কার্লো অ্যানচেলোত্তি রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। জিনেদিন জিদান কোচের পদ থেকে চলে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে কোচের পদটিতে বসছেন অ্যানচেলোত্তি। এর আগেও তিনি রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। জিদান চলে যাওয়ার পর কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছিল মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি, অ্যান্টনিও কোন্ডে, মরিসিও পচেত্তিনো, রাউল এবং জাভি অ্যালোসোর নাম। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই শোনা যায় এভারটনের কোচ অ্যানচেলোত্তির নাম এবং তাকে কোচ হিসেবে নিয়োগও দিয়ে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের সাথে তিন বছরের চুক্তি করছেন।
মনে করা হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ এবং ক্লাব কর্মকর্তা হোসে অ্যাঞ্জেল স্যানচেজ চেয়েছিলেন একজন ইটালিয়ানকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে। তাই অ্যানচেলোত্তিকে প্রস্তাব দেন তারা এবং অ্যানচেলোত্তিও সাদরে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অবশ্য রিয়ালের প্রস্তাব গ্রহণের আগে তিনি এভারটনের সাথে আলোচনা করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ইংলিশ ক্লাবটির কোচের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।
অ্যানচেলোত্তি এর আগে ২০১৩-১৫ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। সেবার প্রথম মৌসুমেই তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন। দ্বিতীয় মৌসুমে দারুন শুরু করলেও ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড় খেলা থেকে ছিটকে খেলে বড় কোন ট্রফি জয় করতে ব্যর্থ হন অ্যানচেলোত্তি। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই সরে যেতে হয় তাকে। দুই বছর দায়িত্ব পালন কালে তিনি রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে, বিশ^ ক্লাব কাপ এবং ইউরোপিয়ান সুপার কাপ এনে দেন।
সেবার দ্বিতীয় বছর এক পর্যায়ে তার অধীনে রিয়াল টানা ২২টি ম্যাচ জিতেছিল। সেই ২২ ম্যাচে তারা গোল করেছিল ৮০টি এবং খেয়েছিল মাত্র ১০টি। কিন্তু এর পরই ইনজুরি আঘাত হানে দলে এবং তারা শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়। বার্সেলোনা জিতে নেয় লা লিগার শিরোপা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় চেয়েছিলেন অ্যানচেলোত্তিই কোচের পদে বহাল থাকুন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে দিয়ে রাফায়েল বেনিটেজকে কোচের দায়িত্ব দেন। কিন্তু বেনিটেজ ব্যর্থ হলে নিয়োগ দেয়া হয় জিদানকে।
কোচ হিসেবে বেশ সফল অ্যানচেলোত্তি। তিনি বড় বড় লিগের শিরোপা জিতেছেন তিনবার। এবার তার লক্ষ্য হবে স্পেনিশ লা লিগার শিরোপা জেতা। রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর তিনি বায়ার্ন মিউনিখ, ন্যাপোলি এবং এভারটনের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমের শুরুতে তার অধীনে এভারটন দারুন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি। অ্যানচেলোত্তির বড় সুবিধা হলো কোচিং ক্যারিয়ারে তার অধীনে অনেক তারকা খেলোয়াড় খেলেছেন। তারকাদের কিভাবে সামাল দিতে হয় তা তিনি বেশ ভাল জানেন। খেলোয়াড়দের তিনি খুব ¯েœহ করেন। ব্যক্তিগত যে কোন সমস্যা নিয়েও খেলোয়াড়রা কোচের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পান। যে কারণে খেলোয়াড়দের কাছেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। তাই তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে গেলেও সবার সাথে ছিল সুসম্পর্ক। তার এ কৌশল কাজে লাগিয়েই রিয়াল আবার সাফল্য পেতে চায়।
বুধবার, ০২ জুন ২০২১
কার্লো অ্যানচেলোত্তি রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। জিনেদিন জিদান কোচের পদ থেকে চলে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে কোচের পদটিতে বসছেন অ্যানচেলোত্তি। এর আগেও তিনি রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। জিদান চলে যাওয়ার পর কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছিল মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি, অ্যান্টনিও কোন্ডে, মরিসিও পচেত্তিনো, রাউল এবং জাভি অ্যালোসোর নাম। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই শোনা যায় এভারটনের কোচ অ্যানচেলোত্তির নাম এবং তাকে কোচ হিসেবে নিয়োগও দিয়ে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের সাথে তিন বছরের চুক্তি করছেন।
মনে করা হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ এবং ক্লাব কর্মকর্তা হোসে অ্যাঞ্জেল স্যানচেজ চেয়েছিলেন একজন ইটালিয়ানকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে। তাই অ্যানচেলোত্তিকে প্রস্তাব দেন তারা এবং অ্যানচেলোত্তিও সাদরে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অবশ্য রিয়ালের প্রস্তাব গ্রহণের আগে তিনি এভারটনের সাথে আলোচনা করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ইংলিশ ক্লাবটির কোচের পদ থেকে অব্যাহতি নেন।
অ্যানচেলোত্তি এর আগে ২০১৩-১৫ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। সেবার প্রথম মৌসুমেই তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন। দ্বিতীয় মৌসুমে দারুন শুরু করলেও ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকজন নিয়মিত খেলোয়াড় খেলা থেকে ছিটকে খেলে বড় কোন ট্রফি জয় করতে ব্যর্থ হন অ্যানচেলোত্তি। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই সরে যেতে হয় তাকে। দুই বছর দায়িত্ব পালন কালে তিনি রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে, বিশ^ ক্লাব কাপ এবং ইউরোপিয়ান সুপার কাপ এনে দেন।
সেবার দ্বিতীয় বছর এক পর্যায়ে তার অধীনে রিয়াল টানা ২২টি ম্যাচ জিতেছিল। সেই ২২ ম্যাচে তারা গোল করেছিল ৮০টি এবং খেয়েছিল মাত্র ১০টি। কিন্তু এর পরই ইনজুরি আঘাত হানে দলে এবং তারা শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়। বার্সেলোনা জিতে নেয় লা লিগার শিরোপা। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় চেয়েছিলেন অ্যানচেলোত্তিই কোচের পদে বহাল থাকুন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে দিয়ে রাফায়েল বেনিটেজকে কোচের দায়িত্ব দেন। কিন্তু বেনিটেজ ব্যর্থ হলে নিয়োগ দেয়া হয় জিদানকে।
কোচ হিসেবে বেশ সফল অ্যানচেলোত্তি। তিনি বড় বড় লিগের শিরোপা জিতেছেন তিনবার। এবার তার লক্ষ্য হবে স্পেনিশ লা লিগার শিরোপা জেতা। রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর তিনি বায়ার্ন মিউনিখ, ন্যাপোলি এবং এভারটনের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমের শুরুতে তার অধীনে এভারটন দারুন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি। অ্যানচেলোত্তির বড় সুবিধা হলো কোচিং ক্যারিয়ারে তার অধীনে অনেক তারকা খেলোয়াড় খেলেছেন। তারকাদের কিভাবে সামাল দিতে হয় তা তিনি বেশ ভাল জানেন। খেলোয়াড়দের তিনি খুব ¯েœহ করেন। ব্যক্তিগত যে কোন সমস্যা নিয়েও খেলোয়াড়রা কোচের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পান। যে কারণে খেলোয়াড়দের কাছেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। তাই তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে গেলেও সবার সাথে ছিল সুসম্পর্ক। তার এ কৌশল কাজে লাগিয়েই রিয়াল আবার সাফল্য পেতে চায়।