alt

রাজনীতি

মাদারীপুরের আ’লীগের ‘বিরোধ মেটাতে’ শাজাহান খানের ডাকে সাড়া দেননি কেউ

রিপনচন্দ্র মল্লিক, মাদারীপুর : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠনিক ‘বিরোধ মেটাতে’ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভার আয়োজন করেন দলের সভাপতি ম-লীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান। সভায় কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের ছয় নেতাকে চিঠি দিয়ে সভায় থাকার জন্য আহ্বান জানালেও তাঁরা কেউ সভায় যোগ দেয়নি। তবে শাজাহান খানের দাবি, ছয় নেতার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকায় এই সভা পুূনরায় অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের সংগঠনিক বিরোধসহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়। পরে বিরোধ মিটাতে মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের সাত নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন। যার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খানকে।

সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর শাজাহান খান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি ও আনোয়ার হোসেনকে চিঠি দিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকার অনুরোধ জানান। কিন্তু শাজাহান খানের ডাকা সভায় মাদারীপুরের কেন্দ্রীয় এই ছয় নেতার কেউ যোগ দেয়নি।

শাজাহান খানের ডাকা সভায় যোগ না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন, ‘আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগ হওয়ার কথা জানিয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শাজাহান খান নিয়ম মানেন না। তাই তার ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। সভায়ও যোগদান করেনি। তিনি (শাজাহান খান) নিজের মত করে নিজেকে সমন্বয়ক বানিয়ে মিটিং ডাকলেন, আবার তিনি জেলায় তার ভাই ও আওয়ামী বিরোধী লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে যাচ্ছে। শাজাহান খান সেখানে আবার ভারচুয়াল বক্তব্যও দিচ্ছেন। এটা কেমন আচরণ? তার তো দ্বিমুখী আচরণ। তার প্রতি দলের কোন ব্যক্তির আস্থা ও বিশ^াস নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও শাজাহান খান এখনো আওয়ামী লীগ হতে পারেননি। আর পারবেও না। তিনি জাসদই রয়ে গেছেন। তার কথায় আর কাজে মিল নেই। তার সঙ্গে কথা বললে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। তাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আমরা ছয় জন কেউ তার আহ্বানে সাড়া দেইনি। শাজাহান খান সবাইকে নিয়ে এক হয়ে কাজ করবেন বললেও তিনি এখনো উল্টো পথে হাটছেন। তার লোকজন দিয়ে অবৈধভাবে নিজের ইচ্ছে মত মাদারীপুর ও রাজৈর উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পাল্টা কমিটি করাচ্ছেন। তিনি আসলে কি চান তা আমরা কেউ বুঝতেছি না।’

জানতে জাইলে মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সভাটি মঙ্গলবার বিকেলে হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। কারণ মাদারীপুরের আমরা ৭ জনের মধ্যে দুজনই ছিলেন না। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলেই আবার এই সভাটি ডাকা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময়ই দলের নিয়ম মেনে রাজনীতি করি। এখনো তাই করছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় দলকে সংগঠিত করতে ইউনিয়ন পর্যায় সম্মেলন করা হচ্ছে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নেতৃত্বে দিচ্ছেন। এরপরেও জেলা আওয়ামী লীগ ও কিছু নেতাকর্মী আমার বিরোধিতা করে বক্তব্য দিচ্ছে। এটাই তাদের কাজ। এসব নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান দলের বাহিরে তার নিজস্ব কিছু লোক নিয়ে আবার সেই আগের মত তৃনমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তিনি দলের সাংগঠনিক সমস্যা সমাধান নয় বরং সমস্যা সৃষ্টি করাই তার কাজ। দল ঐক্যবদ্ধ হোক তা সে (শাজাহান খান) চায় না। জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে সে কিভাবে সদর ও রাজৈর উপজেলার ইউনিয়নগুলোয় সম্মেলন করে? তিনি আবারও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে চলেছে। যা দলের বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে।’

ছবি

আমি লজ্জিত-দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী, দোষীদের কপালে দুঃখ আছে : পলক

ছবি

যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : শেখ হাসিনা

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ’লীগের

ছবি

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা

ছবি

বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি

মনোনয়নে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা, তবে দল দু’টির বর্জনের ঘোষণা

ছবি

আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির

ছবি

হিটলারের চেয়েও ভয়ঙ্কর নেতানিয়াহু : ওবায়দুল কাদের

ছবি

এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের

সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করছে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে সত্যিকার অর্থে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, গ্রামের মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে

ছবি

এবারের ঈদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুঃখ-কষ্ট নিয়ে এসেছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

ঈদে মধ্যবিত্তরা মুখ লুকিয়ে কাঁদছে: রিজভী

রংপুরে পুনঃ গননা, জাতীয় পার্টির মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজার রহমানকে ৩শ ৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা

ছবি

বিএনপি গণতন্ত্রের শত্রু ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী দল : ওবায়দুল কাদের

ছবি

বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক : ওবায়দুল কাদের

ছবি

রমজানে দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতি সরকারের দোষ নয় , এটা আমাদের রক্তে সমস্যা : এমপি রুমা চক্রবর্তী

