ইউরো ২০২০
ইটালি অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইটালি ২-১ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রিয়াকে। ইটালি এ নিয়ে টানা ১২টি ম্যাচে জয়ী হলো। তবে দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা পর ইটালি এম্যাচে একটি গোলও খেয়েয়ে। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ফেডেরিকো চিসা ৯৫তম মিনিটে। তিনি দারুন দক্ষতায় বল নিয়ন্ত্রনে নেন, একজনকে কাটান এবং চমৎকার ফিনিশিং করেন। এ গোলের পর অস্ট্রিয়ার রক্ষণে ফাটল ধরে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাটেও পেসিনার গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে তারা। অবশ্য একটি গোল হজমও করে রবার্তো মানচিনির দলটি।
গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচেই সহজে জয়ী হয়েছিল ইটালি। দ্বিতীয় রাউন্ডেই তাদের কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়। কোচ তাই শেষ দিকে খেলোয়াড় বদল করেন এবং তাতেই কাজ হয়েছে। কোচ মানচিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষ এনার্জির দরকার পড়েছিল এবং যারা মাঠে নেমেছিল তারা সে কাজটি দারুনভাবে করেছে।’
গোলটি করার ঠিক আগে চিসা ছিলেন কিছুটা ফাকা জায়গায়। তিনি লিওনার্দো স্পিনাজোলার উচু হয়ে আসা ক্রস মাথা দিয়ে নিচে নামান এবং ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বা পায়ের শটে গোল করেন। গোলটি প্রসঙ্গে চিসা বলেন, ‘সাধারণত এভাবে বল আসলে সবাই প্রথমেই ভলি মারার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি ছিলাম বেশ রিলাক্স এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই ভলি না মেরে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে শট মেরেছি।’ এ গোল ইটালিকে নিয়ে গেছে ২৫ আগের স্মৃতিতে। ১৯৯৬ সালের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফেডেরিকোর বাবা এনরিকো চিসা করেছিলেন একটি গোল।
ইটালি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে পর্তুগাল এবং বেলজিয়ামের মধ্যেকার ম্যাচে বিজয়ী দলের সাথে। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোচ মানচিনি বলেন, ‘সুযোগ থাকলে আমি উভয় দলকেই এড়িয়ে যেতাম। কিন্তু তা সম্ভব নয়।’
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে সাত গোল করার ইটালির জন্য অস্ট্রিয়ার ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না। প্রথম ৯০ মিনিট অস্ট্রিয়া সমানতালে ইটালির সাথে পাল্লা দিয়েছে। ম্যাচ শেষে স্পিনাজোলা বলেন, ‘৯০ মিনিট শেষে আমরা আলোচনা করি এবং ঠিক করি প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে আমাদের সঠিক পাস দিতে হবে। সেটা করাতেই অতিরিক্ত সময়ে আমরা গোল পেয়েছি।’
ইটালির দুটি গোলই হয়েছে ব্যক্তিগত নৈপুন্যে। পেসিনা মাঠে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে এবং তিনি গোল করেন ১০৫ মিনিটের মাথায়। পেসিনা বলেন, আমাদের দলের সবাই গোল করতে পারে এবং এটাই আমাদের মূল শক্তি। আমাদের দলটি অসাধারণ।’
ইটালি এ ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় গোল না খাওয়ার রেকর্ডও করেছে। আগের রেকর্ডটিও ছিল ইটালির। ১৯৭২-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তারা মোট ১১৪৩ মিনিট গোল না খেয়ে খেলেছে। এবার তারা গোল খেয়েছে ১১৬৮ মিনিট পর। খেলার ১১৪তম মিনিটে অস্ট্রিয়ার হয়ে সাসা কালাইডজিচ কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে গোল করেন। এ ম্যাচের মাধ্যমে ইটালি টানা ৩১টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে।
অস্ট্রিয়া অবশ্য ৬৫ মিনিটের সময়ে একবার বল জালে পাঠিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। অস্ট্রিয়ার কোচ ফ্রাঙ্কো ফোডা বলেন, ‘আমরা হতাশ এবং খুব কষ্ট পেয়েছি। ফুটবলে আমাদের ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। আমরা আমরা এর শিকার হয়েছি। আমাদের অফসাইড কলটি ছিল খুবই অল্পের জন্য। কিন্ত আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে।’ ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায় মার্কো আর্নাউতোভিচের ডান পায়ের কিছু অংশ অফসাইডে রয়েছে। যে কারণে গোল বাতিল হয় এবং বিদায় নেয় অস্ট্রিয়া।
ইউরো ২০২০
