৩৮ পুলিশ সুপারের (এসপি) পদোন্নতি পাওয়ার চার মাস পরও পদায়ন হয়নি। ফলে তাদের বেতনও আটকে আছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা যায়, গত (৪ মে) ২৭তম ব্যাচের ৬৩ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে পদোন্নতি দিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) করা হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়। বাকি ৪৮ জনকে র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক হিসেবে পদায়নের জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে র্যাব জানায়, বিভিন্ন ব্যাটালিয়নে উপপরিচালকের ৯টি পদ খালি আছে, বাকিগুলো পূর্ণ। এই পদে ৯ জন এসপিকে রেখে বাকি ৩৯ জনকে ফিরিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানায় র্যাব।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৯ জনের পদায়ন বাতিল করে তাদের পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করে। তাদের মধ্যে একজনের ‘নেতিবাচক’ কল রেকর্ড ফাঁস হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২০০৪ সালে র্যাব গঠনের সময় কোন বাহিনী থেকে কতজন র্যাবে যোগ দেবেন, সে সম্পর্কে একটি অফিস আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে আসবেন ৪৪ শতাংশ সদস্য। বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও আসবেন ৪৪ শতাংশ, বাকি ১২ শতাংশের আসার কথা বাংলাদেশ রাইফেলস, আনসার, ভিডিপি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও সিভিল প্রশাসন থেকে। পুলিশে যে ব্যাচের পদোন্নতি হলো, সেই একই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় অংশের আগেই উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি হয়েছে। র্যাবে পদগুলো খালি থাকায় এতসংখ্যক পুলিশ সুপারকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন উপপরিচালক পদে এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা না পাওয়ায় সেই পদগুলোয় এখন আছেন সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। ৯টি উপপরিচালকের পদ খালি থাকায় সেখানে ৯ জন পুলিশ সুপারকে রাখা হয়েছে।
এদিকে একজন পুলিশ সুপার বলেন, তিনি আগে দক্ষতার সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ পদোন্নতি হলেও পাঁচ মাস ধরে তাদের কোনো পদায়ন হয়নি। ওই সময় থেকে তাদের বেতনও বন্ধ রয়েছে।
একাধিক পুলিশ সুপার বলেন, ৩৮ পুলিশ সুপারের ওপর তাদের পরিবার নির্ভরশীল। তাদের মধ্যে কারও ওপর আবার মা-বাবা, ভাই-বোনও নির্ভরশীল। পাঁচ মাস বেতন বন্ধ থাকায় তারা এখন ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ৩৮ পুলিশ সুপারের পদায়ন ও বেতন–জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে। তাদের পুলিশ সদর দপ্তরে পদায়নের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী এক–দুই মাসের মধ্যে ৩৮ পুলিশ সুপারের পদায়ন হয়ে যাবে। তখন তাদের বেতন নিয়ে জটিলতাও থাকবে না।
বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
৩৮ পুলিশ সুপারের (এসপি) পদোন্নতি পাওয়ার চার মাস পরও পদায়ন হয়নি। ফলে তাদের বেতনও আটকে আছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা যায়, গত (৪ মে) ২৭তম ব্যাচের ৬৩ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে পদোন্নতি দিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) করা হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়। বাকি ৪৮ জনকে র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের উপপরিচালক হিসেবে পদায়নের জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে র্যাব জানায়, বিভিন্ন ব্যাটালিয়নে উপপরিচালকের ৯টি পদ খালি আছে, বাকিগুলো পূর্ণ। এই পদে ৯ জন এসপিকে রেখে বাকি ৩৯ জনকে ফিরিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানায় র্যাব।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৯ জনের পদায়ন বাতিল করে তাদের পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করে। তাদের মধ্যে একজনের ‘নেতিবাচক’ কল রেকর্ড ফাঁস হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২০০৪ সালে র্যাব গঠনের সময় কোন বাহিনী থেকে কতজন র্যাবে যোগ দেবেন, সে সম্পর্কে একটি অফিস আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে আসবেন ৪৪ শতাংশ সদস্য। বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও আসবেন ৪৪ শতাংশ, বাকি ১২ শতাংশের আসার কথা বাংলাদেশ রাইফেলস, আনসার, ভিডিপি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও সিভিল প্রশাসন থেকে। পুলিশে যে ব্যাচের পদোন্নতি হলো, সেই একই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় অংশের আগেই উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি হয়েছে। র্যাবে পদগুলো খালি থাকায় এতসংখ্যক পুলিশ সুপারকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন উপপরিচালক পদে এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা না পাওয়ায় সেই পদগুলোয় এখন আছেন সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। ৯টি উপপরিচালকের পদ খালি থাকায় সেখানে ৯ জন পুলিশ সুপারকে রাখা হয়েছে।
এদিকে একজন পুলিশ সুপার বলেন, তিনি আগে দক্ষতার সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ পদোন্নতি হলেও পাঁচ মাস ধরে তাদের কোনো পদায়ন হয়নি। ওই সময় থেকে তাদের বেতনও বন্ধ রয়েছে।
একাধিক পুলিশ সুপার বলেন, ৩৮ পুলিশ সুপারের ওপর তাদের পরিবার নির্ভরশীল। তাদের মধ্যে কারও ওপর আবার মা-বাবা, ভাই-বোনও নির্ভরশীল। পাঁচ মাস বেতন বন্ধ থাকায় তারা এখন ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ৩৮ পুলিশ সুপারের পদায়ন ও বেতন–জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে। তাদের পুলিশ সদর দপ্তরে পদায়নের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী এক–দুই মাসের মধ্যে ৩৮ পুলিশ সুপারের পদায়ন হয়ে যাবে। তখন তাদের বেতন নিয়ে জটিলতাও থাকবে না।