আজ ২৪ নভেম্বর; দৈনিক ‘সংবাদ’-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এদিন কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ তার পরিবার ও আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ি মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম, সকাল ১০টায় মরহুমের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পন, সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা, কাঙালি ভোজ, এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন এবং বাদ আছর এলাকার সব মসজিদে দোয়া মাহফিল।
আহমদুল কবিরের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালে। বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৪২-৪৩ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় যোগদান করেন। আহমদুল কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে প্রধান সম্পাদক হন এবং আমৃত্যু এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৯ এবং ১৯৮৬ সালে নরসিংদী-২ (পলাশ-শিবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। আশির দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন।
আহমদুল কবির দৈনিক সংবাদ প্রকাশনার দায়িত্ব নেয়ার আগে সংবাদ ছিল তখনকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের দলীয় সংবাদপত্র। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মুসলিম লীগ দৈনিক সংবাদ বিক্রি করে দেয়। এ সময় সংবাদ কিনে নেন আহমদুল কবির। তারপরই পাল্টে যায় সংবাদ-এর নীতি আদর্শ। শুরুতে সংবাদ ছিল সাম্প্রদায়িক আদর্শের সংবাদপত্র। আহমদুল কবিরের হাতে আসার পরই দৈনিক সংবাদ তখনকার পাকিস্তানে এবং পরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শের একটি সংবাদপত্র হিসেবে পাঠকের মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়। আর এটা সম্ভব হয়েছিল আহমদুল কবিরের বস্তুনিষ্ঠ এবং সৃজনশীল প্রয়াসের কারণে। যে আদর্শ তিনি তার মধ্যে জীবনের শুরু থেকেই ধারণ করেছিলেন।
প্রয়াত আহমদুল কবিরের স্ত্রী লায়লা রহমান কবির দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তার বড় ছেলে আলতামাশ কবির ‘সংবাদ’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক, দ্বিতীয় ছেলে আরদাশির কবির দেশের বিশিষ্ট চা ব্যবসায়ী এবং একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
আজ ২৪ নভেম্বর; দৈনিক ‘সংবাদ’-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এদিন কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আহমদুল কবিরের (মনু মিয়া) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ তার পরিবার ও আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ি মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম, সকাল ১০টায় মরহুমের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পন, সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা, কাঙালি ভোজ, এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন এবং বাদ আছর এলাকার সব মসজিদে দোয়া মাহফিল।
আহমদুল কবিরের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালে। বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৪২-৪৩ সালে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় যোগদান করেন। আহমদুল কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে প্রধান সম্পাদক হন এবং আমৃত্যু এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৯ এবং ১৯৮৬ সালে নরসিংদী-২ (পলাশ-শিবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। আশির দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন।
আহমদুল কবির দৈনিক সংবাদ প্রকাশনার দায়িত্ব নেয়ার আগে সংবাদ ছিল তখনকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের দলীয় সংবাদপত্র। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মুসলিম লীগ দৈনিক সংবাদ বিক্রি করে দেয়। এ সময় সংবাদ কিনে নেন আহমদুল কবির। তারপরই পাল্টে যায় সংবাদ-এর নীতি আদর্শ। শুরুতে সংবাদ ছিল সাম্প্রদায়িক আদর্শের সংবাদপত্র। আহমদুল কবিরের হাতে আসার পরই দৈনিক সংবাদ তখনকার পাকিস্তানে এবং পরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শের একটি সংবাদপত্র হিসেবে পাঠকের মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়। আর এটা সম্ভব হয়েছিল আহমদুল কবিরের বস্তুনিষ্ঠ এবং সৃজনশীল প্রয়াসের কারণে। যে আদর্শ তিনি তার মধ্যে জীবনের শুরু থেকেই ধারণ করেছিলেন।
প্রয়াত আহমদুল কবিরের স্ত্রী লায়লা রহমান কবির দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তার বড় ছেলে আলতামাশ কবির ‘সংবাদ’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক, দ্বিতীয় ছেলে আরদাশির কবির দেশের বিশিষ্ট চা ব্যবসায়ী এবং একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।