স্পেনিশ লা লিগা
সেভিয়ার সাথে নিজেদের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ স্পেনিশ লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছে। সেভিয়াকে হারাতে পারলে তালিকার শীর্ষে উঠে যেত জিনেদিন জিদানের দল। কিন্তু রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ম্যাচে পিছিয়ে পড়া রিয়াল ইনজুরি টাইমের গোলে পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়। এর ফলে তারা শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো। বার্সেলোনা ও রিয়ালের সংগ্রহ সমান ৭৫ পয়েন্ট। তবে হেড টু হেড রেকর্ডে রিয়াল এগিয়ে থাকায় আছে দ্বিতীয় স্থানে। লিগে দলগুলোর খেলা বাকি আছে আর তিনটি করে। এ অবস্থায় রিয়ালকে শিরোপা ধরে রাখতে হলে বাকি তিন ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অ্যাটলেটিকোকে অন্তত একটি ম্যাচে ড্র করতে হবে। তাহলে তারা হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতবে।
গত সপ্তায় চেলসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয়া রিয়াল মাদ্রিদ এ ম্যাচেও হারতে বসেছিল। দুইবার তারা গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। তবে দুইবারই দারুনভাবে লড়াই করে ম্যাচটি ড্র করতে সক্ষম হয় তারা। ভাগ্য সহায় থাকলে তারা জিততেও পারতো। তবে যে গোলে তারা পরাজয় এড়িয়েছে সেটি এসেছে সৌভাগ্য বশতই। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ঠিক ভেতরে ঢুকেই টনি ক্রুস শট নিলে সেটি ইডেন হ্যাজার্ডের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে চলে যায় জালে এবং ম্যাচে সমতা ফেরে। এর পর জেতার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করা রিয়ালের মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো চমৎকার একটি প্লেসিং শট মেরেছিলেন একেবারে অন্তিম সময়ে। কিন্তু সেটি পোস্ট ঘেসে বের হয়ে যায়।
এ ম্যাচে প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা ভাল খেলতে পারেনি। তার পরেও ৯ মিনিটের সময়ে অড্রিওজোলার ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন করিম বেনজামা। কিন্তু আক্রমণের শুরুর দিকে অড্রিওজোলা অফসাইড থাকায় সে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ২২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় সেভিয়া। রিয়ালের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে উড়ে আসা ক্রস হেড দিয়ে সামনে ফেলেন র্যাকিটিচ এবং সেটি থেকে গোল করেন ফার্নান্ডো। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রিয়াল যেন জেগে ওঠে এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের হাতে নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু বিরতির আগে তারা কোন গোল করতে পারেনি। সুযোগ পেলেও সেগুলো বাইরে মেরে অথবা সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন ভিনিসিয়ুস-বেনজামারা। খেলার বয়স ৬০ মিনিট হওয়ার পর রেফারি মাঠে নামান মার্কো অ্যাসেনসিও এবং মিগুয়েল গুটিরেজকে যথাক্রমে লুকা মড্রিচ এবং মার্সেলোকে তুলে নিয়ে। এতে কাজ হয়। মাঠে নামার পরের মিনিটেই ক্রুসের পাসে ফ্লিক করে সমতা ফেরান অ্যাসেনসিও। ৭৮ মিনিটে ঘটে ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনাটি। সেভিয়ার কর্নার কিক প্রতিহত করতে মিলিটাওসহ প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড় লাফিয়ে উঠেন। এর ফলে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে জটলার সৃষ্টি হয়। আক্রমণ প্রতিহত করে রিয়াল মাদ্রিদ কাউন্টার অ্যাটাকে যায় এবং বেনজামা বল নিয়ে সেভিয়ার পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লে গোলরক্ষক তাকে ফাউল করেন। রেফারি রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাশি বাজান। কিন্তু ভিএআর রেফারি মাঠের রেফারিকে অবহিত করেন যে রিয়ালের পেনাল্টি বক্সে পেনাল্টির মতো ঘটনা ঘটেছে। মাঠের রেফারি মার্টিনেজ মুনুয়েরা রিপ্লে দেখে সেভিয়া পক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে র্যাকিটিচ গোল করে সেভিয়াকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করা রিয়াল সমতায় ফেরে ইনজুরি টাইমে। এর আগে গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস। গোল লাইন থেকে দুই গজ দূরে পাওয়া বলে ঠিক মতো পা লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। পা তার হাটুতে লাগে এবং পোস্টে আঘাত করে চলে যায় বাইরে। বেনজামার শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক বোনো। ম্যাচ শেষে রেফারির কাছে পেনাল্টির কারণ জানতে চান কোচ জিদান। রেফারি হ্যান্ডবলের কথাই বলেন। কিন্তু জিদান এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। তার মতে বল যেভাবে মিলিটাওয়ের হাতে লেগেছে একই ভাবে লেগেছে সেভিয়ার খেলোয়াড়ের হাতেও। দুজন একত্রে হেড করতে লাফিয়ে উঠেছিলেন। তাছাড়া মিলিটাওয়ের হ্যান্ডবল ইচ্ছাকৃত ছিল না এবং বলও দিক পরিবর্তন করেনি। যদি রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত লিগ শিরোপা জিততে না পারে তাহলে এ ঘটনার জন্য রেফারি মুনুয়েরা তাদের কাছে খল নায়ক হয়ে থাকবেন।
