ইউরো ২০২০
টোটাল ফুটবলের প্রবর্তক নেদারল্যান্ডসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে চেক প্রজাতন্ত্র। রবিবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে শেষ আটে উঠে যায় চেক দল। খেলার ৫৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের ম্যাথিয়াস ডি লিট লাল কার্ড পেলে একজন বেশী নিয়ে খেলার বাড়তি সুবিধা পায় চেক প্রজাতন্ত্র এবং তারা সে সুযোগ কাজে লাগিয়েই ম্যাচ জিতে নেয়। লাল কার্ডের ঘটনার আগ পর্যন্ত ম্যাচে ডাচদেরই প্রাধান্য ছিল। তারা সুযোগও তৈরী করেছিল,কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে না পারায় তাদেরকে হার মানতে হয়। চেক প্রজাতন্ত্র কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে ডেনমার্কের সাথে।
উভয় দলই খেলা শুরু করে দুরন্ত গতিতে। ফলে দুই মিনিটের মধ্যেই প্রতিপক্ষের পোস্টে একবার করে শট নেয় উভয় দল। তবে ধীরে ধীরে খেলায় প্রাধান্য স্থাপন করে নেদারল্যান্ডস। তারা খুব সহজেই প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। কিন্তু চেক দলের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় পোস্টে শট নেয়া বেশ কঠিন হয় তাদের জন্য। ফলে চেক গোলরক্ষক ভ্যাকলিকের প্রকৃত পরীক্ষা নিতে তাদের চেষ্টা চালাতে হয়..মিনিট পর্যন্ত। চেক দলের কৌশল ছিল কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ২২ মিনিটের সময়ে তারা একটি সুযোগ তৈরী করে। সেভচিকের ক্রসে মাথা লাগিয়েছিলেন সুচেক। কিন্তু বল তিনি পোস্টে রাখতে পারেননি। ডাচ দল প্রথমার্ধেই আদায় করে ছয়টি কর্নার কিক। কিন্তু এগুলো থেকে তারা কোন গোল করতে পারেনি। উল্টো ৩৭ মিনিটে তারা গোল খেতে বসেছিল। গোল মুখে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন চেক দলের বারাক। সেটিতে পা লাগিয়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাচান ডি লিট। ৫১ মিনিটে গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন ডাচ দলের ডনি মালেন। তিনি চেক দলের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে যান বিপজ্জনকভাবে। গোলরক্ষক ভ্যাকলিককে কাটাতে গিয়ে বল জমা দেন তার হাতে। ৫৪ মিনিটের সময়ে বড় একটি ধাক্কা খায় ডাচ দল। ম্যাথিয়াস ডি লিট প্রতিপক্ষের আক্রমন রুখতে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল আটকানোয় রেফারি তাকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর দেখে দেখান লাল কার্ড। ফলে বাকি সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় নেদারল্যান্ডসকে। একজন বেশী নিয়ে খেলার কারণে ডাচদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় চেক প্রজাতন্ত্র। ৬৫ মিনিটের সময়ে তারা দারুন একটি সুযোগ তৈরী করে। কাডেরাবেকের নেয়া শট বাচিয়ে দেন ডামফ্রিস। তবে ৬৮ মিনিটে আর নিজেদের জালে বল যাওয়া রুখতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। কর্নার কিক থেকে পেনাল্টি বক্সে আসা বলে হেড দিয়ে অপর পাশে দেন শিক এবং তাতে হেড করে গোল করেন হোলস। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে নেদারল্যান্ডস। অপর দিকে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে চেক প্রজাতন্ত্র। ফলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলাটি বেশ জমে উঠে। ৮০ মিনিটে শিক চেক দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করলে নেদারল্যান্ডসের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ডাচ দলের রক্ষণভাগের শিথিলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেক দল গোলটি করে। শিক গোল করলেও এর জন্য বিশেষ কৃতিত্ব হোলসের। তিনিই বল নিয়ে গিয়ে বক্সের মাঝে শিককে বল দেন। বাকি সময়ও প্রাধান্য ছিল চেকদের। যে কারণে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিতে হয় ডিপে, উইনালডামদের নিয়ে গড়া নেদারল্যান্ডসকে।
ইউরো ২০২০
