ইউরো ২০২০
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড স্পর্শ করার পাশাপাশি নিজ দেশ পর্তুগালকে ইউরো ২০২০ এর নক আউট পর্বে তুলে দিয়েছেন। বুধবার রাতে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগাল ২-২ গোলে বিশ^চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সাথে ড্র করে। রবিবার তারা নক আউট ম্যাচে খেলবে বেলজিয়ামের সাথে।
পর্তুগাল নক আউটের টিকিট পেয়েছে সেরা তৃতীয় স্থানকারী চার দলের একটি হিসেবে। এফ গ্রুপেত তাদের উপরে ছিল ফ্রান্স এবং জার্মানি। জার্মানি এ দিন ২-২ গোলে ড্র করে হাঙ্গেরির সাথে। জার্মানি ও পর্তুগালের পয়েন্ট সমান। কিন্তু দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জিতেছিল জার্মানি। তাই তারা হয়েছে দ্বিতীয় এবং পর্তুগাল তৃতীয়।
রোনালদো খেলার আধ ঘন্টার একটু পরই পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন। তবে বিরতির আগেই করিম বেনজামার গোলে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের দুটি গোলই করেন বেনজামা। খেলার ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদো দ্বিতীয় পেনাল্টি আদায় করেন এবং গোল করেন। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে রোনালদো করলেন ৫টি গোল। এর মাধ্যমে তিনি ইউরোতে গোল করলেন মোট ১৪টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি স্পর্শ করেন ইরানের সাবেক তারকা আলী দাইর করা ১০৯ গোলের রেকর্ড।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স সোমবার নক আউট ম্যাচে খেলবে সুইজারল্যান্ডের সাথে। ফরাসী কোচ দিদিয়ার দেশ্যম বলেন, ‘এটা ছিল তুমুল লড়াই। ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না। আমরা জিততে চেয়েছিলাম। তবে জার্মানির ম্যাচ ড্র হওয়ায় আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এবং আমাদের লক্ষ্যও ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমি জানি শেষ ষোল থেকে শুরু হবে নতুন প্রতিযোগিতা।’
ম্যাচে গোলের প্রথম সুযোগটি সৃষ্টি করেছিল ফ্রান্স। কাইলিয়ান এমবাপ্পের শট বাচিয়ে দেন পর্তুগীজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। পর্তুগাল পেনাল্টি পায় ৩১ মিনিটের সময়ে। ফরাসী গোলরক্ষক হুগো লরিস ঘুসি মেরে বল দূরে পাঠাতে গিয়ে সেটি মারেন দানিলো পেরেইরার মুখে। ফল হিসেবে পর্তুগাল পেনাল্টি পায় এবং গোল করেন রোনালদো। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে এক বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। বক্সের ভেতরে নেলসন সেমেডোর সাথে বল দখলের লড়াইয়ে গিয়ে পড়ে যান এমবাপ্পে এবং রেফারি অ্যান্টনিও ম্যাথু লাহোজ পেনাল্টির বাশি বাজান। পর্তুগালের খেলোয়াড়দের প্রতিবাদের মুখে তিনি ভিএআর এর সাহায্য নেন এবং পেনাল্টির সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেনজামা। ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর দেশের জার্সি গায়ে এটাই ছিল তার প্রথম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেনজামা দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। পল পগবার পাস থেকে বেনজামা গোলটি করেন। লাইন্সম্যান অফসাইডের ফ্লাগ তুললেও ভিএআর গোলটি বহাল রাখে।
রোনালদোর ক্রস ফরাসী ডিফেন্ডার জুলেস কুন্ডের হাতে লাগলে দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল এবং সেটি থেকে রোনালদো করেন দ্বিতীয় গোল। শেষ দিকে ফ্রান্স চাপ সৃষ্টি করে খেললেও আর কোন গোল করতে পারেনি। ইনজুরি টাইমে ফ্রান্স একটি পেনাল্টির দাবী তুলে। তবে রেফারি ভিএআর দেখে সে দাবী নাকচ করে দেন।
ইউরো ২০২০
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড স্পর্শ করার পাশাপাশি নিজ দেশ পর্তুগালকে ইউরো ২০২০ এর নক আউট পর্বে তুলে দিয়েছেন। বুধবার রাতে বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগাল ২-২ গোলে বিশ^চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সাথে ড্র করে। রবিবার তারা নক আউট ম্যাচে খেলবে বেলজিয়ামের সাথে।
পর্তুগাল নক আউটের টিকিট পেয়েছে সেরা তৃতীয় স্থানকারী চার দলের একটি হিসেবে। এফ গ্রুপেত তাদের উপরে ছিল ফ্রান্স এবং জার্মানি। জার্মানি এ দিন ২-২ গোলে ড্র করে হাঙ্গেরির সাথে। জার্মানি ও পর্তুগালের পয়েন্ট সমান। কিন্তু দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জিতেছিল জার্মানি। তাই তারা হয়েছে দ্বিতীয় এবং পর্তুগাল তৃতীয়।
রোনালদো খেলার আধ ঘন্টার একটু পরই পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন। তবে বিরতির আগেই করিম বেনজামার গোলে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। ফ্রান্সের দুটি গোলই করেন বেনজামা। খেলার ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদো দ্বিতীয় পেনাল্টি আদায় করেন এবং গোল করেন। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে রোনালদো করলেন ৫টি গোল। এর মাধ্যমে তিনি ইউরোতে গোল করলেন মোট ১৪টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি স্পর্শ করেন ইরানের সাবেক তারকা আলী দাইর করা ১০৯ গোলের রেকর্ড।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স সোমবার নক আউট ম্যাচে খেলবে সুইজারল্যান্ডের সাথে। ফরাসী কোচ দিদিয়ার দেশ্যম বলেন, ‘এটা ছিল তুমুল লড়াই। ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না। আমরা জিততে চেয়েছিলাম। তবে জার্মানির ম্যাচ ড্র হওয়ায় আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এবং আমাদের লক্ষ্যও ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমি জানি শেষ ষোল থেকে শুরু হবে নতুন প্রতিযোগিতা।’
ম্যাচে গোলের প্রথম সুযোগটি সৃষ্টি করেছিল ফ্রান্স। কাইলিয়ান এমবাপ্পের শট বাচিয়ে দেন পর্তুগীজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। পর্তুগাল পেনাল্টি পায় ৩১ মিনিটের সময়ে। ফরাসী গোলরক্ষক হুগো লরিস ঘুসি মেরে বল দূরে পাঠাতে গিয়ে সেটি মারেন দানিলো পেরেইরার মুখে। ফল হিসেবে পর্তুগাল পেনাল্টি পায় এবং গোল করেন রোনালদো। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে এক বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। বক্সের ভেতরে নেলসন সেমেডোর সাথে বল দখলের লড়াইয়ে গিয়ে পড়ে যান এমবাপ্পে এবং রেফারি অ্যান্টনিও ম্যাথু লাহোজ পেনাল্টির বাশি বাজান। পর্তুগালের খেলোয়াড়দের প্রতিবাদের মুখে তিনি ভিএআর এর সাহায্য নেন এবং পেনাল্টির সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেনজামা। ২০১৫ সালের অক্টোবরের পর দেশের জার্সি গায়ে এটাই ছিল তার প্রথম গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেনজামা দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। পল পগবার পাস থেকে বেনজামা গোলটি করেন। লাইন্সম্যান অফসাইডের ফ্লাগ তুললেও ভিএআর গোলটি বহাল রাখে।
রোনালদোর ক্রস ফরাসী ডিফেন্ডার জুলেস কুন্ডের হাতে লাগলে দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল এবং সেটি থেকে রোনালদো করেন দ্বিতীয় গোল। শেষ দিকে ফ্রান্স চাপ সৃষ্টি করে খেললেও আর কোন গোল করতে পারেনি। ইনজুরি টাইমে ফ্রান্স একটি পেনাল্টির দাবী তুলে। তবে রেফারি ভিএআর দেখে সে দাবী নাকচ করে দেন।