নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকান্ডে হতাততের ঘটনায় ‘বাস্তব ভিত্তিক’ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দোষীদের শাস্তি ও হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক মানবন্ধনে এই দাবি জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব, এই লোক দেখানো তদন্ত বাদ দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা নিন। ফ্যাক্টরির মালিক আবুল হাসেমকে জনগণের দাবির মুখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা বলে তাকে যেন আবার ছেড়ে না দেওয়া হয়, সে যেন পার পেয়ে না যায়।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অর্ধ শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি আহত হন অনেক শ্রমিক।
ওই ঘটনায় শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় হাসেম ফুডস লিমিটেডের মালিক মো. আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা ‘নেই’ অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক কলকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকান্ড ঘটছে, এসব অগ্নিকান্ডের পর কিছু হৈ চৈ হয়, বিবৃতি হয়, প্রধানমন্ত্রী শোক দেয়, তারপরে সব চুপ, সব বেমালুম ভুলে যায়। তদন্ত কমিটি হয়, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না অদৃশ্য কারণে।’
কলকারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার সাথে যারা দায়ী সেই মালিক কর্তৃপক্ষের সকলকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি বলেন, সরকারের ‘উচিত ছিল’ অর্ধশতাধিক শ্রমিকের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক ঘোষণা করা।
চলমান লকডাউনে প্রান্তিক মানুষের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে প্রিন্স আরো বলেন, ‘এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নাই। কারণ তারা লিপ সার্ভিসে ব্যস্ত, মুখের কথায় ব্যস্ত, তারা জনগনের কল্যাণে কোনো কাজ করে না।
সরকারকে বলব, অবিলম্বে দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘরে ঘরে পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় মানববন্ধনে দলের শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের সহসভাপতি আবদুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মহিতুল ইসলাম মোহন বক্তব্য দেন।
সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকান্ডে হতাততের ঘটনায় ‘বাস্তব ভিত্তিক’ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দোষীদের শাস্তি ও হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক মানবন্ধনে এই দাবি জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব, এই লোক দেখানো তদন্ত বাদ দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা নিন। ফ্যাক্টরির মালিক আবুল হাসেমকে জনগণের দাবির মুখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা বলে তাকে যেন আবার ছেড়ে না দেওয়া হয়, সে যেন পার পেয়ে না যায়।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অর্ধ শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি আহত হন অনেক শ্রমিক।
ওই ঘটনায় শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় হাসেম ফুডস লিমিটেডের মালিক মো. আবুল হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা ‘নেই’ অভিযোগ করে প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক কলকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকান্ড ঘটছে, এসব অগ্নিকান্ডের পর কিছু হৈ চৈ হয়, বিবৃতি হয়, প্রধানমন্ত্রী শোক দেয়, তারপরে সব চুপ, সব বেমালুম ভুলে যায়। তদন্ত কমিটি হয়, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না অদৃশ্য কারণে।’
কলকারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার সাথে যারা দায়ী সেই মালিক কর্তৃপক্ষের সকলকেই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি বলেন, সরকারের ‘উচিত ছিল’ অর্ধশতাধিক শ্রমিকের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক ঘোষণা করা।
চলমান লকডাউনে প্রান্তিক মানুষের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে প্রিন্স আরো বলেন, ‘এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নাই। কারণ তারা লিপ সার্ভিসে ব্যস্ত, মুখের কথায় ব্যস্ত, তারা জনগনের কল্যাণে কোনো কাজ করে না।
সরকারকে বলব, অবিলম্বে দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘরে ঘরে পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় মানববন্ধনে দলের শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের সহসভাপতি আবদুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মহিতুল ইসলাম মোহন বক্তব্য দেন।