জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশে নানা সমস্যা রয়েছে। সেখান থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদ সমবায় দলের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে তার সংস্থা দিয়ে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষতো নির্বাচন ভুলেই গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আর নির্বাচন হয় না। সেই ২০০১ সালে নির্বাচন হয়েছে। তারপরে কী আর নির্বাচন হয়েছে? ২০০৮ সালে অবৈধ ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছে সেটা আমরা সম্পূর্ণভাবে কখনও মেনে নিতে পারিনি। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮-তে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব এমনকি আর্মি দিয়ে আগের রাতেই ভোট কেটে নিয়ে গেছে। সেবার ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের আনসারের পোশাক পরিয়ে প্রত্যেকটা ভোট কেন্দ্রে পাহারা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন সাহেব বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনোভাবেই ইসির দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। সে কারণে পরিষ্কার করে বলছি, আগে পদত্যাগ করুন, একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিন, তারা নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবে, নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা ঠিক করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু সেদিকে তারা যাবে না। তারা বলছে যা আছে তাই হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় আমাদের অস্তিত্বই নেই। এমন এমন কথা বলেন যে মনে হয় তারাই ইতিহাস তৈরি করেন। বুধবার একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, বিএনপি পালায়, আওয়ামী লীগ পালায় না। আওয়ামী লীগতো ১৯৭১সালেই পালিয়েছে। তারা ৭১সালে পাকিস্তানে পালিয়েছিল, বাকিরা সব ভারতে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশে থেকে যুদ্ধ করেছেন। আমরা কখনও পালিয়ে যাবার দল নই।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন তিনি বলেছেন ‘আমাদের এত আয় যে ব্যয় করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না’। তার সেই নিউজের পাশেই দেখলাম দুটো বাচ্চা থালা হাতে সাহায্য চাচ্ছে। অথচ তারা জায়গা খুঁজে পায় না। দুর্ভাগ্য আমাদের যে স্বাধীনতার ৫০বছর পর যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তাদের এমন বক্তব্য শুনতে হয় ও পত্রিকায় দেখতে হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ক্রমেই সরকার গণতান্ত্রিক স্পেস সংকুচিত করছে। পল্টন ময়দান, মানিক মিয়া এভিনিউ, মুক্তাঙ্গনসহ সভা-সমাবেশের জায়গা সংকুচিত করে ফেলছে সরকার। এখন প্রেসক্লাবও বন্ধ করে দিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোভিড–১৯–পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিশ্বের উন্নত হাসপাতালে হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাঁকে সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন প্রাপ্য। তাঁকে মুক্তি দিতে হবে, যাতে তিনি সুচিকিৎসা নিতে পারেন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশে নানা সমস্যা রয়েছে। সেখান থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদ সমবায় দলের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে তার সংস্থা দিয়ে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষতো নির্বাচন ভুলেই গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আর নির্বাচন হয় না। সেই ২০০১ সালে নির্বাচন হয়েছে। তারপরে কী আর নির্বাচন হয়েছে? ২০০৮ সালে অবৈধ ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছে সেটা আমরা সম্পূর্ণভাবে কখনও মেনে নিতে পারিনি। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮-তে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব এমনকি আর্মি দিয়ে আগের রাতেই ভোট কেটে নিয়ে গেছে। সেবার ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের আনসারের পোশাক পরিয়ে প্রত্যেকটা ভোট কেন্দ্রে পাহারা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন সাহেব বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনোভাবেই ইসির দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। সে কারণে পরিষ্কার করে বলছি, আগে পদত্যাগ করুন, একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিন, তারা নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবে, নির্বাচন কীভাবে হবে সেটা ঠিক করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু সেদিকে তারা যাবে না। তারা বলছে যা আছে তাই হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় আমাদের অস্তিত্বই নেই। এমন এমন কথা বলেন যে মনে হয় তারাই ইতিহাস তৈরি করেন। বুধবার একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, বিএনপি পালায়, আওয়ামী লীগ পালায় না। আওয়ামী লীগতো ১৯৭১সালেই পালিয়েছে। তারা ৭১সালে পাকিস্তানে পালিয়েছিল, বাকিরা সব ভারতে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশে থেকে যুদ্ধ করেছেন। আমরা কখনও পালিয়ে যাবার দল নই।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন তিনি বলেছেন ‘আমাদের এত আয় যে ব্যয় করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না’। তার সেই নিউজের পাশেই দেখলাম দুটো বাচ্চা থালা হাতে সাহায্য চাচ্ছে। অথচ তারা জায়গা খুঁজে পায় না। দুর্ভাগ্য আমাদের যে স্বাধীনতার ৫০বছর পর যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তাদের এমন বক্তব্য শুনতে হয় ও পত্রিকায় দেখতে হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ক্রমেই সরকার গণতান্ত্রিক স্পেস সংকুচিত করছে। পল্টন ময়দান, মানিক মিয়া এভিনিউ, মুক্তাঙ্গনসহ সভা-সমাবেশের জায়গা সংকুচিত করে ফেলছে সরকার। এখন প্রেসক্লাবও বন্ধ করে দিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোভিড–১৯–পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিশ্বের উন্নত হাসপাতালে হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাঁকে সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন প্রাপ্য। তাঁকে মুক্তি দিতে হবে, যাতে তিনি সুচিকিৎসা নিতে পারেন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ সংগঠনের নেতারা।