জয়যাত্রা টিলিভিশন আইপিটিভির নামে স্যাটেলাইট টিভি পরিচালনা করে আসছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। বিশ্বের প্রায় ৩৪টি দেশে এটির সম্প্রচার ছিল। এটি ২০১৮ সাল থেকে হংকংয়ের একটি ডাউন লিংক চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার হয়ে আসছিল। ফ্রিকুয়েন্সির জন্য হংকংকে প্রতি মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করা হতো। যদিও হংকং থেকে বরাদ্দ ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের কোন বৈধ অনুমোদন নেই।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘দুই সহযোগী’কে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী থেকে হাজেরা খাতুন (৪০) ও সানাউল্ল্যা নূরী (৪৭) নামে হেলেনার এই ‘দুই সহযোগী’কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তির মানহানি অভিযোগ উঠেছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, “সম্প্রচারের জন্য ক্যাবল ব্যবসায়ীদের নিকট রিসিভার জয়যাত্রা টিভি বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতিনিধিরা ক্যাবল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সম্প্রচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুত করা হতো। এই টিভি বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি জেলায় সম্প্রচারিত হতো।”
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “জয়যাত্রা টেলিভিশন আইপিটিভির নামে স্যাটেলাইট টিভি পরিচালনা করে আসছিল। স্যাটেলাইট টিভি সম্প্রচারের সমস্ত কিছু সেখানে ছিল। হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিয়ে আসতেন। সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে হাজির করার চেষ্টা করতেন। আমরা দেখেছি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি ব্যবহার করতেন, যেগুলো নিজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য, বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণার জন্য। আপনারা যেটা বলেছেন, সেটা এই ধরনের প্রতারণার অংশ কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা খতিয়ে দেখছে।”
গ্রেপ্তার দুজন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাজেরা হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন মিরপুরে একটি গার্মেন্টসের অ্যাডমিন (এইচ আর) পদে চাকরি শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের’ ডিজিএম হিসেবে নিয়োগ পান। ‘জয়যাত্রা টিভি’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জিএম (অ্যাডমিন) হন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ তাঁর আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন।
সানাউল্ল্যা নুরী জয়যাত্রা টিভি’র প্রতিনিধি সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীরের নির্দেশনায় প্রতিনিধিদের সমন্বয় সাধন করতেন। প্রতিনিধিদের কেউ মাসিক টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বা গড়িমসি করলে তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। এলাকাতে তাঁর নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তিনি গাজীপুর গার্মেন্টস সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে এর একটি অংশ জয়যাত্রা টিভিতে দিতেন বলে জানান। এ ছাড়াও তিনি গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টিভির সম্প্রচার নিশ্চিত করতেন।
টাকা নিয়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হতো জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, “প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অধিকসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছিল। বিশ্বের প্রায় ৩৪টি দেশে এই টিভির সম্প্রচারিত হতো। যেসব দেশে সম্প্রচারিত হতো সেসব দেশে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হতো।”
মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
জয়যাত্রা টিলিভিশন আইপিটিভির নামে স্যাটেলাইট টিভি পরিচালনা করে আসছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। বিশ্বের প্রায় ৩৪টি দেশে এটির সম্প্রচার ছিল। এটি ২০১৮ সাল থেকে হংকংয়ের একটি ডাউন লিংক চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার হয়ে আসছিল। ফ্রিকুয়েন্সির জন্য হংকংকে প্রতি মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করা হতো। যদিও হংকং থেকে বরাদ্দ ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের কোন বৈধ অনুমোদন নেই।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘দুই সহযোগী’কে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী থেকে হাজেরা খাতুন (৪০) ও সানাউল্ল্যা নূরী (৪৭) নামে হেলেনার এই ‘দুই সহযোগী’কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তির মানহানি অভিযোগ উঠেছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, “সম্প্রচারের জন্য ক্যাবল ব্যবসায়ীদের নিকট রিসিভার জয়যাত্রা টিভি বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতিনিধিরা ক্যাবল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সম্প্রচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুত করা হতো। এই টিভি বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি জেলায় সম্প্রচারিত হতো।”
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “জয়যাত্রা টেলিভিশন আইপিটিভির নামে স্যাটেলাইট টিভি পরিচালনা করে আসছিল। স্যাটেলাইট টিভি সম্প্রচারের সমস্ত কিছু সেখানে ছিল। হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিয়ে আসতেন। সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে হাজির করার চেষ্টা করতেন। আমরা দেখেছি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি ব্যবহার করতেন, যেগুলো নিজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য, বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণার জন্য। আপনারা যেটা বলেছেন, সেটা এই ধরনের প্রতারণার অংশ কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা খতিয়ে দেখছে।”
গ্রেপ্তার দুজন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাজেরা হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন মিরপুরে একটি গার্মেন্টসের অ্যাডমিন (এইচ আর) পদে চাকরি শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের’ ডিজিএম হিসেবে নিয়োগ পান। ‘জয়যাত্রা টিভি’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জিএম (অ্যাডমিন) হন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ তাঁর আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন।
সানাউল্ল্যা নুরী জয়যাত্রা টিভি’র প্রতিনিধি সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীরের নির্দেশনায় প্রতিনিধিদের সমন্বয় সাধন করতেন। প্রতিনিধিদের কেউ মাসিক টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বা গড়িমসি করলে তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। এলাকাতে তাঁর নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তিনি গাজীপুর গার্মেন্টস সেক্টরে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে এর একটি অংশ জয়যাত্রা টিভিতে দিতেন বলে জানান। এ ছাড়াও তিনি গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টিভির সম্প্রচার নিশ্চিত করতেন।
টাকা নিয়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হতো জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, “প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অধিকসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছিল। বিশ্বের প্রায় ৩৪টি দেশে এই টিভির সম্প্রচারিত হতো। যেসব দেশে সম্প্রচারিত হতো সেসব দেশে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হতো।”