কোপা আমেরিকা
ব্রাজিল দারুন ছন্দময় ফুটবল খেলে কোপা আমেরিকায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী হয়েছে। তারা শুক্রবার সকালে পেরুকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভেনিজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারানো ব্রাজিল দ্বিতীয় ম্যাচে এক হালি গোল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এবার তারা ফেবারিট হিসেবেই কোপা আমেরিকায় অংশ নিচ্ছে। তার আগে বিশ^কাপের বাছাই পর্বে খেলা ছয় ম্যাচের সব কটিতেই জিতেছিল তারা।
ব্রাজিলের জয়টি বড় হলেও সে জন্য তাদেরকে চেষ্টা চালাতে হয়েছে একেবারে শেষ পর্যন্ত। শুরুর দিকে অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। এর পর চাপ অব্যাহত রাখলেও পেরুর রক্ষণভাগকে পরাস্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে নেইমার গোল করলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। শেষ দিকে এভারটন রিভেইরো এবং রিচার্লিসন গোল করলে গোলের হালি পূর্ণ হয়। এ ম্যাচ খেলার আগে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ ছিল কিছুটা কর্দমাক্ত। ফলে দ্রুত গতির ফুটবল খেলতে সমস্যা হয়েছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের।
ব্রাজিল ম্যাচে প্রথম প্রকৃত সুযোগ থেকেই গোল করে এগিয়ে যায়। এভারটনের ক্রস থেকে বল পেয়ে গ্যাব্রিয়েল জেসুস সামনে দিলে ভলির সাহায্যে গোল করেন স্যান্ড্রো। দেশের হয়ে এটা ছিল তার দ্বিতীয় গোল। ২৫ মিনিটে ফ্যাবিনিয়ো পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি অল্পের জন্য বাইরে যায়। খেলার আধ ঘন্টার সময় ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসনের পরীক্ষা নেন পেরুর রেনাতো টাপিয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেরু ব্রাজিলকে কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়। ৩৯ মিনিটে ব্রাজিলকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার দানিলো। কর্নার কিক থেকে সুযোগটি পেয়েছিল পেরু। প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্যান্ড্রো একটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। খেলার ৬০ মিনিটে ব্রাজিলের পক্ষে পেনাল্টির বাশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু ভিএআর দেখে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। কারণ নেইমার যেভাবে পড়েগিয়েছিলেন তা পেনাল্টির জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। রেনাতোর সাথে তার ন্যুনতম স্পর্শই লেগেছিল। ৬৮ মিনিটে অবশ্য গোল করেন নেইমার। ফ্রেডের পাস থেকে বল পেয়ে তিনি কোনাকুনি শটে গোল করেন। দেশের হয়ে এটা ছিল নেইমারের ৬৮তম গোল। এ গোল খেয়ে হতোদ্যম হয়ে যায় পেরু এবং ব্রাজিল ব্যবধান বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গিয়েও তারা গোল করতে পারছিল না। অবশেষে ৮৯ মিনিটে তৃতীয় সফলতার মুখ দেখে ব্রাজিল। রিচার্লিসনের পাস থেকে এভারটন রিভেইরো করেন গোলটি। ইনজুরি টাইমে রিচার্লিসন ্ব্রাজিলের গোলের হালি পূর্ণ করেন।
দিনের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলা গোলশূন্য ড্র করে।
কোপা আমেরিকা
শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
ব্রাজিল দারুন ছন্দময় ফুটবল খেলে কোপা আমেরিকায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী হয়েছে। তারা শুক্রবার সকালে পেরুকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভেনিজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারানো ব্রাজিল দ্বিতীয় ম্যাচে এক হালি গোল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এবার তারা ফেবারিট হিসেবেই কোপা আমেরিকায় অংশ নিচ্ছে। তার আগে বিশ^কাপের বাছাই পর্বে খেলা ছয় ম্যাচের সব কটিতেই জিতেছিল তারা।
ব্রাজিলের জয়টি বড় হলেও সে জন্য তাদেরকে চেষ্টা চালাতে হয়েছে একেবারে শেষ পর্যন্ত। শুরুর দিকে অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। এর পর চাপ অব্যাহত রাখলেও পেরুর রক্ষণভাগকে পরাস্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে নেইমার গোল করলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। শেষ দিকে এভারটন রিভেইরো এবং রিচার্লিসন গোল করলে গোলের হালি পূর্ণ হয়। এ ম্যাচ খেলার আগে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠ ছিল কিছুটা কর্দমাক্ত। ফলে দ্রুত গতির ফুটবল খেলতে সমস্যা হয়েছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের।
ব্রাজিল ম্যাচে প্রথম প্রকৃত সুযোগ থেকেই গোল করে এগিয়ে যায়। এভারটনের ক্রস থেকে বল পেয়ে গ্যাব্রিয়েল জেসুস সামনে দিলে ভলির সাহায্যে গোল করেন স্যান্ড্রো। দেশের হয়ে এটা ছিল তার দ্বিতীয় গোল। ২৫ মিনিটে ফ্যাবিনিয়ো পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি অল্পের জন্য বাইরে যায়। খেলার আধ ঘন্টার সময় ব্রাজিলের গোলরক্ষক এডারসনের পরীক্ষা নেন পেরুর রেনাতো টাপিয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেরু ব্রাজিলকে কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়। ৩৯ মিনিটে ব্রাজিলকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার দানিলো। কর্নার কিক থেকে সুযোগটি পেয়েছিল পেরু। প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্যান্ড্রো একটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। খেলার ৬০ মিনিটে ব্রাজিলের পক্ষে পেনাল্টির বাশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু ভিএআর দেখে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন। কারণ নেইমার যেভাবে পড়েগিয়েছিলেন তা পেনাল্টির জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। রেনাতোর সাথে তার ন্যুনতম স্পর্শই লেগেছিল। ৬৮ মিনিটে অবশ্য গোল করেন নেইমার। ফ্রেডের পাস থেকে বল পেয়ে তিনি কোনাকুনি শটে গোল করেন। দেশের হয়ে এটা ছিল নেইমারের ৬৮তম গোল। এ গোল খেয়ে হতোদ্যম হয়ে যায় পেরু এবং ব্রাজিল ব্যবধান বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে গিয়েও তারা গোল করতে পারছিল না। অবশেষে ৮৯ মিনিটে তৃতীয় সফলতার মুখ দেখে ব্রাজিল। রিচার্লিসনের পাস থেকে এভারটন রিভেইরো করেন গোলটি। ইনজুরি টাইমে রিচার্লিসন ্ব্রাজিলের গোলের হালি পূর্ণ করেন।
দিনের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলা গোলশূন্য ড্র করে।