গোপালগঞ্জে সহিংসতার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক’ হরতালের ডাক দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের চার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনগুলো।
এই বিবৃতি সংগঠনগুলোর ফেইসবুক পেইজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে তারা অভিযোগ করেছে, গোপালগঞ্জে ‘নির্বিচারে’ গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। পাশাপাশি তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে বিচারপ্রক্রার বিরোধিতা করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র পদযাত্রা ও সমাবেশ কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এনসিপির অভিযোগ, ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ১২ মে থেকে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ছাত্রলীগকে আরও আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোর দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার “জবরদখল করে জনগণের প্রতিনিধিত্ব ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে” এবং তারা একে ‘খুনি-ফ্যাসিস্ট’ সরকার হিসেবে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।
এর আগে ১৬ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিতেও মাঠে দেখা যায়নি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের। এবার হরতাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, “যেকোনো হুমকি বা ইস্যু বিবেচনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।”
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে সহিংসতার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক’ হরতালের ডাক দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের চার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন—যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনগুলো।
এই বিবৃতি সংগঠনগুলোর ফেইসবুক পেইজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে তারা অভিযোগ করেছে, গোপালগঞ্জে ‘নির্বিচারে’ গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। পাশাপাশি তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে বিচারপ্রক্রার বিরোধিতা করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে।
গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র পদযাত্রা ও সমাবেশ কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এনসিপির অভিযোগ, ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে হামলা চালায়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ১২ মে থেকে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ছাত্রলীগকে আরও আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোর দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার “জবরদখল করে জনগণের প্রতিনিধিত্ব ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে” এবং তারা একে ‘খুনি-ফ্যাসিস্ট’ সরকার হিসেবে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।
এর আগে ১৬ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিতেও মাঠে দেখা যায়নি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের। এবার হরতাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, “যেকোনো হুমকি বা ইস্যু বিবেচনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।”