নিজেদের এস্টাডিও আলফ্রেডো ডি স্টেফানো মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলা ম্যাচ দিয়েই চলতি মৌসুম শেষ করবে রিয়াল মাদ্রিদ। সে দিনই নির্ধারিত হবে লা লিগার শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যেই এখন শিরোপার লড়াই সীমিত হয়ে পড়েছে। রিয়াল জিতলে এবং অ্যাটলেটিকো জিততে ব্যর্থ হলেই কেবল শিরোপা ধরে রাখতে পারবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপর দিকে অ্যাটলেটিকো তাদের ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে দিয়েগো সিমেওনির দল। আপাতত সবার নজর সে ম্যাচের দিকে থাকলেও ক্লাব কর্তৃপক্ষের চিন্তা ম্যাচ শেষের পরের ঘটনাবলী নিয়ে। মনে করা হচ্ছে সে ম্যাচের পরই রিয়ালের সাথে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সম্পর্কের ইতি ঘটবে। যারা রিয়াল ছেড়ে যেতে পারেন তারা হলেন সার্জিও র্যামোস, রাফায়েল ভারানে, মার্সেলো, ইসকো এবং লুকাস ভাজকেজ। এছাড়া কোচ জিনেদিন জিদানও ছাড়তে পারেন রিয়াল মাদ্রিদ। কোচ জিদানের থাকা না থাকার উপর নির্ভর করছে কোন কোন খেলোয়াড় দলে থাকবেন এবং কোন কোন খেলোয়াড় চলে যাবেন।
সবচেয়ে বেশী আলোচনায় আছেন অধিনায়ক সার্জিও র্যামোস। ১৬ বছর ধরে রিয়ালে খেলা এ তারকা ৩০ জুনের পর ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে চলে যেতে পারবেন অন্যত্র। ৩৫ বছর বয়সী র্যামোস চুক্তি করতে চান দুই বছরের জন্য। কিন্তু রিয়াল তাকে এক বছরের জন্য দলে রাখতে চাচ্ছে। মনে হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি আর হচ্ছে না। র্যামোস আগামী মৌসুমে দলে থাকুন বা না থাকুন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে যে খেলছেন না তা নিশ্চিত। নাচো এবং মিলিটাও মিলে দারুণভাবে সামাল দিচ্ছেন রিয়ালের রক্ষণভাগ। তাই আপাতত র্যামোসকে নিয়ে খুব বেশী ভাবছে না রিয়াল। র্যামোসের মতো চলে যেতে পারেন রাফায়েল ভারানেও। তার সাথে অবশ্য দলের চুক্তি আছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এখনও তার সাথে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে কিছু বলেনি রিয়াল। মনে করা হচ্ছে তাকে বিক্রি করে কিছু অর্থ নিজেদের তহবিলে যোগ করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ।
র্যামোসের মতো লুকাস ভাজকেজের সাথেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে রিয়ালের। রিয়ালের একাডেমী থেকে উঠে আসা এ খেলোয়াড় রিয়ালে থাকার ব্যাপারে কিছু শর্ত দিয়েছেন। তার মূল দাবী বেতন ভাতা বাড়ানো। কিন্তু রিয়াল এখনও তাতে সম্মতি দেয়নি। তাই হয়তো ভাজকেজও চলে যাবেন অন্য কোথাও, যেখানে তিনি রিয়ালের চেয়ে বেশী সুবিধা পাবেন। রিয়াল ছাড়তে পারেন ইসকো এবং মার্সেলো। রিয়ালকে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে ভুমিকা ছিল এ দুই খেলোয়াড়ের। ২০১৮ সালে জিদান রিয়ালের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর নতুন কোচ আর এ দুইজনকে আগের মতো গুরুত্ব দেননি। এর ফলে নিয়মিত একাদশে জায়গা হারান তারা। জিদান ফিরে আসলেও আগের ফর্ম আর ফিরে পাননি দুজন। তাদের সাথে আরও এক বছরের চুক্তি থাকলেও বেতন ভাতা বাবদ বিপুল খরচ বাচাতে তাদেরকে বিক্রি করে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ।
তৃতীয়বারের মতো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন কোচ জিনেদিন জিদানও। ২০০৬ সালে খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছিলেন জিদান। এর পর কোচ হিসেবে রিয়াল ছাড়েন ২০১৮ সালে। এবার আবার তিনি ছাড়তে পারেন রিয়াল। স্পেনিশ সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী তিনি ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দেরকে নিজের বিদায়ের কথা বলেছেন। যদিও জিদান নিজে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তা অস্বীকার করেছেন। তার পরেও মনে করা হচ্ছে জিদান হয়তো থাকছেন না। তিনি চলে যেতে পারেন ইটালিতে এবং দায়িত্ব নিতে পারেন ইউভেন্টাসের। তার বদলে রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নিতে পারেন রাউল।
মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
নিজেদের এস্টাডিও আলফ্রেডো ডি স্টেফানো মাঠে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলা ম্যাচ দিয়েই চলতি মৌসুম শেষ করবে রিয়াল মাদ্রিদ। সে দিনই নির্ধারিত হবে লা লিগার শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যেই এখন শিরোপার লড়াই সীমিত হয়ে পড়েছে। রিয়াল জিতলে এবং অ্যাটলেটিকো জিততে ব্যর্থ হলেই কেবল শিরোপা ধরে রাখতে পারবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপর দিকে অ্যাটলেটিকো তাদের ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে দিয়েগো সিমেওনির দল। আপাতত সবার নজর সে ম্যাচের দিকে থাকলেও ক্লাব কর্তৃপক্ষের চিন্তা ম্যাচ শেষের পরের ঘটনাবলী নিয়ে। মনে করা হচ্ছে সে ম্যাচের পরই রিয়ালের সাথে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের সম্পর্কের ইতি ঘটবে। যারা রিয়াল ছেড়ে যেতে পারেন তারা হলেন সার্জিও র্যামোস, রাফায়েল ভারানে, মার্সেলো, ইসকো এবং লুকাস ভাজকেজ। এছাড়া কোচ জিনেদিন জিদানও ছাড়তে পারেন রিয়াল মাদ্রিদ। কোচ জিদানের থাকা না থাকার উপর নির্ভর করছে কোন কোন খেলোয়াড় দলে থাকবেন এবং কোন কোন খেলোয়াড় চলে যাবেন।
সবচেয়ে বেশী আলোচনায় আছেন অধিনায়ক সার্জিও র্যামোস। ১৬ বছর ধরে রিয়ালে খেলা এ তারকা ৩০ জুনের পর ফ্রি খেলোয়াড় হিসেবে চলে যেতে পারবেন অন্যত্র। ৩৫ বছর বয়সী র্যামোস চুক্তি করতে চান দুই বছরের জন্য। কিন্তু রিয়াল তাকে এক বছরের জন্য দলে রাখতে চাচ্ছে। মনে হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি আর হচ্ছে না। র্যামোস আগামী মৌসুমে দলে থাকুন বা না থাকুন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে যে খেলছেন না তা নিশ্চিত। নাচো এবং মিলিটাও মিলে দারুণভাবে সামাল দিচ্ছেন রিয়ালের রক্ষণভাগ। তাই আপাতত র্যামোসকে নিয়ে খুব বেশী ভাবছে না রিয়াল। র্যামোসের মতো চলে যেতে পারেন রাফায়েল ভারানেও। তার সাথে অবশ্য দলের চুক্তি আছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এখনও তার সাথে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে কিছু বলেনি রিয়াল। মনে করা হচ্ছে তাকে বিক্রি করে কিছু অর্থ নিজেদের তহবিলে যোগ করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ।
র্যামোসের মতো লুকাস ভাজকেজের সাথেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে রিয়ালের। রিয়ালের একাডেমী থেকে উঠে আসা এ খেলোয়াড় রিয়ালে থাকার ব্যাপারে কিছু শর্ত দিয়েছেন। তার মূল দাবী বেতন ভাতা বাড়ানো। কিন্তু রিয়াল এখনও তাতে সম্মতি দেয়নি। তাই হয়তো ভাজকেজও চলে যাবেন অন্য কোথাও, যেখানে তিনি রিয়ালের চেয়ে বেশী সুবিধা পাবেন। রিয়াল ছাড়তে পারেন ইসকো এবং মার্সেলো। রিয়ালকে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে ভুমিকা ছিল এ দুই খেলোয়াড়ের। ২০১৮ সালে জিদান রিয়ালের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর নতুন কোচ আর এ দুইজনকে আগের মতো গুরুত্ব দেননি। এর ফলে নিয়মিত একাদশে জায়গা হারান তারা। জিদান ফিরে আসলেও আগের ফর্ম আর ফিরে পাননি দুজন। তাদের সাথে আরও এক বছরের চুক্তি থাকলেও বেতন ভাতা বাবদ বিপুল খরচ বাচাতে তাদেরকে বিক্রি করে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ।
তৃতীয়বারের মতো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন কোচ জিনেদিন জিদানও। ২০০৬ সালে খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছিলেন জিদান। এর পর কোচ হিসেবে রিয়াল ছাড়েন ২০১৮ সালে। এবার আবার তিনি ছাড়তে পারেন রিয়াল। স্পেনিশ সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী তিনি ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দেরকে নিজের বিদায়ের কথা বলেছেন। যদিও জিদান নিজে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তা অস্বীকার করেছেন। তার পরেও মনে করা হচ্ছে জিদান হয়তো থাকছেন না। তিনি চলে যেতে পারেন ইটালিতে এবং দায়িত্ব নিতে পারেন ইউভেন্টাসের। তার বদলে রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নিতে পারেন রাউল।