গত এক মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর এসেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৮ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গতকাল থেকে সাংবাদিকরা আমার কাছে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থায় কেমন জানতে চাইছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতই আছে। গতকাল রাত থেকে তার শরীরে জ্বর এসেছে। হঠাৎ জ্বর আসার কারণ ইনভেস্টিগেট করছেন চিকিৎসকরা। তবে রাত থেকেই জ্বর সারানোর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আবার তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসবে। খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা কেমন হবে সে বিষয়ে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ৯ মে তৃতীয়বার করোনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তার।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ‘খুব ধীর গতিতে’ উন্নতি হচ্ছে। এখনো তার শরীরে পোস্ট-কোভিড বেশকিছু জটিলতা রয়েছে। তার হার্ট ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যার চিকিৎসা চলছে।
এ অবস্থায় ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে সিসিইউর বাইরে রেখে চিকিৎসা দেওয়াটা এখনো নিরাপদ মনে করছেন না চিকিৎসকরা। তাই আরও কিছুদিন তাকে সিসিইউতে থাকতে হবে। এরপর শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে সিসিইউর বাইরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া নিরাপদ মনে করছি না আমরা। কারণ তার হার্ট, কিডনি ও ফুসফুসের যে অবস্থা, তাতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে, তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছি।
চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। কারণ তিনি যেসব রোগে আক্রান্ত সেগুলোর উন্নত চিকিৎসা দেশে পর্যাপ্ত নয়। তার এসব রোগের চিকিৎসা আগে আমেরিকা, লন্ডন ও সৌদি আরবে হয়েছে। আগে যেসব চিকিৎসক তার চিকিৎসা দিয়েছেন, তারাই রোগের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন এবং ভালো চিকিৎসা দিতে পারবেন।
শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
গত এক মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর এসেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৮ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গতকাল থেকে সাংবাদিকরা আমার কাছে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থায় কেমন জানতে চাইছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতই আছে। গতকাল রাত থেকে তার শরীরে জ্বর এসেছে। হঠাৎ জ্বর আসার কারণ ইনভেস্টিগেট করছেন চিকিৎসকরা। তবে রাত থেকেই জ্বর সারানোর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আবার তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসবে। খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা কেমন হবে সে বিষয়ে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ৯ মে তৃতীয়বার করোনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তার।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ‘খুব ধীর গতিতে’ উন্নতি হচ্ছে। এখনো তার শরীরে পোস্ট-কোভিড বেশকিছু জটিলতা রয়েছে। তার হার্ট ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যার চিকিৎসা চলছে।
এ অবস্থায় ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে সিসিইউর বাইরে রেখে চিকিৎসা দেওয়াটা এখনো নিরাপদ মনে করছেন না চিকিৎসকরা। তাই আরও কিছুদিন তাকে সিসিইউতে থাকতে হবে। এরপর শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে সিসিইউর বাইরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া নিরাপদ মনে করছি না আমরা। কারণ তার হার্ট, কিডনি ও ফুসফুসের যে অবস্থা, তাতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে, তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছি।
চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। কারণ তিনি যেসব রোগে আক্রান্ত সেগুলোর উন্নত চিকিৎসা দেশে পর্যাপ্ত নয়। তার এসব রোগের চিকিৎসা আগে আমেরিকা, লন্ডন ও সৌদি আরবে হয়েছে। আগে যেসব চিকিৎসক তার চিকিৎসা দিয়েছেন, তারাই রোগের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন এবং ভালো চিকিৎসা দিতে পারবেন।