সরকার পতনের লক্ষ্যে ‘এক দফা’ আন্দোলনে আর কোনো দাবি ‘যোগ না করতে’ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “নির্বাচন নামের শব্দ নিয়ে আমার মনে হয়, আলোচনা না করা ভালো। এখন প্রয়োজন একটাই, একদফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি। আমাদের দরকার হাসিনা সরকারের পতন। এটার মধ্যে অন্য কোনো মসল্লা না লাগানো ভালো।
“দেশে এত সমস্যা, সব সমস্যা নিয়ে কথা না বলে সেই সমস্যা সমাধানের যে অন্তরায়, তাকে যদি আমরা পদত্যাগ করাতে পারি, তাকে যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে সরাতে পারি, তাহলে জনগণই সকল সমস্যা সমাধানের পথ তৈরি করবে। সুতরাং আমাদের সকল চিন্তা-চেতনা-সামর্থ্য একত্রিত করে আমরা একদফায় থাকি। অন্য কোনো দাবি, অন্য কোনো দফা নয়।”
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, “পাঁচটি ফেরেস্তা দিয়ে যদি একটা নির্বাচন কমিশন হয়। আর সরকারে যদি একটা শয়তান থাকে তাহলে ফেরেস্তাও অসহায়, কিছু করার নাই। সুতরাং নির্বাচন কমিশন কী হবে না হবে এই তর্কে সময় দেওয়ার প্রয়োজন নাই।”
গণতন্ত্রের অধিকার মানুষকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আর মানুষ যদি ফিরে না পায় গণতান্ত্রিক অধিকার, তারপর যে ল--ভ- হবে। কী ল--ভ- হবে? আমি দেখি বা না দেখি- সেটা খুব ভয়ানক হবে বাংলাদেশে। সেই ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে দেশটাকে ঠেলে না দেওয়া ভালো।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “আঁচল ধরার টানটা দিয়ে শুরু করেন। সরকার পতনের জন্য এক দফার জন্য প্রস্তুত হোন।
“ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে জনগণকে এক জায়গায় করুন। গায়ের শক্তি না থাকুক, মনের শক্তি থাকতে হবে। আমি বলব, আমরা যখন রাস্তায় থাকতে চাই আপনারা ভয় পাবেন কেনো?
নেতা-কর্মীদের ‘পছন্দ-অপছন্দ’ ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “একটাই অপছন্দ শেখ হাসিনা, একটাই অপছন্দ শেখ হাসিনার সরকার। আর কোনো অপছন্দ আমাদের সামনে নেই এখন।
“সেই কারণেই আমরা একদফার দাবিতে নামি। আর কোনো নেতার দিকে আঙ্গুল তুলেন না। যে পারে করুক, যে পারে না, না করুক। আপনি পারেন আপনি করুন।”
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের উদ্যোগে ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এই আলোচনাসভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সদ্য কারামুক্ত ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইসহাক সরকার, কৃষক দলের সাবেক নেতা রাকিকুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য নেতা বক্তব্য রাখেন।
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
সরকার পতনের লক্ষ্যে ‘এক দফা’ আন্দোলনে আর কোনো দাবি ‘যোগ না করতে’ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “নির্বাচন নামের শব্দ নিয়ে আমার মনে হয়, আলোচনা না করা ভালো। এখন প্রয়োজন একটাই, একদফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি। আমাদের দরকার হাসিনা সরকারের পতন। এটার মধ্যে অন্য কোনো মসল্লা না লাগানো ভালো।
“দেশে এত সমস্যা, সব সমস্যা নিয়ে কথা না বলে সেই সমস্যা সমাধানের যে অন্তরায়, তাকে যদি আমরা পদত্যাগ করাতে পারি, তাকে যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে সরাতে পারি, তাহলে জনগণই সকল সমস্যা সমাধানের পথ তৈরি করবে। সুতরাং আমাদের সকল চিন্তা-চেতনা-সামর্থ্য একত্রিত করে আমরা একদফায় থাকি। অন্য কোনো দাবি, অন্য কোনো দফা নয়।”
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, “পাঁচটি ফেরেস্তা দিয়ে যদি একটা নির্বাচন কমিশন হয়। আর সরকারে যদি একটা শয়তান থাকে তাহলে ফেরেস্তাও অসহায়, কিছু করার নাই। সুতরাং নির্বাচন কমিশন কী হবে না হবে এই তর্কে সময় দেওয়ার প্রয়োজন নাই।”
গণতন্ত্রের অধিকার মানুষকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আর মানুষ যদি ফিরে না পায় গণতান্ত্রিক অধিকার, তারপর যে ল--ভ- হবে। কী ল--ভ- হবে? আমি দেখি বা না দেখি- সেটা খুব ভয়ানক হবে বাংলাদেশে। সেই ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে দেশটাকে ঠেলে না দেওয়া ভালো।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “আঁচল ধরার টানটা দিয়ে শুরু করেন। সরকার পতনের জন্য এক দফার জন্য প্রস্তুত হোন।
“ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে জনগণকে এক জায়গায় করুন। গায়ের শক্তি না থাকুক, মনের শক্তি থাকতে হবে। আমি বলব, আমরা যখন রাস্তায় থাকতে চাই আপনারা ভয় পাবেন কেনো?
নেতা-কর্মীদের ‘পছন্দ-অপছন্দ’ ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “একটাই অপছন্দ শেখ হাসিনা, একটাই অপছন্দ শেখ হাসিনার সরকার। আর কোনো অপছন্দ আমাদের সামনে নেই এখন।
“সেই কারণেই আমরা একদফার দাবিতে নামি। আর কোনো নেতার দিকে আঙ্গুল তুলেন না। যে পারে করুক, যে পারে না, না করুক। আপনি পারেন আপনি করুন।”
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দলের উদ্যোগে ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এই আলোচনাসভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সদ্য কারামুক্ত ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইসহাক সরকার, কৃষক দলের সাবেক নেতা রাকিকুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য নেতা বক্তব্য রাখেন।