স্পেনিশ লা লিগা
দুই ব্রাজিলিয়ান এডার মিলিটাও এবং ক্যাসেমিরোর করা গোলে রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার ২-০ গোলে ওসাসুনাকে পরাজিত করে স্পেনিশ লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে। একই দিন জিতেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ফলে পয়েন্ট তালিকার অবস্থানে কোন পরিবর্তন আসেনি। শহরের দুই দলের মধ্যেকার ব্যবধান দুই পয়েন্টে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে পরাজিত করে এলচেকে।
সপ্তাহের মাঝখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে চেলসির বিপক্ষে। তাই কোচ জিদান এ ম্যাচে বিশ্রাম দেন টনি ক্রুস এবং লুকা মড্রিচকে। ফলে মিডফিল্ডে ক্যাসেমিরোর সাথে সুযোগ পান তরুন অ্যান্টনিও ব্লাঙ্কো এবং মার্কো অ্যাসেনসিও। অনেক দিন পর খেলতে নামেন ইডেন হ্যাজার্ড। লা লিগায় আগের দুই ম্যাচে ড্র করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচগুলোতে তাদের খেলায় ছিল ক্লান্তির ছাপ। তবে এ ম্যাচে সে রকম কিছু দেখা যায়নি। শুরু থেকেই তারা আক্রমণ করে খেলেছে। হ্যাজার্ড গোল করতে না পারলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। গোলের সুযোগও তারা তৈরী করেছে কিন্তু গোল করতে পারেনি আক্রমণভাগের কেউই। ওসাসুনার খেলোয়াড়রা নিজেদের দুর্গ সামলাতে সর্বত্মক চেষ্টা করে। ফলে পেনাল্টি বক্সের কাছে কোন ফাকা জায়গা পাচ্ছিল না রিয়ালের খেলোয়াড়রা। ডিফেন্ডার হিসেবে নজর কাড়া মিলিটাও এদিন আক্রমণেও বিশেষ ভুমিকা পালন করেন।বিশেষ করে কর্নার কিক কিংবা ফ্রি কিকের সময়ে পেনাল্টি বক্সে হেড করার জন্য তিনি সেখানে হাজির হন। প্রথমার্ধে তিনি দুটি হেডও করেছিলেন বেশ ভাল। কিন্তু দুইবারই গোলরক্ষক প্রতিহত করেন তার প্রচেষ্টা। কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ওসাসুনাও। তবে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার দৃঢ়তায় তারা রক্ষা পায়। অপর দিকে হ্যাজার্ডের একটি শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে লেগে। বিরতির ঠিক আগে ওসাসুনার চিমি অ্যামিলা দারুন একটি হেড করেছিলেন এবং সেটি জালেও গিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই গতিতে খেলতে থাকে রিয়াল। তবে এ অর্ধের শুরুতে ভারানের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় নাচোকে। ভারানে সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। পরে মাঠে নামানো হয় মিগুয়েল গুটিরেজ এবং রড্রিগোকে যথাক্রমে মার্সেলো এবং ভিনিসিয়ুসের পরিবর্তে। এ পরিবর্তন রিয়ালের খেলায় গতি বাড়ায়। রড্রিগো একটি সুযোগও পান। কিন্তু তার শট চলে যায় বাইরে। শেষ ২০ মিনিট খেলার জন্য মাঠে নামানো হয় হ্যাজার্ডের পরিবর্তে ইসকোকে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা রিয়াল কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় মিলিটাওয়ের হেড থেকে। ইসকোর কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন এ ডিফেন্ডার। ৭৬ মিনিটে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার চার মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন ক্যাসেমিরো। বেনজামার পাস নিয়ন্ত্রনে নিতে গিয়ে বলে একটু জোরে পা লাগিয়ে ফেলেন ক্যাসেমিরো। আর তাতেই বল চলে যায় জালে। ২-০ গোলে জয়ী হয়ে স্বস্তির নিশ^াস ফেলেন কোচ জিদান। এখন তার অভিযান চেলসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসিকে তাদের মাঠে হারাতে পারলেই রিয়াল উঠে যাবে ফাইনালে।
স্পেনিশ লা লিগা
