আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জনগণ চাইলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেন। আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াৎ-উদ-দৌলা খান, আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুটি দুর্নীতি মামলার একটিতে ৭ বছর, আরেকটিতে ১০ বছর সাজা হয়েছে। মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি এখন বিলাসবহুল বাসায় থাকেন। কোভিড হওয়ায় তিনি হাসপাতালে গেছেন। যেদিন থেকে হাসপাতালে গেছেন সেদিন থেকে বলা শুরু করেছেন- বিদেশে যেতে দেন, বিদেশে যেতে দেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে তখন বিমান চলে না, ট্রেন চলে না, গাড়ি চলে না, জাহাজ চলে না। কিন্ত উনাদেরকে বিদেশ যেতে দিতে হবে। আমরা বললাম চিকিৎসা হচ্ছে, তিনি সুস্থ হয়েছেন। তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। এখনও বলে বিদেশ যেতে দেন। আমরা যদি বাংলাদেশে থেকে মানুষকে সুস্থ করতে পারি, তাহলে বিদেশ যাওয়ার দরকার আছে- এমন তোলেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় উপস্থিত জনগণের মতামত চেয়ে বলেন, আপনারাই বলুন বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না? আপনারা বললে আমি তাকে বিদেশ যেতে দেবো।
তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, তারা ঢাকা শহরে চিকিৎসা নিতে চায় না। চিকিৎসকেরা ওনাকে ভালো করে দিয়েছেন। এখনো ওনারা বলছে আমরা নাকি ভয় পাই ওনাকে বিদেশ যেতে দিতে। যে লোক, যে দল দেশে থেকে অশ্বডিম্ব পাড়ে, সে বিদেশে গিয়ে কী করতে পারে আপনারা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে পরিস্কার বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার ষড়যন্ত্রে ভয় পায় না। ষড়যন্ত্রে একবার জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেব না। আমরা সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি, নির্বাচন ও গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কারণ এদেশে গণতন্ত্র আছে। আপনাদেরকে প্রমাণ করে দিতে হবে যে আমাদের মানুষ ভোট দিতে পারে। এ জন্যে তিনি জনগণকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
পরে আইনমন্ত্রী ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জনগণ চাইলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেন। আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াৎ-উদ-দৌলা খান, আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুটি দুর্নীতি মামলার একটিতে ৭ বছর, আরেকটিতে ১০ বছর সাজা হয়েছে। মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি এখন বিলাসবহুল বাসায় থাকেন। কোভিড হওয়ায় তিনি হাসপাতালে গেছেন। যেদিন থেকে হাসপাতালে গেছেন সেদিন থেকে বলা শুরু করেছেন- বিদেশে যেতে দেন, বিদেশে যেতে দেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে তখন বিমান চলে না, ট্রেন চলে না, গাড়ি চলে না, জাহাজ চলে না। কিন্ত উনাদেরকে বিদেশ যেতে দিতে হবে। আমরা বললাম চিকিৎসা হচ্ছে, তিনি সুস্থ হয়েছেন। তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। এখনও বলে বিদেশ যেতে দেন। আমরা যদি বাংলাদেশে থেকে মানুষকে সুস্থ করতে পারি, তাহলে বিদেশ যাওয়ার দরকার আছে- এমন তোলেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় উপস্থিত জনগণের মতামত চেয়ে বলেন, আপনারাই বলুন বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না? আপনারা বললে আমি তাকে বিদেশ যেতে দেবো।
তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, তারা ঢাকা শহরে চিকিৎসা নিতে চায় না। চিকিৎসকেরা ওনাকে ভালো করে দিয়েছেন। এখনো ওনারা বলছে আমরা নাকি ভয় পাই ওনাকে বিদেশ যেতে দিতে। যে লোক, যে দল দেশে থেকে অশ্বডিম্ব পাড়ে, সে বিদেশে গিয়ে কী করতে পারে আপনারা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে পরিস্কার বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার ষড়যন্ত্রে ভয় পায় না। ষড়যন্ত্রে একবার জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেব না। আমরা সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি, নির্বাচন ও গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কারণ এদেশে গণতন্ত্র আছে। আপনাদেরকে প্রমাণ করে দিতে হবে যে আমাদের মানুষ ভোট দিতে পারে। এ জন্যে তিনি জনগণকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
পরে আইনমন্ত্রী ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।