রোববার, ২৭ জুন ২০২১
ইটালি অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইটালি ২-১ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রিয়াকে। ইটালি এ নিয়ে টানা ১২টি ম্যাচে জয়ী হলো। তবে দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা পর ইটালি এম্যাচে একটি গোলও খেয়েয়ে। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ফেডেরিকো চিসা ৯৫তম মিনিটে। তিনি দারুন দক্ষতায় বল নিয়ন্ত্রনে নেন, একজনকে কাটান এবং চমৎকার ফিনিশিং করেন। এ গোলের পর অস্ট্রিয়ার রক্ষণে ফাটল ধরে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাটেও পেসিনার গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে তারা। অবশ্য একটি গোল হজমও করে রবার্তো মানচিনির দলটি।
গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচেই সহজে জয়ী হয়েছিল ইটালি। দ্বিতীয় রাউন্ডেই তাদের কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়। কোচ তাই শেষ দিকে খেলোয়াড় বদল করেন এবং তাতেই কাজ হয়েছে। কোচ মানচিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষ এনার্জির দরকার পড়েছিল এবং যারা মাঠে নেমেছিল তারা সে কাজটি দারুনভাবে করেছে।’
গোলটি করার ঠিক আগে চিসা ছিলেন কিছুটা ফাকা জায়গায়। তিনি লিওনার্দো স্পিনাজোলার উচু হয়ে আসা ক্রস মাথা দিয়ে নিচে নামান এবং ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বা পায়ের শটে গোল করেন। গোলটি প্রসঙ্গে চিসা বলেন, ‘সাধারণত এভাবে বল আসলে সবাই প্রথমেই ভলি মারার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি ছিলাম বেশ রিলাক্স এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই ভলি না মেরে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে শট মেরেছি।’ এ গোল ইটালিকে নিয়ে গেছে ২৫ আগের স্মৃতিতে। ১৯৯৬ সালের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ফেডেরিকোর বাবা এনরিকো চিসা করেছিলেন একটি গোল।
ইটালি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে পর্তুগাল এবং বেলজিয়ামের মধ্যেকার ম্যাচে বিজয়ী দলের সাথে। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোচ মানচিনি বলেন, ‘সুযোগ থাকলে আমি উভয় দলকেই এড়িয়ে যেতাম। কিন্তু তা সম্ভব নয়।’
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে সাত গোল করার ইটালির জন্য অস্ট্রিয়ার ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না। প্রথম ৯০ মিনিট অস্ট্রিয়া সমানতালে ইটালির সাথে পাল্লা দিয়েছে। ম্যাচ শেষে স্পিনাজোলা বলেন, ‘৯০ মিনিট শেষে আমরা আলোচনা করি এবং ঠিক করি প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে আমাদের সঠিক পাস দিতে হবে। সেটা করাতেই অতিরিক্ত সময়ে আমরা গোল পেয়েছি।’
ইটালির দুটি গোলই হয়েছে ব্যক্তিগত নৈপুন্যে। পেসিনা মাঠে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে এবং তিনি গোল করেন ১০৫ মিনিটের মাথায়। পেসিনা বলেন, আমাদের দলের সবাই গোল করতে পারে এবং এটাই আমাদের মূল শক্তি। আমাদের দলটি অসাধারণ।’
ইটালি এ ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় গোল না খাওয়ার রেকর্ডও করেছে। আগের রেকর্ডটিও ছিল ইটালির। ১৯৭২-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তারা মোট ১১৪৩ মিনিট গোল না খেয়ে খেলেছে। এবার তারা গোল খেয়েছে ১১৬৮ মিনিট পর। খেলার ১১৪তম মিনিটে অস্ট্রিয়ার হয়ে সাসা কালাইডজিচ কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে গোল করেন। এ ম্যাচের মাধ্যমে ইটালি টানা ৩১টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে।
অস্ট্রিয়া অবশ্য ৬৫ মিনিটের সময়ে একবার বল জালে পাঠিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। অস্ট্রিয়ার কোচ ফ্রাঙ্কো ফোডা বলেন, ‘আমরা হতাশ এবং খুব কষ্ট পেয়েছি। ফুটবলে আমাদের ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠিত করা দরকার। আমরা আমরা এর শিকার হয়েছি। আমাদের অফসাইড কলটি ছিল খুবই অল্পের জন্য। কিন্ত আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে।’ ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায় মার্কো আর্নাউতোভিচের ডান পায়ের কিছু অংশ অফসাইডে রয়েছে। যে কারণে গোল বাতিল হয় এবং বিদায় নেয় অস্ট্রিয়া।