ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
লিগ শিরোপা জেতার উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে চেলসির কাছে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার নিজেদের ইতেহাদ মাঠে চেলসির বিপক্ষে প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে গেছে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটি। এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় লিগ শিরোপা জেতা কিছুটা সময় হলেও পিছিয়ে গেছে ম্যানসিটির। অপর দিকে এ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার-এ নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আরও বেশী আত্মবিশ^াসী হয়ে মাঠে নামতে পারবে টমাস টুখেলের চেলসি।
জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত, প্রথমার্ধে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ‘ পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে শুরুটা ভালো হলেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্দে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওয়ালার দলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দেয় চেলসি। অবশ্য প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে সার্জিও অ্যাগুয়েরো পেনাল্টি থেকে গোলটি করতে পারলে হয়তো ফল ভিন্ন হতে পারতো।
দ্বিতীয়ার্ধে হাকিম জিয়াশ সমতা আনার পর ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোল করেন মার্কোস আলোনসো। কেবল ম্যানসিটির শিরোপা নিশ্চিত নয়, আরও একটি কারণে এ ম্যাচের দিকে বাড়তি নজর ছিল সবার। আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে এ দল দুটিই।
গত মাসে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে ম্যানসিটিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে চেলসি। এবার লিগের এই জয়, ইউরোপ সেরার শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে টুখেলের হাত ধরে বদলে যাওয়া দলটির।
ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করেন মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা সার্জিও আগুয়েরো।
প্রথম দিকে বল দখলে ম্যানসিটি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। ৩২তম মিনিটে চেলসির টিমো ওয়ার্নার বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। পরের মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে বাইরে শট মেরে হতাশ করেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। ৩৫তম মিনিটে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন স্টার্লিং। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি। এটিই ছিল পোস্টে রাখা ম্যাচের প্রথম শট। ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পাসে শট নিতে ব্যর্থ হন আগুয়েরো। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান স্টার্লিং।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে জেসুস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরোর দুর্বল ‘পানেনকা’ শট খুব সহজেই ঠেকান মেন্ডি। ৬৩ মিনিটে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় চেলসি। সিজার অ্যাসপিলিকুয়েটার পাসে মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশ হাকিমের নিচু শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া এডারসনের হাত স্পর্শ করে জালে জড়ায়। ৭৯ ও ৮১ মিনিটে বল জালে পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি সফরকারীরা। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, তখনই ইনজুরি টাইমে ব্যবধান গড়ে দেন আলোনসো। ওয়ার্নারের পাসে ছয় গজ বক্সের একটু সামনে থেকে শটে বল জালে পাঠান তিনি। ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ১৮ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে চেলসি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে লেস্টার সিটি।
দুই ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ
রোববার, ০৯ মে ২০২১
লিগ শিরোপা জেতার উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে চেলসির কাছে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার নিজেদের ইতেহাদ মাঠে চেলসির বিপক্ষে প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে গেছে পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটি। এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় লিগ শিরোপা জেতা কিছুটা সময় হলেও পিছিয়ে গেছে ম্যানসিটির। অপর দিকে এ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার-এ নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আরও বেশী আত্মবিশ^াসী হয়ে মাঠে নামতে পারবে টমাস টুখেলের চেলসি।
জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত, প্রথমার্ধে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ‘ পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে শুরুটা ভালো হলেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্দে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওয়ালার দলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দেয় চেলসি। অবশ্য প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে সার্জিও অ্যাগুয়েরো পেনাল্টি থেকে গোলটি করতে পারলে হয়তো ফল ভিন্ন হতে পারতো।
দ্বিতীয়ার্ধে হাকিম জিয়াশ সমতা আনার পর ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোল করেন মার্কোস আলোনসো। কেবল ম্যানসিটির শিরোপা নিশ্চিত নয়, আরও একটি কারণে এ ম্যাচের দিকে বাড়তি নজর ছিল সবার। আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে এ দল দুটিই।
গত মাসে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে ম্যানসিটিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে চেলসি। এবার লিগের এই জয়, ইউরোপ সেরার শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে টুখেলের হাত ধরে বদলে যাওয়া দলটির।
ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করেন মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা সার্জিও আগুয়েরো।
প্রথম দিকে বল দখলে ম্যানসিটি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। ৩২তম মিনিটে চেলসির টিমো ওয়ার্নার বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। পরের মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে বাইরে শট মেরে হতাশ করেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। ৩৫তম মিনিটে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন স্টার্লিং। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি। এটিই ছিল পোস্টে রাখা ম্যাচের প্রথম শট। ৪৪ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পাসে শট নিতে ব্যর্থ হন আগুয়েরো। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান স্টার্লিং।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে জেসুস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরোর দুর্বল ‘পানেনকা’ শট খুব সহজেই ঠেকান মেন্ডি। ৬৩ মিনিটে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় চেলসি। সিজার অ্যাসপিলিকুয়েটার পাসে মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশ হাকিমের নিচু শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া এডারসনের হাত স্পর্শ করে জালে জড়ায়। ৭৯ ও ৮১ মিনিটে বল জালে পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি সফরকারীরা। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, তখনই ইনজুরি টাইমে ব্যবধান গড়ে দেন আলোনসো। ওয়ার্নারের পাসে ছয় গজ বক্সের একটু সামনে থেকে শটে বল জালে পাঠান তিনি। ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ১৮ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে চেলসি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে লেস্টার সিটি।
দুই ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।