রোববার, ০২ মে ২০২১
দুই ব্রাজিলিয়ান এডার মিলিটাও এবং ক্যাসেমিরোর করা গোলে রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার ২-০ গোলে ওসাসুনাকে পরাজিত করে স্পেনিশ লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে। একই দিন জিতেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ফলে পয়েন্ট তালিকার অবস্থানে কোন পরিবর্তন আসেনি। শহরের দুই দলের মধ্যেকার ব্যবধান দুই পয়েন্টে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে পরাজিত করে এলচেকে।
সপ্তাহের মাঝখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে চেলসির বিপক্ষে। তাই কোচ জিদান এ ম্যাচে বিশ্রাম দেন টনি ক্রুস এবং লুকা মড্রিচকে। ফলে মিডফিল্ডে ক্যাসেমিরোর সাথে সুযোগ পান তরুন অ্যান্টনিও ব্লাঙ্কো এবং মার্কো অ্যাসেনসিও। অনেক দিন পর খেলতে নামেন ইডেন হ্যাজার্ড। লা লিগায় আগের দুই ম্যাচে ড্র করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচগুলোতে তাদের খেলায় ছিল ক্লান্তির ছাপ। তবে এ ম্যাচে সে রকম কিছু দেখা যায়নি। শুরু থেকেই তারা আক্রমণ করে খেলেছে। হ্যাজার্ড গোল করতে না পারলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। গোলের সুযোগও তারা তৈরী করেছে কিন্তু গোল করতে পারেনি আক্রমণভাগের কেউই। ওসাসুনার খেলোয়াড়রা নিজেদের দুর্গ সামলাতে সর্বত্মক চেষ্টা করে। ফলে পেনাল্টি বক্সের কাছে কোন ফাকা জায়গা পাচ্ছিল না রিয়ালের খেলোয়াড়রা। ডিফেন্ডার হিসেবে নজর কাড়া মিলিটাও এদিন আক্রমণেও বিশেষ ভুমিকা পালন করেন।বিশেষ করে কর্নার কিক কিংবা ফ্রি কিকের সময়ে পেনাল্টি বক্সে হেড করার জন্য তিনি সেখানে হাজির হন। প্রথমার্ধে তিনি দুটি হেডও করেছিলেন বেশ ভাল। কিন্তু দুইবারই গোলরক্ষক প্রতিহত করেন তার প্রচেষ্টা। কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ওসাসুনাও। তবে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার দৃঢ়তায় তারা রক্ষা পায়। অপর দিকে হ্যাজার্ডের একটি শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে লেগে। বিরতির ঠিক আগে ওসাসুনার চিমি অ্যামিলা দারুন একটি হেড করেছিলেন এবং সেটি জালেও গিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই গতিতে খেলতে থাকে রিয়াল। তবে এ অর্ধের শুরুতে ভারানের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় নাচোকে। ভারানে সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। পরে মাঠে নামানো হয় মিগুয়েল গুটিরেজ এবং রড্রিগোকে যথাক্রমে মার্সেলো এবং ভিনিসিয়ুসের পরিবর্তে। এ পরিবর্তন রিয়ালের খেলায় গতি বাড়ায়। রড্রিগো একটি সুযোগও পান। কিন্তু তার শট চলে যায় বাইরে। শেষ ২০ মিনিট খেলার জন্য মাঠে নামানো হয় হ্যাজার্ডের পরিবর্তে ইসকোকে। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা রিয়াল কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় মিলিটাওয়ের হেড থেকে। ইসকোর কর্নার কিকে মাথা লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন এ ডিফেন্ডার। ৭৬ মিনিটে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার চার মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন ক্যাসেমিরো। বেনজামার পাস নিয়ন্ত্রনে নিতে গিয়ে বলে একটু জোরে পা লাগিয়ে ফেলেন ক্যাসেমিরো। আর তাতেই বল চলে যায় জালে। ২-০ গোলে জয়ী হয়ে স্বস্তির নিশ^াস ফেলেন কোচ জিদান। এখন তার অভিযান চেলসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসিকে তাদের মাঠে হারাতে পারলেই রিয়াল উঠে যাবে ফাইনালে।