স্পেনিশ লা লিগা
বার্সেলোনা এবং অ্যাটলটিকো মাদ্রিদের মধ্যেকার লা লিগার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গোলশূন ড্র হয়েছে। লিগের ৩৫তম রাউন্ডের ম্যাচটি ড্র হওয়ায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকলেও সবচেয়ে বেশী সুবিধা পাবে রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রিয়াল মাদ্রিদ যদি সেভিয়াকে হারাতে পারে তাহলে তারাই চলে যাবে তালিকার শীর্ষে। এ ম্যাচটি ড্র হওয়ায় বার্সেলোনা দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে রিয়ালের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশী নিয়ে। অ্যাটলেটিকোর সাথে তাদের ব্যবধান দুই পয়েন্ট। রিয়াল জয়ী হলে তাদের পয়েন্ট হবে অ্যাটলেটিকোর সমান। কিন্তু হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় রিয়াল উঠে যাবে তালিকার শীর্ষে এবং বাকি ম্যাচগুলো জিততে তারাই হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন। বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে কেবল তাদের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই চলবে না, পয়েন্ট হারাতে হবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং রিয়াল মাদ্রিদকে।
বার্সেলোনার জন্য ম্যাচটি যেমন গুরুত্ব¡পূর্ণ ছিল, একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল অ্যাটলেতিকোর জন্যও। ম্যাচে যারা জয়ী হবে তারা শিরোপার অনেকটা কাছে চলে যাবে এমন পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে উভয় দলই জেতার জন্য চেষ্টা চালায়। প্রথমার্ধে বল দখলের হিসাবে বার্সেলোনা এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে এগিয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তবে কোনো দলই প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। বার্সেলোনার হয়ে প্রথমার্ধে একমাত্র সুযোগটি পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। চারজনকে কাটিয়ে তিনি দারুন একটি শট নিয়েছিলেন কিন্তু সেটি বাঁচিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ব্ল্যাক। মেসির শটে তিনি হাত লাগিয়ে কর্নারের বিনিময় দলকে রক্ষা করেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয় সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যানহেল করেয়া এবং কারাসকো। কিন্তু তারা বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেনকে পরাজিত করতে পারেননি। ফলে প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় প্রাধান্য ছিল বার্সেলোনার। সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকেও এগিয়েছিল তারা। ৬০ মিনিটের সময় মরিবর গোল মুখে বল পেয়ে ঠিক মত পোস্টে রাখতে পারেননি। এরপর মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন ওব্ল্যাক।৭০ মিনিটের সময় রোনাল্ড আরাওহো হেডে বল জালে জড়িয়েছিলেন, কিন্তু তিনি অফসাইড থাকায় গোলটি বাতিল হয়। বার্সেলোনা বেশ কয়েকবার বিপজ্জনকভাবে অ্যাতলেটিকোর রক্ষণসীমায় ঢুকে পড়ায় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই অ্যাটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমেওনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য করেয়াকে তুলে কন্ডোগবিয়াকে মাঠে নামান। এর ফলে বার্সেলোনার আধিপত্য কিছুটা হলেও কমে। ৮৪ মিনিটের সময় সম্মিলিত একটি আক্রমণ থেকে বার্সেলোনার চমৎকার একটি সুযোগ নষ্ট করেন উসমান ডেম্বেলে। একেবারে গোলমুখে বল পেয়েও ডেম্বেলে যে হেডটি করেন সেটা চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। এর পরপরই একটি সুযোগ নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ। কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয় এবং শিরোপা ধরে রাখার দারুন সুযোগ আসে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে।
স্পেনিশ লা লিগা
শনিবার, ০৮ মে ২০২১
বার্সেলোনা এবং অ্যাটলটিকো মাদ্রিদের মধ্যেকার লা লিগার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গোলশূন ড্র হয়েছে। লিগের ৩৫তম রাউন্ডের ম্যাচটি ড্র হওয়ায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকলেও সবচেয়ে বেশী সুবিধা পাবে রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রিয়াল মাদ্রিদ যদি সেভিয়াকে হারাতে পারে তাহলে তারাই চলে যাবে তালিকার শীর্ষে। এ ম্যাচটি ড্র হওয়ায় বার্সেলোনা দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে রিয়ালের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশী নিয়ে। অ্যাটলেটিকোর সাথে তাদের ব্যবধান দুই পয়েন্ট। রিয়াল জয়ী হলে তাদের পয়েন্ট হবে অ্যাটলেটিকোর সমান। কিন্তু হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় রিয়াল উঠে যাবে তালিকার শীর্ষে এবং বাকি ম্যাচগুলো জিততে তারাই হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন। বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে কেবল তাদের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই চলবে না, পয়েন্ট হারাতে হবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং রিয়াল মাদ্রিদকে।
বার্সেলোনার জন্য ম্যাচটি যেমন গুরুত্ব¡পূর্ণ ছিল, একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল অ্যাটলেতিকোর জন্যও। ম্যাচে যারা জয়ী হবে তারা শিরোপার অনেকটা কাছে চলে যাবে এমন পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে উভয় দলই জেতার জন্য চেষ্টা চালায়। প্রথমার্ধে বল দখলের হিসাবে বার্সেলোনা এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে এগিয়েছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তবে কোনো দলই প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। বার্সেলোনার হয়ে প্রথমার্ধে একমাত্র সুযোগটি পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। চারজনকে কাটিয়ে তিনি দারুন একটি শট নিয়েছিলেন কিন্তু সেটি বাঁচিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ব্ল্যাক। মেসির শটে তিনি হাত লাগিয়ে কর্নারের বিনিময় দলকে রক্ষা করেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয় সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যানহেল করেয়া এবং কারাসকো। কিন্তু তারা বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেনকে পরাজিত করতে পারেননি। ফলে প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ড্র থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় প্রাধান্য ছিল বার্সেলোনার। সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকেও এগিয়েছিল তারা। ৬০ মিনিটের সময় মরিবর গোল মুখে বল পেয়ে ঠিক মত পোস্টে রাখতে পারেননি। এরপর মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন ওব্ল্যাক।৭০ মিনিটের সময় রোনাল্ড আরাওহো হেডে বল জালে জড়িয়েছিলেন, কিন্তু তিনি অফসাইড থাকায় গোলটি বাতিল হয়। বার্সেলোনা বেশ কয়েকবার বিপজ্জনকভাবে অ্যাতলেটিকোর রক্ষণসীমায় ঢুকে পড়ায় সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই অ্যাটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমেওনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য করেয়াকে তুলে কন্ডোগবিয়াকে মাঠে নামান। এর ফলে বার্সেলোনার আধিপত্য কিছুটা হলেও কমে। ৮৪ মিনিটের সময় সম্মিলিত একটি আক্রমণ থেকে বার্সেলোনার চমৎকার একটি সুযোগ নষ্ট করেন উসমান ডেম্বেলে। একেবারে গোলমুখে বল পেয়েও ডেম্বেলে যে হেডটি করেন সেটা চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। এর পরপরই একটি সুযোগ নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ। কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয় এবং শিরোপা ধরে রাখার দারুন সুযোগ আসে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে।