শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন শেষে ২৫৯ রানে পিছিয়ে মুমিনুল হকের দল।
৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা, শনিবার তৃতীয় দিনে সকালের সেশনে ৩.৩ ওভার খেলার পর। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে একপর্যায়ে ৩ উইকেটে ২১৪ রান ছিল বাংলাদেশের।
তখন ফলোঅন এড়াতে আর ৮০ রান দরকার ছিল। কে ভেবেছিল, বাকিরা মিলে এই রানও করতে পারবে না! কে ভেবেছিল, মাত্র ৩৭ রানের মধ্যেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়বে দল। অবশ্য টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়মিত দেখা থাকলে এমন ব্যাটিং দেখে ভুরু বেশি কুঁচকে যাওয়াই বরং অস্বাভাবিক।
তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে শ্রীলঙ্কাই আবার ব্যাট করতে নেমেছে। বোঝাই যাচ্ছে, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও কিছু রান করে তাড়া করার জন্য বাংলাদেশকে পাহাড়সম লক্ষ্যই দিতে চায় স্বাগতিকরা।
নব্বইয়ে বারবার ধরা খাচ্ছেন তামিম। অন্য ব্যাটসম্যানরাও দাঁড়াতে পারেননি। লঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণির মুখে ব্যাটসম্যানদের সেই প্রতিরোধ বালির বাঁধের মতো উড়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৪৯৩ রানের জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি। তামিমের পাশাপাশি প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হওয়া সাইফ হাসানও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে হঠাৎই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা।
তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়ার পর জয়াবিক্রমার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ রান করেন সাইফ। তার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন প্রথম টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে এবার তিনি আর সুবিধা করতে পারেননি, ফিরে গেছেন শূন্য রানে। মেন্ডিসের বলে থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে শান্ত সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৯৯ রান।
এরপর ব্যাট করতে নামা মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন তামিম। ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার। তবে নড়বড়ে নব্বইয়ে এসে আবারও হতাশায় ডুবতে হয় তাকে। দলীয় ১৫১ রানে তামিমকে আউট করে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান জয়াবিক্রমা। থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তামিম করেন ৯২ রান। এর আগে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করে আউট হয়েছিলেন তামিম।
গত বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নের জোড়া শতকে ভর করে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে করেন ১১৮ রান। এ ছাড়া ওশাদা ফার্নান্দো ৮১ এবং নিরোশান ডিকভেলা ৭৭ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ১২৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।
ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়।
শনিবার, ০১ মে ২০২১
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন শেষে ২৫৯ রানে পিছিয়ে মুমিনুল হকের দল।
৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা, শনিবার তৃতীয় দিনে সকালের সেশনে ৩.৩ ওভার খেলার পর। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে একপর্যায়ে ৩ উইকেটে ২১৪ রান ছিল বাংলাদেশের।
তখন ফলোঅন এড়াতে আর ৮০ রান দরকার ছিল। কে ভেবেছিল, বাকিরা মিলে এই রানও করতে পারবে না! কে ভেবেছিল, মাত্র ৩৭ রানের মধ্যেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়বে দল। অবশ্য টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়মিত দেখা থাকলে এমন ব্যাটিং দেখে ভুরু বেশি কুঁচকে যাওয়াই বরং অস্বাভাবিক।
তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে শ্রীলঙ্কাই আবার ব্যাট করতে নেমেছে। বোঝাই যাচ্ছে, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও কিছু রান করে তাড়া করার জন্য বাংলাদেশকে পাহাড়সম লক্ষ্যই দিতে চায় স্বাগতিকরা।
নব্বইয়ে বারবার ধরা খাচ্ছেন তামিম। অন্য ব্যাটসম্যানরাও দাঁড়াতে পারেননি। লঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণির মুখে ব্যাটসম্যানদের সেই প্রতিরোধ বালির বাঁধের মতো উড়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৪৯৩ রানের জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি। তামিমের পাশাপাশি প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হওয়া সাইফ হাসানও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে হঠাৎই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা।
তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়ার পর জয়াবিক্রমার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ রান করেন সাইফ। তার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন প্রথম টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে এবার তিনি আর সুবিধা করতে পারেননি, ফিরে গেছেন শূন্য রানে। মেন্ডিসের বলে থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে শান্ত সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৯৯ রান।
এরপর ব্যাট করতে নামা মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন তামিম। ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার। তবে নড়বড়ে নব্বইয়ে এসে আবারও হতাশায় ডুবতে হয় তাকে। দলীয় ১৫১ রানে তামিমকে আউট করে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান জয়াবিক্রমা। থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তামিম করেন ৯২ রান। এর আগে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করে আউট হয়েছিলেন তামিম।
গত বৃহস্পতিবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নের জোড়া শতকে ভর করে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে করেন ১১৮ রান। এ ছাড়া ওশাদা ফার্নান্দো ৮১ এবং নিরোশান ডিকভেলা ৭৭ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ১২৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।
ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়।