২০২২ সালের শেষের দিকে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে করে যাওয়া যাবে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে। এমন স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। দ্রুত এগিয়ে চলছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের নির্মাণকাজ। পর্যটকদের সেবা দিতে সাগরপাড়ে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের রেল স্টেশন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানালেন, নানান জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করে তৃতীয় তলার কাজ শুরু হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে যে ট্রেনগুলো থাকবে সেগুলো উন্নত ও আরামদায়ক হবে। এটা হবে ট্যুরিস্টদের জন্য উপযোগী। সেই ট্রেনগুলোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি রেল স্টেশন থাকবে। সেগুলো হলো দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। এ সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় একটি আইকনিক ঝিনুক তৈরি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঝিনুকটির দুই অংশের মাঝে ফাঁকা থাকবে ৬ তলা উচ্চতার সমান। এই ঝিনুকটির পেটে হবে মূল স্টেশন, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের সব সুবিধা। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন বলেন, যাত্রী নামার পরে এখানে সব ধরনের সুবিধা থাকবে। হোটেল, ফুড কোর্ট ও অন্যান্য শপিং মল সব কিছু থাকবে। এই স্টেশনের সব কিছু অটোমেটিক সিস্টেমে হবে। স্টেশনটি দ্বিতীয় তলার ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে যাত্রীরা উঠবেন ট্রেনে। এখানে ৬ তলা স্টেশন ভবনে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম, শিশু যত্ন কেন্দ্র, খেলার জায়গা, রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, মিলনায়তনসহ আধুনিক সব সুবিধা থাকবে। করোনা ও বর্ষা মৌসুমে কাজে কিছু বাধা সৃষ্টি হলেও এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে কাজ।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের মেকানিক্যাল ম্যানেজার আকরামুজ্জামান বলেন, যেহেতু আমরা বর্ষা মৌসুমে কাজ করতে পারিনি, এ জন্য এখন অতিরিক্ত জনবল জোগাড় করেছি, যাতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারি। কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার আব্দুল জব্বার মিলন বলেন, এখন আমার কনস্ট্রাশনের কাজ চলছে। প্লাটফর্মের কাজটাও আমরা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। তাই আমরা আশাবাদী ২০২২ সালের মধ্যে আমরা এই কাজ শেষ করতে পারব।
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
২০২২ সালের শেষের দিকে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে করে যাওয়া যাবে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে। এমন স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। দ্রুত এগিয়ে চলছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের নির্মাণকাজ। পর্যটকদের সেবা দিতে সাগরপাড়ে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের রেল স্টেশন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানালেন, নানান জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করে তৃতীয় তলার কাজ শুরু হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে যে ট্রেনগুলো থাকবে সেগুলো উন্নত ও আরামদায়ক হবে। এটা হবে ট্যুরিস্টদের জন্য উপযোগী। সেই ট্রেনগুলোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি রেল স্টেশন থাকবে। সেগুলো হলো দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। এ সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় একটি আইকনিক ঝিনুক তৈরি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঝিনুকটির দুই অংশের মাঝে ফাঁকা থাকবে ৬ তলা উচ্চতার সমান। এই ঝিনুকটির পেটে হবে মূল স্টেশন, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের সব সুবিধা। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন বলেন, যাত্রী নামার পরে এখানে সব ধরনের সুবিধা থাকবে। হোটেল, ফুড কোর্ট ও অন্যান্য শপিং মল সব কিছু থাকবে। এই স্টেশনের সব কিছু অটোমেটিক সিস্টেমে হবে। স্টেশনটি দ্বিতীয় তলার ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে যাত্রীরা উঠবেন ট্রেনে। এখানে ৬ তলা স্টেশন ভবনে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম, শিশু যত্ন কেন্দ্র, খেলার জায়গা, রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, মিলনায়তনসহ আধুনিক সব সুবিধা থাকবে। করোনা ও বর্ষা মৌসুমে কাজে কিছু বাধা সৃষ্টি হলেও এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে কাজ।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের মেকানিক্যাল ম্যানেজার আকরামুজ্জামান বলেন, যেহেতু আমরা বর্ষা মৌসুমে কাজ করতে পারিনি, এ জন্য এখন অতিরিক্ত জনবল জোগাড় করেছি, যাতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারি। কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার আব্দুল জব্বার মিলন বলেন, এখন আমার কনস্ট্রাশনের কাজ চলছে। প্লাটফর্মের কাজটাও আমরা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। তাই আমরা আশাবাদী ২০২২ সালের মধ্যে আমরা এই কাজ শেষ করতে পারব।