বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে তার দল। পুরোনো সমস্যাগুলোর পাশাপাশি তার ‘নতুন জটিল একটি রোগের উপসর্গ‘ দেখা দিয়েছে বলে বলে কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে। তার বড় বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন খালেদার ‘অবস্থা ভালো না’।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও দলের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলছেন না।
সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সোমবার বিকেল চারটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যগত বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাবেন।
এদিকে শাশুড়িকে দেখতে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। গতকাল রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে যান শর্মিলা। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে রাত ১১টার দিকে বেরিয়ে যান বলে বিএনপি ও বিভিন্ন সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।
তবে খালেদার বড় বোন সেলিমা ইসলাম বলছেন, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা ঢাকায় এসেছেন বলে তিনি পত্রিকায় দেখেছেন। তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ বা কথাবার্তা হয়নি।
সেলিমা ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে জানিয়েছেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) জ্বর আসে, কিডনির সমস্যা আছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও নানা জটিলতা আছে। এ জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলেছি যে তাকে বিদেশে পাঠাব। কিন্তু সরকার তো কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। তাঁর যে জটিলতা এখানে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়, বিদেশে যেতে হবে।’
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুদিন আগে থেকে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। তবে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে দলের উচ্চপর্যায় থেকে নিষেধ আছে বলে চিকিৎসকদের একজন জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকার নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট তিনি দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন। কিন্তু
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরিবারের আবেদনে এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে তার দল। পুরোনো সমস্যাগুলোর পাশাপাশি তার ‘নতুন জটিল একটি রোগের উপসর্গ‘ দেখা দিয়েছে বলে বলে কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে। তার বড় বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন খালেদার ‘অবস্থা ভালো না’।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও দলের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলছেন না।
সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সোমবার বিকেল চারটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যগত বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানাবেন।
এদিকে শাশুড়িকে দেখতে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। গতকাল রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে যান শর্মিলা। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে রাত ১১টার দিকে বেরিয়ে যান বলে বিএনপি ও বিভিন্ন সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।
তবে খালেদার বড় বোন সেলিমা ইসলাম বলছেন, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা ঢাকায় এসেছেন বলে তিনি পত্রিকায় দেখেছেন। তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ বা কথাবার্তা হয়নি।
সেলিমা ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে জানিয়েছেন, ‘তার (খালেদা জিয়ার) জ্বর আসে, কিডনির সমস্যা আছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও নানা জটিলতা আছে। এ জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলেছি যে তাকে বিদেশে পাঠাব। কিন্তু সরকার তো কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। তাঁর যে জটিলতা এখানে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়, বিদেশে যেতে হবে।’
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুদিন আগে থেকে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। তবে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে দলের উচ্চপর্যায় থেকে নিষেধ আছে বলে চিকিৎসকদের একজন জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকার নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট তিনি দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন। কিন্তু
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরিবারের আবেদনে এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।