পর্যটন শিল্প বর্তমান বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী।
আগামীকাল ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২১’ পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষ্টি-ঐতিহ্য আর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদী নালা, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থান, পাহাড়, বন, জলপ্রপাত, চা বাগান এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। বিশ্বের বৃহত্তম অবারিত বালুকাময় সমুদ্র সৈকতটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওড়, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। সবুজে ঘেরা গ্রামীণ নয়নাভিরাম সৌন্দর্যও ছুটির দিনে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে সেলক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এসব পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সবাই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একসঙ্গে অপার সম্ভাবনাময় এই পর্যটন শিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সংশি¬ষ্ট সেবাখাতসমূহে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসএর সাফল্য কামনা করেন।
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
পর্যটন শিল্প বর্তমান বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পর্যটনের গুরুত্ব অবশ্যম্ভাবী।
আগামীকাল ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২১’ পালন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী আজ দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষ্টি-ঐতিহ্য আর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদী নালা, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থান, পাহাড়, বন, জলপ্রপাত, চা বাগান এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। বিশ্বের বৃহত্তম অবারিত বালুকাময় সমুদ্র সৈকতটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওড়, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। সবুজে ঘেরা গ্রামীণ নয়নাভিরাম সৌন্দর্যও ছুটির দিনে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এই শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে সেলক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এসব পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সবাই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একসঙ্গে অপার সম্ভাবনাময় এই পর্যটন শিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সংশি¬ষ্ট সেবাখাতসমূহে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসএর সাফল্য কামনা করেন।