রোববার, ২৭ জুন ২০২১
টোটাল ফুটবলের প্রবর্তক নেদারল্যান্ডসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে চেক প্রজাতন্ত্র। রবিবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে শেষ আটে উঠে যায় চেক দল। খেলার ৫৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের ম্যাথিয়াস ডি লিট লাল কার্ড পেলে একজন বেশী নিয়ে খেলার বাড়তি সুবিধা পায় চেক প্রজাতন্ত্র এবং তারা সে সুযোগ কাজে লাগিয়েই ম্যাচ জিতে নেয়। লাল কার্ডের ঘটনার আগ পর্যন্ত ম্যাচে ডাচদেরই প্রাধান্য ছিল। তারা সুযোগও তৈরী করেছিল,কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে না পারায় তাদেরকে হার মানতে হয়। চেক প্রজাতন্ত্র কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে ডেনমার্কের সাথে।
উভয় দলই খেলা শুরু করে দুরন্ত গতিতে। ফলে দুই মিনিটের মধ্যেই প্রতিপক্ষের পোস্টে একবার করে শট নেয় উভয় দল। তবে ধীরে ধীরে খেলায় প্রাধান্য স্থাপন করে নেদারল্যান্ডস। তারা খুব সহজেই প্রতিপক্ষের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। কিন্তু চেক দলের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় পোস্টে শট নেয়া বেশ কঠিন হয় তাদের জন্য। ফলে চেক গোলরক্ষক ভ্যাকলিকের প্রকৃত পরীক্ষা নিতে তাদের চেষ্টা চালাতে হয়..মিনিট পর্যন্ত। চেক দলের কৌশল ছিল কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ২২ মিনিটের সময়ে তারা একটি সুযোগ তৈরী করে। সেভচিকের ক্রসে মাথা লাগিয়েছিলেন সুচেক। কিন্তু বল তিনি পোস্টে রাখতে পারেননি। ডাচ দল প্রথমার্ধেই আদায় করে ছয়টি কর্নার কিক। কিন্তু এগুলো থেকে তারা কোন গোল করতে পারেনি। উল্টো ৩৭ মিনিটে তারা গোল খেতে বসেছিল। গোল মুখে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন চেক দলের বারাক। সেটিতে পা লাগিয়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাচান ডি লিট। ৫১ মিনিটে গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন ডাচ দলের ডনি মালেন। তিনি চেক দলের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে যান বিপজ্জনকভাবে। গোলরক্ষক ভ্যাকলিককে কাটাতে গিয়ে বল জমা দেন তার হাতে। ৫৪ মিনিটের সময়ে বড় একটি ধাক্কা খায় ডাচ দল। ম্যাথিয়াস ডি লিট প্রতিপক্ষের আক্রমন রুখতে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল আটকানোয় রেফারি তাকে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর দেখে দেখান লাল কার্ড। ফলে বাকি সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় নেদারল্যান্ডসকে। একজন বেশী নিয়ে খেলার কারণে ডাচদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় চেক প্রজাতন্ত্র। ৬৫ মিনিটের সময়ে তারা দারুন একটি সুযোগ তৈরী করে। কাডেরাবেকের নেয়া শট বাচিয়ে দেন ডামফ্রিস। তবে ৬৮ মিনিটে আর নিজেদের জালে বল যাওয়া রুখতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। কর্নার কিক থেকে পেনাল্টি বক্সে আসা বলে হেড দিয়ে অপর পাশে দেন শিক এবং তাতে হেড করে গোল করেন হোলস। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে নেদারল্যান্ডস। অপর দিকে ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে চেক প্রজাতন্ত্র। ফলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলাটি বেশ জমে উঠে। ৮০ মিনিটে শিক চেক দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করলে নেদারল্যান্ডসের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ডাচ দলের রক্ষণভাগের শিথিলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেক দল গোলটি করে। শিক গোল করলেও এর জন্য বিশেষ কৃতিত্ব হোলসের। তিনিই বল নিয়ে গিয়ে বক্সের মাঝে শিককে বল দেন। বাকি সময়ও প্রাধান্য ছিল চেকদের। যে কারণে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিতে হয় ডিপে, উইনালডামদের নিয়ে গড়া নেদারল্যান্ডসকে।