সিরি এ ফুটবল লিগ
কোচ হিসেবে নিজের প্রথম মিশনেই বলতে গেলে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন আন্দ্রে পিরলো। তার ব্যর্থতায় টানা নয় বারের চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্টাসের এবার শীর্ষ চার-এ থাকাই অনিশ্চিত হয়ে গেছে। সর্বশেষ ম্যাচে ইউভেন্টাস ৩-০ গোলে এসি মিলানের কাছে হেরেছে। সে ম্যাচে বোঝা গেছে পিরলো খেলোয়াড় হিসেবে অনেক সফল হলেও কোচ হিসেবে তেমন কিছু নন। বিশেষ করে তার কৌশলগত সিদ্ধান্ত মোটেও দলের জন্য বিশেষ কোন উপকারে আসেনি। ২০১১-১২ মৌসুমে ইউভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছিল না। সেবার অ্যান্টনিও কোন্টে ছিলেন কোচের দায়িত্বে। এবারও সে ঝুকি দেখা যাচ্ছে। তাদের খেলা বাকি আছে আর তিনটি। সাসুলো, ইন্টার মিলান এবং বোলনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচগুলোর ফলের উপরই নির্ভর করছে ইউভেন্টাস আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে কি না। যদি তারা শীর্ষ চার এ থাকতে না পারে তাহলে তাদের বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এমন কি তারকা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও দল ছাড়তে পারেন। রোনালদোর উপর অনেক আস্থা রেখেছিলেন কোচ। রোনালদো চেষ্টা করেছেন প্রতিদান দিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোর্তোর কাছে হারার পরও ইউভেন্টাস কর্তৃপক্ষ কোচ পিরলোকে সমর্থন জুগিয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত যে আগামী মৌসুমে আর ইউভেন্টাসের কোচ হিসেবে থাকছেন না পিরলো। অনিশ্চিত রোনালদোর ভবিষ্যতও। ইউভেন্টাস যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদেরকে খেলতে হবে ইউরোপা লিগে। কিন্তু রোনালদো ইউরোপা লিগে খেলতে আগ্রহী নন। পিরলো অবশ্য জানিয়েছেন তিনি কোচ হিসেবে বহাল থাকতে চান। তিনি স্কাই স্পোর্ট ইটালিয়াকে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা যেন কোচ পরিবর্তন করা না হয়। আমি সেভাবেই চিন্তা করছি। আমি বিশেষ কিছু আশা করছি না। আমি এসি মিলানের ম্যাচের আগে ও পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তবে আমি তাদের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। আমি এখন ইউভেন্টাসের কোচ। ক্লাব সিদ্ধান্ত নিবে মৌসুম শেষে।’
এদিকে ইউভেন্টাসের পরবর্তী কোচ নিয়ে এখনও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তালিকায় আছেন জিনেদিন জিদান, ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি এবং জিয়ান পিয়েরো গ্যাসপ্রিনি। পিরলোর বড় সমস্যা হলো তিনি ম্যাচ চলাকালে প্রতিপক্ষের কৌশল বিবেচনা করে নিজের কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন না। যা দেখা গেছে এসি মিলানের বিপক্ষে। তার মধ্যে বিশেষ কোন সৃষ্টিশীলতা চোখে পড়েনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারলে ইউভেন্টাস বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। রোনালদো এবং পাওলো দিবালার মতো খেলোয়াড় ধরে রাখা কঠিন হবে। বিশেষ করে তাদের পারিশ্রমিক দেয়া হয়ে যাবে কঠিন। তাই হয়তো ক্লাবের স্বার্থেই রোনালদোকে অন্য কোন ক্লাবের কাছে বিক্রি করে দেবে ইউভেন্টাস। রোনালদো এখনও চাহিদা আছে। কারণ দল ব্যর্থ হলেও রোনালদো করেছেন সিরি এ লিগে ২৭টি গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার তিনিই পেতে যাচ্ছেন।
সিরি এ ফুটবল লিগ
মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
