চীনের বিপক্ষে কৌশলগত নতুন এক নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। এই চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করবে অস্ট্রেলিয়া।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তি অনুযায়ী তিনটি দেশ তাদের উন্নত সামরিক প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করতে পারবে।
‘আকুস’ নামের এই উদ্যোগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং সাইবার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে দেশগুলো। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি ও ক্রমবর্ধমান শক্তি বাড়ানোয় উদ্বিগ্ন তিন দেশ।
চুক্তির পর অস্ট্রেলিয়া ফরাসী নকশা করা সাবমেরিন তৈরির চুক্তি বাতিল করেছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন তৈরির জন্য ফ্রান্সের সাথে ৫০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছিলো। যা দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থের সামরিক চুক্তি।
নতুন এই প্রতিরক্ষা চুক্তিকে চীনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দৃশ্যমান সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এমন এক সময় চুক্তিটি কার্যকর হলো- যখন দক্ষিণ চীন সাগর থেকে উত্তরে তাইওয়ান পর্যন্ত বিস্তৃত জলসীমায় নিয়মিত টহল শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে বহুদিন ধরেই ওই অঞ্চলকে চীনের অংশ দাবি করে আসছে। পাশাপাশি সেখানে ‘বহিঃশক্তি’র উপস্থিতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে বেইজিং।
তিন বছর আগে হুয়াওয়েকে নিজেদের টেলিকম নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ করে চীনের বিরাগভাজনে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া।
এখন আবার পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন চুক্তির মাধ্যমে দেশটি চীনবিরোধী জোটের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিতে অনেকখানি এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
চীনের বিপক্ষে কৌশলগত নতুন এক নিরাপত্তা চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। এই চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করবে অস্ট্রেলিয়া।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তি অনুযায়ী তিনটি দেশ তাদের উন্নত সামরিক প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করতে পারবে।
‘আকুস’ নামের এই উদ্যোগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং সাইবার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে দেশগুলো। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি ও ক্রমবর্ধমান শক্তি বাড়ানোয় উদ্বিগ্ন তিন দেশ।
চুক্তির পর অস্ট্রেলিয়া ফরাসী নকশা করা সাবমেরিন তৈরির চুক্তি বাতিল করেছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১২টি সাবমেরিন তৈরির জন্য ফ্রান্সের সাথে ৫০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছিলো। যা দু’দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থের সামরিক চুক্তি।
নতুন এই প্রতিরক্ষা চুক্তিকে চীনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দৃশ্যমান সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এমন এক সময় চুক্তিটি কার্যকর হলো- যখন দক্ষিণ চীন সাগর থেকে উত্তরে তাইওয়ান পর্যন্ত বিস্তৃত জলসীমায় নিয়মিত টহল শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে বহুদিন ধরেই ওই অঞ্চলকে চীনের অংশ দাবি করে আসছে। পাশাপাশি সেখানে ‘বহিঃশক্তি’র উপস্থিতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে বেইজিং।
তিন বছর আগে হুয়াওয়েকে নিজেদের টেলিকম নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ করে চীনের বিরাগভাজনে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া।
এখন আবার পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন চুক্তির মাধ্যমে দেশটি চীনবিরোধী জোটের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিতে অনেকখানি এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।