আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে গুলশান থানা থেকে মামলার তদন্তভার ডিবির স্পেশাল সাইবার ক্রাইম বিভাগে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আরও দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গতকাল হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
গুলশানের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ডিবির কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডের গতকাল ছিলো দ্বিতীয় দিন। এছাড়া গুলশান থানায় দায়ের হওয়া আরো একটি মামলাও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে গতকাল।
গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার অভিযানে শেষে ওই বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিদেশি মুদ্রা, হরিণ ও ক্যাঙারুর চামড়া, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। এরপর দিবাগত রাত দুইটার দিকে র্যাবের একটি দল মিরপুরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা টেলিভিশন ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ভবনে অভিযান চালায়। পরদিন ব্রিফিং করে র্যাব জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ভিন্ন আইনে পাঁচটি মামলা করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ টি মামলা করেছে র্যাব।
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। গত ১৭ জানুয়ারি তাঁকে এই পদ দেওয়া হয়। গত রোববার তাঁকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর আগে আওয়ামী চাকুরীজিবি লীগ নামে একটি সংগঠন গঠন এবং শাখা কমিটি দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করলে আলোচনায় আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
র্যাবের দাবী ছিলো হেলেনা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংস্থা সম্পর্কে বিব্রান্তিকর মন্তব্য ও তথ্য প্রকাশ করতেন। জয়াত্রা ফাউন্ডেশনের নামে প্রতারনা করতেন। খ্যাতি অর্জন করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে তাদের সঙ্গে ছবি তোলে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতেন। বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে প্রতারণা করতেন।
রোববার, ০১ আগস্ট ২০২১
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে গুলশান থানা থেকে মামলার তদন্তভার ডিবির স্পেশাল সাইবার ক্রাইম বিভাগে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আরও দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গতকাল হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
গুলশানের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ডিবির কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডের গতকাল ছিলো দ্বিতীয় দিন। এছাড়া গুলশান থানায় দায়ের হওয়া আরো একটি মামলাও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে গতকাল।
গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার অভিযানে শেষে ওই বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিদেশি মুদ্রা, হরিণ ও ক্যাঙারুর চামড়া, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। এরপর দিবাগত রাত দুইটার দিকে র্যাবের একটি দল মিরপুরে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা টেলিভিশন ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ভবনে অভিযান চালায়। পরদিন ব্রিফিং করে র্যাব জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ভিন্ন আইনে পাঁচটি মামলা করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ টি মামলা করেছে র্যাব।
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। গত ১৭ জানুয়ারি তাঁকে এই পদ দেওয়া হয়। গত রোববার তাঁকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর আগে আওয়ামী চাকুরীজিবি লীগ নামে একটি সংগঠন গঠন এবং শাখা কমিটি দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করলে আলোচনায় আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
র্যাবের দাবী ছিলো হেলেনা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংস্থা সম্পর্কে বিব্রান্তিকর মন্তব্য ও তথ্য প্রকাশ করতেন। জয়াত্রা ফাউন্ডেশনের নামে প্রতারনা করতেন। খ্যাতি অর্জন করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে তাদের সঙ্গে ছবি তোলে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতেন। বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে প্রতারণা করতেন।