ছবি

পাহাড়ে কেএনএফের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা: ওবায়দুল কাদের

ছবি

সরকার নিজেই দস্যুদের মতো আচরণ করছে: রিজভী

ছবি

সকলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান

ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবগত থাকলেও তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেননি: পাহাড় নিয়ে রিজভী

ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিভাগভিত্তিক কমিটি ঘোষণা

বিভক্ত বিএনপি : দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন মাহবুব উদ্দীন খোকন

ছবি

বান্দরবানের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার: সেতুমন্ত্রী

কোন্দলের শঙ্কার মধ্যেই ‘উৎসবমুখর’ উপজেলা ভোটের চ্যালেঞ্জ আ’লীগের

ছবি

ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও বিএনপি ব্যর্থ: কাদের

আগামীকাল আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের মতবিনিময় সভা

ছবি

বুয়েটে চলমান আন্দোলনে ছাত্রদলের সংহতি

ছবি

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

ছবি

সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ঈদের আগে গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি:এবি পার্টির

tab

রাজনীতি

মাদারীপুরের আ’লীগের ‘বিরোধ মেটাতে’ শাজাহান খানের ডাকে সাড়া দেননি কেউ

রিপনচন্দ্র মল্লিক, মাদারীপুর

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠনিক ‘বিরোধ মেটাতে’ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভার আয়োজন করেন দলের সভাপতি ম-লীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান। সভায় কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের ছয় নেতাকে চিঠি দিয়ে সভায় থাকার জন্য আহ্বান জানালেও তাঁরা কেউ সভায় যোগ দেয়নি। তবে শাজাহান খানের দাবি, ছয় নেতার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকায় এই সভা পুূনরায় অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের সংগঠনিক বিরোধসহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়। পরে বিরোধ মিটাতে মাদারীপুরের আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি কার্যনির্বাহী সংসদের মাদারীপুরের সাত নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন। যার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেন মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খানকে।

সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর শাজাহান খান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি ও আনোয়ার হোসেনকে চিঠি দিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকার অনুরোধ জানান। কিন্তু শাজাহান খানের ডাকা সভায় মাদারীপুরের কেন্দ্রীয় এই ছয় নেতার কেউ যোগ দেয়নি।

শাজাহান খানের ডাকা সভায় যোগ না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন, ‘আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা শাজাহান খানকে আওয়ামী লীগ হওয়ার কথা জানিয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শাজাহান খান নিয়ম মানেন না। তাই তার ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। সভায়ও যোগদান করেনি। তিনি (শাজাহান খান) নিজের মত করে নিজেকে সমন্বয়ক বানিয়ে মিটিং ডাকলেন, আবার তিনি জেলায় তার ভাই ও আওয়ামী বিরোধী লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে যাচ্ছে। শাজাহান খান সেখানে আবার ভারচুয়াল বক্তব্যও দিচ্ছেন। এটা কেমন আচরণ? তার তো দ্বিমুখী আচরণ। তার প্রতি দলের কোন ব্যক্তির আস্থা ও বিশ^াস নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও শাজাহান খান এখনো আওয়ামী লীগ হতে পারেননি। আর পারবেও না। তিনি জাসদই রয়ে গেছেন। তার কথায় আর কাজে মিল নেই। তার সঙ্গে কথা বললে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। তাই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আমরা ছয় জন কেউ তার আহ্বানে সাড়া দেইনি। শাজাহান খান সবাইকে নিয়ে এক হয়ে কাজ করবেন বললেও তিনি এখনো উল্টো পথে হাটছেন। তার লোকজন দিয়ে অবৈধভাবে নিজের ইচ্ছে মত মাদারীপুর ও রাজৈর উপজেলার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পাল্টা কমিটি করাচ্ছেন। তিনি আসলে কি চান তা আমরা কেউ বুঝতেছি না।’

জানতে জাইলে মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সভাটি মঙ্গলবার বিকেলে হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। কারণ মাদারীপুরের আমরা ৭ জনের মধ্যে দুজনই ছিলেন না। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলেই আবার এই সভাটি ডাকা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময়ই দলের নিয়ম মেনে রাজনীতি করি। এখনো তাই করছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় দলকে সংগঠিত করতে ইউনিয়ন পর্যায় সম্মেলন করা হচ্ছে। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নেতৃত্বে দিচ্ছেন। এরপরেও জেলা আওয়ামী লীগ ও কিছু নেতাকর্মী আমার বিরোধিতা করে বক্তব্য দিচ্ছে। এটাই তাদের কাজ। এসব নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান দলের বাহিরে তার নিজস্ব কিছু লোক নিয়ে আবার সেই আগের মত তৃনমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তিনি দলের সাংগঠনিক সমস্যা সমাধান নয় বরং সমস্যা সৃষ্টি করাই তার কাজ। দল ঐক্যবদ্ধ হোক তা সে (শাজাহান খান) চায় না। জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে সে কিভাবে সদর ও রাজৈর উপজেলার ইউনিয়নগুলোয় সম্মেলন করে? তিনি আবারও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে চলেছে। যা দলের বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হচ্ছে।’

back to top