স্পেনিশ লা লিগা
সোমবার, ১০ মে ২০২১
সেভিয়ার সাথে নিজেদের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ স্পেনিশ লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছে। সেভিয়াকে হারাতে পারলে তালিকার শীর্ষে উঠে যেত জিনেদিন জিদানের দল। কিন্তু রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ম্যাচে পিছিয়ে পড়া রিয়াল ইনজুরি টাইমের গোলে পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়। এর ফলে তারা শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লো। বার্সেলোনা ও রিয়ালের সংগ্রহ সমান ৭৫ পয়েন্ট। তবে হেড টু হেড রেকর্ডে রিয়াল এগিয়ে থাকায় আছে দ্বিতীয় স্থানে। লিগে দলগুলোর খেলা বাকি আছে আর তিনটি করে। এ অবস্থায় রিয়ালকে শিরোপা ধরে রাখতে হলে বাকি তিন ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অ্যাটলেটিকোকে অন্তত একটি ম্যাচে ড্র করতে হবে। তাহলে তারা হেড টু হেড রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতবে।
গত সপ্তায় চেলসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয়া রিয়াল মাদ্রিদ এ ম্যাচেও হারতে বসেছিল। দুইবার তারা গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। তবে দুইবারই দারুনভাবে লড়াই করে ম্যাচটি ড্র করতে সক্ষম হয় তারা। ভাগ্য সহায় থাকলে তারা জিততেও পারতো। তবে যে গোলে তারা পরাজয় এড়িয়েছে সেটি এসেছে সৌভাগ্য বশতই। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ঠিক ভেতরে ঢুকেই টনি ক্রুস শট নিলে সেটি ইডেন হ্যাজার্ডের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে চলে যায় জালে এবং ম্যাচে সমতা ফেরে। এর পর জেতার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করা রিয়ালের মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো চমৎকার একটি প্লেসিং শট মেরেছিলেন একেবারে অন্তিম সময়ে। কিন্তু সেটি পোস্ট ঘেসে বের হয়ে যায়।
এ ম্যাচে প্রথমার্ধে রিয়াল খুব একটা ভাল খেলতে পারেনি। তার পরেও ৯ মিনিটের সময়ে অড্রিওজোলার ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন করিম বেনজামা। কিন্তু আক্রমণের শুরুর দিকে অড্রিওজোলা অফসাইড থাকায় সে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ২২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় সেভিয়া। রিয়ালের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে উড়ে আসা ক্রস হেড দিয়ে সামনে ফেলেন র্যাকিটিচ এবং সেটি থেকে গোল করেন ফার্নান্ডো। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রিয়াল যেন জেগে ওঠে এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের হাতে নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু বিরতির আগে তারা কোন গোল করতে পারেনি। সুযোগ পেলেও সেগুলো বাইরে মেরে অথবা সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন ভিনিসিয়ুস-বেনজামারা। খেলার বয়স ৬০ মিনিট হওয়ার পর রেফারি মাঠে নামান মার্কো অ্যাসেনসিও এবং মিগুয়েল গুটিরেজকে যথাক্রমে লুকা মড্রিচ এবং মার্সেলোকে তুলে নিয়ে। এতে কাজ হয়। মাঠে নামার পরের মিনিটেই ক্রুসের পাসে ফ্লিক করে সমতা ফেরান অ্যাসেনসিও। ৭৮ মিনিটে ঘটে ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনাটি। সেভিয়ার কর্নার কিক প্রতিহত করতে মিলিটাওসহ প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড় লাফিয়ে উঠেন। এর ফলে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে জটলার সৃষ্টি হয়। আক্রমণ প্রতিহত করে রিয়াল মাদ্রিদ কাউন্টার অ্যাটাকে যায় এবং বেনজামা বল নিয়ে সেভিয়ার পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লে গোলরক্ষক তাকে ফাউল করেন। রেফারি রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাশি বাজান। কিন্তু ভিএআর রেফারি মাঠের রেফারিকে অবহিত করেন যে রিয়ালের পেনাল্টি বক্সে পেনাল্টির মতো ঘটনা ঘটেছে। মাঠের রেফারি মার্টিনেজ মুনুয়েরা রিপ্লে দেখে সেভিয়া পক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে র্যাকিটিচ গোল করে সেভিয়াকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করা রিয়াল সমতায় ফেরে ইনজুরি টাইমে। এর আগে গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিয়ুস। গোল লাইন থেকে দুই গজ দূরে পাওয়া বলে ঠিক মতো পা লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। পা তার হাটুতে লাগে এবং পোস্টে আঘাত করে চলে যায় বাইরে। বেনজামার শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক বোনো। ম্যাচ শেষে রেফারির কাছে পেনাল্টির কারণ জানতে চান কোচ জিদান। রেফারি হ্যান্ডবলের কথাই বলেন। কিন্তু জিদান এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। তার মতে বল যেভাবে মিলিটাওয়ের হাতে লেগেছে একই ভাবে লেগেছে সেভিয়ার খেলোয়াড়ের হাতেও। দুজন একত্রে হেড করতে লাফিয়ে উঠেছিলেন। তাছাড়া মিলিটাওয়ের হ্যান্ডবল ইচ্ছাকৃত ছিল না এবং বলও দিক পরিবর্তন করেনি। যদি রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত লিগ শিরোপা জিততে না পারে তাহলে এ ঘটনার জন্য রেফারি মুনুয়েরা তাদের কাছে খল নায়ক হয়ে থাকবেন।