গত সাত দিনের পরিসংখ্যান যাচাই করলে দেখা যাবে মৃত্যুর হার এবং সংক্রমণ শনাক্তের হার বেড়েই যাচ্ছে।"
বিভিন্ন বিভাগের পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় রোবেদ আমিন বলেন, "বরিশাল বিভাগে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিড পজিটিভ হওয়ার হার (সাপ্তাহিক পরিবর্তন হার) বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশে, খুলনাতেও প্রায় ৫০ ভাগ, চট্টগ্রামে প্রায় ৪২ শতাংশ আর ময়মনসিংহে ৬১.৯ ভাগ।"
রোবেদ আমিন বলেন, এই ঊর্ধ্ব সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোভিড–১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, হাসপাতালে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, চিকিৎসক, নার্স এবং যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী আছেন, তাঁদের সেবা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং মৃত্যু কমিয়ে আনার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
রোবেদ আমিন বলেন, নিত্যদিনের মতো সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। এর ব্যত্যয় হলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ২২শে জুন থেকে ৯ দিনের জন্য রাজধানীকে দেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে ঢাকার আশেপাশের ৭টি জেলায় নয় দিনের বিশেষ বিধিনিষেধ বা লকডাউন জারি করা হয়েছে।
এর আগে কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজশাহী, সাতক্ষীরা-সহ সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় একই ধরনের লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল।