ইউরো ২০২০
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে দ্বিতীয় রাউন্ডে পরাজিত করে বেলজিয়াম ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে পরাজিত করা ম্যাচে বেলজিয়ামের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন থোরগান হ্যাজার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়াম খেলবে ইটালির বিপক্ষে।
হ্যাজার্ড ফল নির্ধারনী গোলটি করেন ৪৩ মিনিটের সময়ে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য পর্তুগাল প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি। তাদের ফিনিশিংটা হয়নি এ ম্যাচে। ফলে ৫ বছর আগে প্যারিসে জেতা শিরোপা খুইয়ে ফেলতে হলো ইউরোপের ব্রাজিল খ্যাত পর্তুগালকে। রোনালদো এ ম্যাচে কোন গোল করতে না পারলেও এখন পর্যন্ত ৫ গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৩৬ বছর বয়সী রোনালদো যদি অবসর না নেন তাহলে ২০২৪ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোতে তিনি হবেন ষষ্ঠ ইউরোতে খেলা একমাত্র খেলোয়াড়। কাতার বিশ^কাপের পর রোনালদো জাতীয় দলে তার ভবিষ্যত ঠিক করবেন।
বেলজিয়াম বর্তমানে ফিফা র্যাংকিয়ের এক নম্বর দল এবং টুনামেন্টে তারা ফেবারিট হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। সৌভাগ্যবশত তারা পর্তুগালের বিপক্ষে জিতেছে। কিন্তু টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ইটালিকে হারাতে হলে তাদের খেলায় বেশ উন্নতি ঘটাতে হবে। পর্তুগালের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে তারা মাত্র একটি শটই নিতে পেরেছে এবং সেটি থেকেই গোল করেন হ্যাজার্ড। তার মিডফিল্ডে ছিল না কোন সৃষ্টিশীলতা। এটা স্বীকার করেন ডিফেন্ডার থমাস ভারমায়েলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের কথা চিন্তা করলে স্বীকার করতেই হবে যে আমরা সৌভাগ্যবশতই এ ম্যাচ জিতেছি।’
খেলার ছয় মিনিটে পর্তুগালের দিয়েগো জোটা গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন। রেনাটো স্যানচেজ মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে গিয়ে খুব ভাল জায়গায় জোটাকে বল দিয়েছিলেন। এর পর রোনালদোর শট বাচিয়ে দেন বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের পর বেলজিয়াম কিছুটা ভাল খেলে। ডি ব্রুইনের উপস্থিতি তাদের আশান্বিত করে তোলে। তারা ৪৩ মিনিটে চমৎকার একটি পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোলটি করে। হ্যাজার্ডকে গোলের পাসটি দিয়েছিলন থমাস মুনিয়ের। গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও সামনে এগিয়ে গিয়ে চেষ্টা করেছিলেন গোলটি প্রতিহত করতে। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।
হ্যাজার্ড বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচে আপনাকে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। গোলরক্ষক আশা করেছিলেন আমি অন্য দিক দিয়ে বল মারবো। এমন পরিস্থিতিতে মাথাও কাজে লাগাতে হয়।’
বিরতির তিন মিনিট পরই আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনকে। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে কোচ স্যান্টোস মাঠে নামান ব্রুনো ফার্নান্ডেজ এবং হোয়াও ফেলিক্সকে। রোনালদো সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। তিনি জোটাকে গোলের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন। কিন্তু জোটা ব্যর্থ হয়েছেন। এ দিন ভাগ্যও পর্তুগালের সাথে ছিলনা। তা না হলে রাফায়েল গুয়েরেইরোর শট পোস্টে লেগে ফেরত যেতো না। রুবেন ডিয়াজের দুরন্ত হেড বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক কর্তোয়া। ম্যাচ শেষে বেলজিয়াম গোলরক্ষক কর্তোয়া বলেন, ‘আমাকে আগের তিন ম্যাচে তেমন কিছু করতে হয়নি। কিন্তু পর্তুগালের সাথে ম্যাচটি যে সহজ হবে না তা আমি আগেই জানতাম। আমি সহখেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত। তারা দারুনভাবে পর্তুগালের আক্রমণ রুখে দিয়েছে। ইটালিও বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ হবে। সে ম্যাচেও আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।’
বেলজিয়ামের আরেক তারকা ইডেন হ্যাজার্ডকে কোচ মাঠ থেকে তুলে নেন। তিনি সাবলীলভাবে খেলতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছে তার পেশীতে আবারও আঘাত পেয়েছেন। পেশীর আঘাতের কারণে গত দুই মৌসুম ধরে হ্যাজার্ড তার ক্লাব রিয়ালের হয়ে তেমন খেলারই সুযোগ পাননি।
ইটালি এর আগেই অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছিল।
ইউরো ২০২০
সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে দ্বিতীয় রাউন্ডে পরাজিত করে বেলজিয়াম ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে পরাজিত করা ম্যাচে বেলজিয়ামের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন থোরগান হ্যাজার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়াম খেলবে ইটালির বিপক্ষে।
হ্যাজার্ড ফল নির্ধারনী গোলটি করেন ৪৩ মিনিটের সময়ে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য পর্তুগাল প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি। তাদের ফিনিশিংটা হয়নি এ ম্যাচে। ফলে ৫ বছর আগে প্যারিসে জেতা শিরোপা খুইয়ে ফেলতে হলো ইউরোপের ব্রাজিল খ্যাত পর্তুগালকে। রোনালদো এ ম্যাচে কোন গোল করতে না পারলেও এখন পর্যন্ত ৫ গোল করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৩৬ বছর বয়সী রোনালদো যদি অবসর না নেন তাহলে ২০২৪ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোতে তিনি হবেন ষষ্ঠ ইউরোতে খেলা একমাত্র খেলোয়াড়। কাতার বিশ^কাপের পর রোনালদো জাতীয় দলে তার ভবিষ্যত ঠিক করবেন।
বেলজিয়াম বর্তমানে ফিফা র্যাংকিয়ের এক নম্বর দল এবং টুনামেন্টে তারা ফেবারিট হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। সৌভাগ্যবশত তারা পর্তুগালের বিপক্ষে জিতেছে। কিন্তু টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ইটালিকে হারাতে হলে তাদের খেলায় বেশ উন্নতি ঘটাতে হবে। পর্তুগালের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে তারা মাত্র একটি শটই নিতে পেরেছে এবং সেটি থেকেই গোল করেন হ্যাজার্ড। তার মিডফিল্ডে ছিল না কোন সৃষ্টিশীলতা। এটা স্বীকার করেন ডিফেন্ডার থমাস ভারমায়েলেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের কথা চিন্তা করলে স্বীকার করতেই হবে যে আমরা সৌভাগ্যবশতই এ ম্যাচ জিতেছি।’
খেলার ছয় মিনিটে পর্তুগালের দিয়েগো জোটা গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন। রেনাটো স্যানচেজ মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে গিয়ে খুব ভাল জায়গায় জোটাকে বল দিয়েছিলেন। এর পর রোনালদোর শট বাচিয়ে দেন বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের পর বেলজিয়াম কিছুটা ভাল খেলে। ডি ব্রুইনের উপস্থিতি তাদের আশান্বিত করে তোলে। তারা ৪৩ মিনিটে চমৎকার একটি পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোলটি করে। হ্যাজার্ডকে গোলের পাসটি দিয়েছিলন থমাস মুনিয়ের। গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও সামনে এগিয়ে গিয়ে চেষ্টা করেছিলেন গোলটি প্রতিহত করতে। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।
হ্যাজার্ড বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাচে আপনাকে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। গোলরক্ষক আশা করেছিলেন আমি অন্য দিক দিয়ে বল মারবো। এমন পরিস্থিতিতে মাথাও কাজে লাগাতে হয়।’
বিরতির তিন মিনিট পরই আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনকে। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে কোচ স্যান্টোস মাঠে নামান ব্রুনো ফার্নান্ডেজ এবং হোয়াও ফেলিক্সকে। রোনালদো সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। তিনি জোটাকে গোলের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছেন। কিন্তু জোটা ব্যর্থ হয়েছেন। এ দিন ভাগ্যও পর্তুগালের সাথে ছিলনা। তা না হলে রাফায়েল গুয়েরেইরোর শট পোস্টে লেগে ফেরত যেতো না। রুবেন ডিয়াজের দুরন্ত হেড বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক কর্তোয়া। ম্যাচ শেষে বেলজিয়াম গোলরক্ষক কর্তোয়া বলেন, ‘আমাকে আগের তিন ম্যাচে তেমন কিছু করতে হয়নি। কিন্তু পর্তুগালের সাথে ম্যাচটি যে সহজ হবে না তা আমি আগেই জানতাম। আমি সহখেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত। তারা দারুনভাবে পর্তুগালের আক্রমণ রুখে দিয়েছে। ইটালিও বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ হবে। সে ম্যাচেও আমাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।’
বেলজিয়ামের আরেক তারকা ইডেন হ্যাজার্ডকে কোচ মাঠ থেকে তুলে নেন। তিনি সাবলীলভাবে খেলতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছে তার পেশীতে আবারও আঘাত পেয়েছেন। পেশীর আঘাতের কারণে গত দুই মৌসুম ধরে হ্যাজার্ড তার ক্লাব রিয়ালের হয়ে তেমন খেলারই সুযোগ পাননি।
ইটালি এর আগেই অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছিল।