বাংলাদেশের ক্রিকেট দল ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত মাঠে নেমেছিলো ‘পঞ্চপান্ডব’ নামে পরিচিতি পাওয়া পাঁচ খেলোয়াড় মাশরাফি মোর্তজা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালকে ছাড়া। নেতৃত্বে ছিলেন লিটন কুমার দাস। হতাশার নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ দল সফরের শেষ টি২০ ম্যাচটায় আরো হতাশ করল। নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচে লিটন কুমার দাস আউট হলে রানের খাতা না খুলেই। বৃষ্টির কারণে ১০ ওভারে কমিয়ে আনা ম্যাচে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের তোলা ১৪১ রানের জবাবে পুরো দশ ওভার টিকলই না বাংলাদেশ দল। মাত্র ৭৬ রানে অল আউট হওয়ার সময়ে ম্যাচের বাকী তিন বল। ৬৫ রানের পরাজয়ে টি২০ সিরিজেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
টানা ব্যর্থতার এই সফরের শেষ ম্যাচের পর যথারীতি বাংলাদেশের স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘অনেক কিছুই শিখেছি’। প্রশ্ন ওঠে আর কত শেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল? আফগানিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হেরে সাদা পোশাকের দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও বলেছিলেন, অনেক কিছু শিখেছি।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েই রেখেছিলো আবহাওয়া দপ্তর। সকাল থেকে মুষলধারে চলা বৃষ্টিতে ২০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে দশ ওভারে। কর্তিত ওভারের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৪৪ রানের ছোটোখাটো একটা ঝড় বইয়ে দেন বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্টের ওপর দিয়ে। । তার স্ট্রাইক রেট ২৩১.৫৮। গাপটিলেরটা ঝড় হলে আরেক ওপেনার অ্যালানেরটা ছিলো টর্নেডো বো সুপার সাইক্লোন। তিনি ২৯ বলে তোলেন ৭১ রান, ১০টি বাউন্ডারির সাথে হাঁকান তিনটি ছক্কা। এরপর গ্লেন ফিলিপস (১৪) আর ডেরিল মিচেল (১১) উভয়েই ৬টি করে বলের মোকাবেলায় দুই অংকের কোটায় রান তোলেন। রানের পাহাড়ে চড়ে বসা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ১টি করে উইকেটের পতন ঘটান তাসকিন, শরীফুল আর মেহেদি।
জয়ের জন্য ১৪২ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনোদিনই জয় না পাওয়া বাংলাদেশ দল ৩২ তম পরাজয় হজম করে।
দ্বিতীয় ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার বৃহস্পতিবারও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। টিম সাউদিকে দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে আসা সৌম্য। পরের বলে নেন ২ রান। ওই ওভারের পঞ্চম বলেই সাউদি ফিরতি ক্যাচ নিলে থেমে যান সৌম্য (৪ বলে ১০) চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন সাউদি। একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহর ইনজুরিতে নেতৃত্ব পাওয়া লিটন দাস।
দুই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সব আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ১৩ বলে ১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১৯ রান করে টড অ্যাস্টলের শিকার হন। এটাই বাংলাদেশর কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। একই ওভারের শেষ বলে বহুল বিতর্কিত নাজমুল হোসেন শান্তও ৬ বলে ৮ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেন। ব্যর্থতা অব্যাহত রেখে অ্যাস্টলের শিকারে পরিণত হন আফিফ হোসেন ধ্রুব (৮)। এই লেগস্পিনার ফিরিয়ে দেন মেহেদি হাসানকেও (০)।
৬০ রানে বাংলাদেশের নেই ৭ উইকেট। এদিকে ওভারও কমে আসছিল। তাই ওভার শেষের আগে উইকেট শেষ হবে কিনা- এমন আশঙ্কাও করছিলেন কেউ কেউ। এর মাঝেই তাসকিন আহমেদকে (০) বোল্ড করে দেন লুকি ফার্গুসন। প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪ বলে ১৩ রান করে সাউদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। নাসুম আহমেদকে (৩) গ্লেন ফিলিপস তুলে নিলে ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে গুটিয়ে হয়ে যায় বাংলাদেশ। রুবেল হোসেন ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ফিন অ্যালেন, আর সিরিজ সেরা হয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।
বৃহস্পতিবার, ০১ এপ্রিল ২০২১
বাংলাদেশের ক্রিকেট দল ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত মাঠে নেমেছিলো ‘পঞ্চপান্ডব’ নামে পরিচিতি পাওয়া পাঁচ খেলোয়াড় মাশরাফি মোর্তজা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালকে ছাড়া। নেতৃত্বে ছিলেন লিটন কুমার দাস। হতাশার নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ দল সফরের শেষ টি২০ ম্যাচটায় আরো হতাশ করল। নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচে লিটন কুমার দাস আউট হলে রানের খাতা না খুলেই। বৃষ্টির কারণে ১০ ওভারে কমিয়ে আনা ম্যাচে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের তোলা ১৪১ রানের জবাবে পুরো দশ ওভার টিকলই না বাংলাদেশ দল। মাত্র ৭৬ রানে অল আউট হওয়ার সময়ে ম্যাচের বাকী তিন বল। ৬৫ রানের পরাজয়ে টি২০ সিরিজেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
টানা ব্যর্থতার এই সফরের শেষ ম্যাচের পর যথারীতি বাংলাদেশের স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘অনেক কিছুই শিখেছি’। প্রশ্ন ওঠে আর কত শেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল? আফগানিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হেরে সাদা পোশাকের দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও বলেছিলেন, অনেক কিছু শিখেছি।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েই রেখেছিলো আবহাওয়া দপ্তর। সকাল থেকে মুষলধারে চলা বৃষ্টিতে ২০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে দশ ওভারে। কর্তিত ওভারের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার মার্টিন গাপটিল ১৯ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৪৪ রানের ছোটোখাটো একটা ঝড় বইয়ে দেন বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্টের ওপর দিয়ে। । তার স্ট্রাইক রেট ২৩১.৫৮। গাপটিলেরটা ঝড় হলে আরেক ওপেনার অ্যালানেরটা ছিলো টর্নেডো বো সুপার সাইক্লোন। তিনি ২৯ বলে তোলেন ৭১ রান, ১০টি বাউন্ডারির সাথে হাঁকান তিনটি ছক্কা। এরপর গ্লেন ফিলিপস (১৪) আর ডেরিল মিচেল (১১) উভয়েই ৬টি করে বলের মোকাবেলায় দুই অংকের কোটায় রান তোলেন। রানের পাহাড়ে চড়ে বসা নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ১টি করে উইকেটের পতন ঘটান তাসকিন, শরীফুল আর মেহেদি।
জয়ের জন্য ১৪২ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনোদিনই জয় না পাওয়া বাংলাদেশ দল ৩২ তম পরাজয় হজম করে।
দ্বিতীয় ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার বৃহস্পতিবারও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। টিম সাউদিকে দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে আসা সৌম্য। পরের বলে নেন ২ রান। ওই ওভারের পঞ্চম বলেই সাউদি ফিরতি ক্যাচ নিলে থেমে যান সৌম্য (৪ বলে ১০) চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন সাউদি। একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহর ইনজুরিতে নেতৃত্ব পাওয়া লিটন দাস।
দুই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সব আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ১৩ বলে ১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১৯ রান করে টড অ্যাস্টলের শিকার হন। এটাই বাংলাদেশর কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। একই ওভারের শেষ বলে বহুল বিতর্কিত নাজমুল হোসেন শান্তও ৬ বলে ৮ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেন। ব্যর্থতা অব্যাহত রেখে অ্যাস্টলের শিকারে পরিণত হন আফিফ হোসেন ধ্রুব (৮)। এই লেগস্পিনার ফিরিয়ে দেন মেহেদি হাসানকেও (০)।
৬০ রানে বাংলাদেশের নেই ৭ উইকেট। এদিকে ওভারও কমে আসছিল। তাই ওভার শেষের আগে উইকেট শেষ হবে কিনা- এমন আশঙ্কাও করছিলেন কেউ কেউ। এর মাঝেই তাসকিন আহমেদকে (০) বোল্ড করে দেন লুকি ফার্গুসন। প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪ বলে ১৩ রান করে সাউদির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। নাসুম আহমেদকে (৩) গ্লেন ফিলিপস তুলে নিলে ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে গুটিয়ে হয়ে যায় বাংলাদেশ। রুবেল হোসেন ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ফিন অ্যালেন, আর সিরিজ সেরা হয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।