কোচ হিসেবে নিজের প্রথম মিশনেই বলতে গেলে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন আন্দ্রে পিরলো। তার ব্যর্থতায় টানা নয় বারের চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্টাসের এবার শীর্ষ চার-এ থাকাই অনিশ্চিত হয়ে গেছে। সর্বশেষ ম্যাচে ইউভেন্টাস ৩-০ গোলে এসি মিলানের কাছে হেরেছে। সে ম্যাচে বোঝা গেছে পিরলো খেলোয়াড় হিসেবে অনেক সফল হলেও কোচ হিসেবে তেমন কিছু নন। বিশেষ করে তার কৌশলগত সিদ্ধান্ত মোটেও দলের জন্য বিশেষ কোন উপকারে আসেনি। ২০১১-১২ মৌসুমে ইউভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছিল না। সেবার অ্যান্টনিও কোন্টে ছিলেন কোচের দায়িত্বে। এবারও সে ঝুকি দেখা যাচ্ছে। তাদের খেলা বাকি আছে আর তিনটি। সাসুলো, ইন্টার মিলান এবং বোলনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচগুলোর ফলের উপরই নির্ভর করছে ইউভেন্টাস আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে কি না। যদি তারা শীর্ষ চার এ থাকতে না পারে তাহলে তাদের বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এমন কি তারকা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও দল ছাড়তে পারেন। রোনালদোর উপর অনেক আস্থা রেখেছিলেন কোচ। রোনালদো চেষ্টা করেছেন প্রতিদান দিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোর্তোর কাছে হারার পরও ইউভেন্টাস কর্তৃপক্ষ কোচ পিরলোকে সমর্থন জুগিয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত যে আগামী মৌসুমে আর ইউভেন্টাসের কোচ হিসেবে থাকছেন না পিরলো। অনিশ্চিত রোনালদোর ভবিষ্যতও। ইউভেন্টাস যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উঠতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদেরকে খেলতে হবে ইউরোপা লিগে। কিন্তু রোনালদো ইউরোপা লিগে খেলতে আগ্রহী নন। পিরলো অবশ্য জানিয়েছেন তিনি কোচ হিসেবে বহাল থাকতে চান। তিনি স্কাই স্পোর্ট ইটালিয়াকে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা যেন কোচ পরিবর্তন করা না হয়। আমি সেভাবেই চিন্তা করছি। আমি বিশেষ কিছু আশা করছি না। আমি এসি মিলানের ম্যাচের আগে ও পরে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তবে আমি তাদের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। আমি এখন ইউভেন্টাসের কোচ। ক্লাব সিদ্ধান্ত নিবে মৌসুম শেষে।’
এদিকে ইউভেন্টাসের পরবর্তী কোচ নিয়ে এখনও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তালিকায় আছেন জিনেদিন জিদান, ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি এবং জিয়ান পিয়েরো গ্যাসপ্রিনি। পিরলোর বড় সমস্যা হলো তিনি ম্যাচ চলাকালে প্রতিপক্ষের কৌশল বিবেচনা করে নিজের কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন না। যা দেখা গেছে এসি মিলানের বিপক্ষে। তার মধ্যে বিশেষ কোন সৃষ্টিশীলতা চোখে পড়েনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারলে ইউভেন্টাস বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। রোনালদো এবং পাওলো দিবালার মতো খেলোয়াড় ধরে রাখা কঠিন হবে। বিশেষ করে তাদের পারিশ্রমিক দেয়া হয়ে যাবে কঠিন। তাই হয়তো ক্লাবের স্বার্থেই রোনালদোকে অন্য কোন ক্লাবের কাছে বিক্রি করে দেবে ইউভেন্টাস। রোনালদো এখনও চাহিদা আছে। কারণ দল ব্যর্থ হলেও রোনালদো করেছেন সিরি এ লিগে ২৭টি গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার তিনিই পেতে যাচ্ছেন।