ফরাসী ওপেন টেনিস
নোভাক জকোভিচ শুক্রবার রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে ফরাসী ওপেন টেনিসের ফাইনালে উঠেছেন। নাদাল ১৬ বছর ধরে ফরাসী ওপেনে অংশ নিচ্ছেন এবং এটা ছিল প্রতিযোগিতায় তার ১০৮ ম্যাচে মাত্র তৃতীয় পরাজয়। জকোভিচ এ ম্যাচে খেলেন অসাধারণ টেনিস। এ সময়কার সেরা দুই তারকার লড়াই শেষ হয় ফ্রান্সে জারি হওয়া রাত্রি কালীন কারফিউর মধ্যে। দুই জনের মধ্যে এটা ছিল ৫৮তম লড়াই। ম্যাচে জকোভিচ জয়ী হন ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ এবং ৬-২ গেমে। এবার জকোভিচ শিরোপা জিতলে ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে সবগুলো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা দুইবার করে জেতার কৃতিত্ব অর্জন করবেন। সেই সাথে তার গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার সংখ্যা বেড়ে হবে ১৯টি। তার চেয়ে বেশী জিতেছেন কেবল রজার ফেদেরার এবং নাদাল। তাদের সংগ্রহ ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম। জকোভিচ এর আগে ২০১৬ সালে ফরাসী ওপেন জিতেছিলেন। তিনি ২০১৫ সালেও নাদালকে হারিয়েছিলেন। ফাইনালে জকোভিচ খেলবেন স্টিফানোস টিস্টিপাসের বিপক্ষে।
টিস্টিপাস ৬-৩, ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬, ৬-৩ গেমে জার্মানির আলেকজান্ডার জেভরেভকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন।
৩৫ বছর বয়সী নাদাল ফাইনালে উঠতে পারলে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ফরাসী ওপেনের ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব অর্জন করতেন। নাদাল হেরে যাওয়ায় ফেদেরারকে টপকে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তার আপাতত হলো না। ম্যাচ শেষে জকোভিচ বলেন, ‘এমন এক অসাধারণ ম্যাচে নাদালের বিপক্ষে খেলতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।’ ম্যাচটি শেষ হতে সময় লেগে ৪ ঘন্টা ১১ মিনিট। জকোভিচ স্বীকার করেন প্যারিসে খেলা এটাই তার সেরা ম্যাচ। প্যারিস নাদালের বিপক্ষে এটা ছিল জকোভিচের আট ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। নাদালের কাছে তিনবার ফাইনালে হেরেছেন জকোভিচ। ফরাসী ওপেনে ১৪ সেমিফাইনালে এটা ছিল নাদালের প্রথম পরাজয়। নাদাল বলেন, ‘আজ আমার দিনটি সেরা দিন ছিল না। যদিও আমি দারুন লড়াই করেছি। ম্যাচে অনেক সময় আপনি জিতবেন, অনেক সময় হারবেন। তবে আমার সামনে বড় সুযোগ ছিল। আসলে কিছুটা অবসাদও কাজ করেছে।’ টানা ৫ গেম জিতে ম্যাচ শুরু করা নাদাল ম্যাচে ৫৫টি আনফোর্সড এরর করেছেন। মূলত এতেই তিনি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন।
ফরাসী ওপেন টেনিস
শনিবার, ১২ জুন ২০২১
নোভাক জকোভিচ শুক্রবার রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে ফরাসী ওপেন টেনিসের ফাইনালে উঠেছেন। নাদাল ১৬ বছর ধরে ফরাসী ওপেনে অংশ নিচ্ছেন এবং এটা ছিল প্রতিযোগিতায় তার ১০৮ ম্যাচে মাত্র তৃতীয় পরাজয়। জকোভিচ এ ম্যাচে খেলেন অসাধারণ টেনিস। এ সময়কার সেরা দুই তারকার লড়াই শেষ হয় ফ্রান্সে জারি হওয়া রাত্রি কালীন কারফিউর মধ্যে। দুই জনের মধ্যে এটা ছিল ৫৮তম লড়াই। ম্যাচে জকোভিচ জয়ী হন ৩-৬, ৬-৩, ৭-৬ এবং ৬-২ গেমে। এবার জকোভিচ শিরোপা জিতলে ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে সবগুলো গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা দুইবার করে জেতার কৃতিত্ব অর্জন করবেন। সেই সাথে তার গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার সংখ্যা বেড়ে হবে ১৯টি। তার চেয়ে বেশী জিতেছেন কেবল রজার ফেদেরার এবং নাদাল। তাদের সংগ্রহ ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম। জকোভিচ এর আগে ২০১৬ সালে ফরাসী ওপেন জিতেছিলেন। তিনি ২০১৫ সালেও নাদালকে হারিয়েছিলেন। ফাইনালে জকোভিচ খেলবেন স্টিফানোস টিস্টিপাসের বিপক্ষে।
টিস্টিপাস ৬-৩, ৬-৩, ৪-৬, ৪-৬, ৬-৩ গেমে জার্মানির আলেকজান্ডার জেভরেভকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন।
৩৫ বছর বয়সী নাদাল ফাইনালে উঠতে পারলে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ফরাসী ওপেনের ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব অর্জন করতেন। নাদাল হেরে যাওয়ায় ফেদেরারকে টপকে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তার আপাতত হলো না। ম্যাচ শেষে জকোভিচ বলেন, ‘এমন এক অসাধারণ ম্যাচে নাদালের বিপক্ষে খেলতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।’ ম্যাচটি শেষ হতে সময় লেগে ৪ ঘন্টা ১১ মিনিট। জকোভিচ স্বীকার করেন প্যারিসে খেলা এটাই তার সেরা ম্যাচ। প্যারিস নাদালের বিপক্ষে এটা ছিল জকোভিচের আট ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। নাদালের কাছে তিনবার ফাইনালে হেরেছেন জকোভিচ। ফরাসী ওপেনে ১৪ সেমিফাইনালে এটা ছিল নাদালের প্রথম পরাজয়। নাদাল বলেন, ‘আজ আমার দিনটি সেরা দিন ছিল না। যদিও আমি দারুন লড়াই করেছি। ম্যাচে অনেক সময় আপনি জিতবেন, অনেক সময় হারবেন। তবে আমার সামনে বড় সুযোগ ছিল। আসলে কিছুটা অবসাদও কাজ করেছে।’ টানা ৫ গেম জিতে ম্যাচ শুরু করা নাদাল ম্যাচে ৫৫টি আনফোর্সড এরর করেছেন। মূলত এতেই তিনি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন।