ইউরো ২০২০
পর্তুগালকে ৪-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জার্মানি ইউরোতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে। এ ম্যাচে জয়ী হওয়ায় জার্মানি নক আউট পর্বে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। কাগজে কলমে আশা বেচে আছে পর্তুগালেরও। জার্মানি শেষ ম্যাচে খেলবে হাঙ্গেরির সাথে। সে ম্যাচে জিতলে তাদের পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। অপর দিকে পর্তুগাল শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। শেষ ম্যাচে যদি তারা জিততে পারে তাহলে উঠে যাবে নক আউট পর্বে। তবে ম্যাচ যদি ড্র হয় তাহলে জার্মানি-হাঙ্গেরি ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করতে হবে তাদের।
ইউরোর নক আউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা বাচিয়ে রাখার জন্য জার্মানির জয়ের কোন বিকল্প না থাকায় তারা শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে। তাদের দুরন্ত গতির সাথে তাল মেলাতে বেশ কষ্টই হচ্ছিল পর্তুগালের রক্ষণভাগের। ৫ মিনিটের মাথায় জার্মানির.. পর্তুগালের জালে বলও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফ সাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। তার পরেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে জার্মানি, কিন্তু ১৫ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। জার্মানির আক্রমণ প্রতিহত করে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পর্তুগাল। বার্নার্ডো সিলভার লম্বা পাস নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি পাস দেন দিয়েগো জোটা এবং তাতে পা লাগিয়ে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনালদো। চলতি ইউরোতে এটা ছিল তার তৃতীয় গোল।
জার্মানি ম্যাচে সমতা ফেরায় খেলার ৩৫ মিনিটে। ক্রমাগত চাপ বজায় রাখার ফল হিসেবেই গোলটি পেয়ে যায় তারা। জশুয়া কিমিচের ক্রসে ভলি মেরে বক্সে ফেলেন রবিন গোসেন্স। কাই হাভার্টসকে পাহারায় রাখা রুবিন ডিয়াস সেটি প্রতিহত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন। এর চার মিনিট পরই আবারও আত্মঘাতি গোল খেয়ে বসে পর্তুগাল। এটি করেন রাফায়েল গুয়েরেরো। জার্মান আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে রাফায়েল নিজেদের জালেই বল জড়ালে জার্মানি এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারায় খেলা শুরু হয় এবং ছয় মিনিটের মাথায় জার্মানি তৃতীয় গোল করে। এটা করেন কাই হাভার্টস। রবিন গোসেন্সের ক্রসে পা লাগিয়ে হাভার্টস করেন দলের তৃতীয় গোলটি। এ গোলটি দেখে মনে হয়েছে পর্তুগালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা আত্মবিশ^াসের অভাবে ভুগছে। তারা বার বারই রবিনকে ফাকা জায়গা দিচ্ছে এবং সে দিক দিয়েই বেশী আক্রমণ করছে জার্মানি। তারা চতুর্থ গোলটি সেই দিক থেকেই করেছে। এ গোলটি করেন গোসেন্স। জশুয়া কিমিচের ক্রসে ফাকায় দাড়িয়ে হেড করেন গোসেন্স। ৬০ মিনিটের মধ্যেই ৪-১ গোলে এগিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে জার্মানি। তাই কোচ পরিবর্তন আনেন তিনটি।
পর্তুগাল এর আগে ইউরো প্রতিযোগিতায় চার গোল খায়নি। সেই লজ্জাই তাদের পেতে হয়েছে জার্মানির কাছে। তবে তারা সহজেই হার মেনে নেয়নি। ৬৭ মিনিটে দিয়েগো জোটা পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বল দারুনভাবে পা লাগিয়ে গোলমুখে ফেলেন রোনালদো এবং সেটি জালে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান জোটা। ৭৮ মিনিটে রেনাটো স্যানচেজের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে গোল বঞ্চিত হয় পর্তুগাল।
ইউরো ২০২০
রোববার, ২০ জুন ২০২১
পর্তুগালকে ৪-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জার্মানি ইউরোতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে। এ ম্যাচে জয়ী হওয়ায় জার্মানি নক আউট পর্বে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। কাগজে কলমে আশা বেচে আছে পর্তুগালেরও। জার্মানি শেষ ম্যাচে খেলবে হাঙ্গেরির সাথে। সে ম্যাচে জিতলে তাদের পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। অপর দিকে পর্তুগাল শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। শেষ ম্যাচে যদি তারা জিততে পারে তাহলে উঠে যাবে নক আউট পর্বে। তবে ম্যাচ যদি ড্র হয় তাহলে জার্মানি-হাঙ্গেরি ম্যাচের ফলের উপর নির্ভর করতে হবে তাদের।
ইউরোর নক আউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা বাচিয়ে রাখার জন্য জার্মানির জয়ের কোন বিকল্প না থাকায় তারা শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে। তাদের দুরন্ত গতির সাথে তাল মেলাতে বেশ কষ্টই হচ্ছিল পর্তুগালের রক্ষণভাগের। ৫ মিনিটের মাথায় জার্মানির.. পর্তুগালের জালে বলও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফ সাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। তার পরেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে জার্মানি, কিন্তু ১৫ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। জার্মানির আক্রমণ প্রতিহত করে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে যায় পর্তুগাল। বার্নার্ডো সিলভার লম্বা পাস নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি পাস দেন দিয়েগো জোটা এবং তাতে পা লাগিয়ে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনালদো। চলতি ইউরোতে এটা ছিল তার তৃতীয় গোল।
জার্মানি ম্যাচে সমতা ফেরায় খেলার ৩৫ মিনিটে। ক্রমাগত চাপ বজায় রাখার ফল হিসেবেই গোলটি পেয়ে যায় তারা। জশুয়া কিমিচের ক্রসে ভলি মেরে বক্সে ফেলেন রবিন গোসেন্স। কাই হাভার্টসকে পাহারায় রাখা রুবিন ডিয়াস সেটি প্রতিহত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন। এর চার মিনিট পরই আবারও আত্মঘাতি গোল খেয়ে বসে পর্তুগাল। এটি করেন রাফায়েল গুয়েরেরো। জার্মান আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে রাফায়েল নিজেদের জালেই বল জড়ালে জার্মানি এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারায় খেলা শুরু হয় এবং ছয় মিনিটের মাথায় জার্মানি তৃতীয় গোল করে। এটা করেন কাই হাভার্টস। রবিন গোসেন্সের ক্রসে পা লাগিয়ে হাভার্টস করেন দলের তৃতীয় গোলটি। এ গোলটি দেখে মনে হয়েছে পর্তুগালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা আত্মবিশ^াসের অভাবে ভুগছে। তারা বার বারই রবিনকে ফাকা জায়গা দিচ্ছে এবং সে দিক দিয়েই বেশী আক্রমণ করছে জার্মানি। তারা চতুর্থ গোলটি সেই দিক থেকেই করেছে। এ গোলটি করেন গোসেন্স। জশুয়া কিমিচের ক্রসে ফাকায় দাড়িয়ে হেড করেন গোসেন্স। ৬০ মিনিটের মধ্যেই ৪-১ গোলে এগিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে জার্মানি। তাই কোচ পরিবর্তন আনেন তিনটি।
পর্তুগাল এর আগে ইউরো প্রতিযোগিতায় চার গোল খায়নি। সেই লজ্জাই তাদের পেতে হয়েছে জার্মানির কাছে। তবে তারা সহজেই হার মেনে নেয়নি। ৬৭ মিনিটে দিয়েগো জোটা পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বল দারুনভাবে পা লাগিয়ে গোলমুখে ফেলেন রোনালদো এবং সেটি জালে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান জোটা। ৭৮ মিনিটে রেনাটো স্যানচেজের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে গোল বঞ্চিত হয় পর্তুগাল।