ইউরো ২০২০
ক্রোয়েশিয়াকে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ৫-৩ গোলে পরাজিত করেন স্পেন ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সোমবার কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপটের সাথে খেলে জয়ী হয় স্পেন। যদিও গোলরক্ষক উনাই সিমনের ভুলে প্রথম গোল হজম করেছিল স্পেন। প্রথমার্ধেই সারাব্রিয়ার গোলে সমতা ফেরায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাজপিলিকুয়েটা এবং টোরেস গোল করলে বড় ব্যবধানেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় স্পেন। কিন্তু শেষ পাচ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া দুটি গোল করে ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরায়। নকআউট ম্যাচ বলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে স্পেন দুই গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় ৫-৩ গোলে।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার ওরসিচের নেয়া শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৯৫তম মিনিটে স্পেনকে বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। অতিরিক্ত সময়ের ১০ মিনিটে মোরাতার গোলে আবার লিড নেয় স্পেন। মোরাতার গোলে স্পেন এগিয়ে যায় ৪-৩ গোলে। এর তিন মিনিট পর বদলি খেলোয়াড় ওইরাজাবাল গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন ৫-৩ গোলে। এর পর আর স্পেনের জয় নিয়ে কোন সংশয় ছিল না।
স্পেন এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে পরিস্কার ফেবারিট ছিল না কোন দলই। তবে গ্রুপ পর্বের খেলার পারফরমেন্সের হিসেবে এগিয়ে ছিল স্পেন। প্রত্যাশিতভাবেই স্পেন শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। ৬ মিনিটের সময়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন ফেরান টোরেস। কিন্তু তিনি বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় দারুন একটি সুযোগ হাত ছাড়া হয় স্পেনের। স্পেন এ আক্রমনটি গড়েছিল মাঝ মাঠে পাওয়া একটি ফ্রি কিক থেকে। এর পর থেকে বলতে গেলে বল থাকে স্পেনের দখলেই। খেলা চলতে থাকে ক্রোয়েশিয়ার অর্ধেই। স্পেনের দ্রুত গতির ফুটবলের সাথে তাল মেলাতে বেশ হিমশিম খায় ক্রোয়েশিয়া। এ সময় স্পেনের নিয়ন্ত্রনে বল ছিল ৮০ ভাগ সময়। ১৩ মিনিটে ম্পেন গোলের আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সারাব্রিয়ার শট যায় সাইড নেটে। ১৬ মিনিটে কোকে গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ক্রোয়েশিয়া কৌশল নেয় কাউন্টার অ্যাটাকের। খেলার ২০ মিনিটে স্পেন হজম করে এক হাস্যকর গোল। মাঝ মাঠ থেকে পেড্রি ব্যাক পাস দিলে গোলরক্ষক উনাই সিমন সেটি পা দিয়ে থামাতে গিয়ে লাইন মিস করেন এবং বল তার পায়ের ছোয়া পেয়ে চলে যায় জালে। খেলার ধারার বিপরীতে বিস্ময়করভাবে লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। এ গোল ক্রোয়েশিয়াকে আত্মবিশ^াসী করে তোলে। অপর দিকে স্পেনের খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা জড়তা চলে আসে এর পর। অবশ্য ধীরে ধীরে তারা আবার খেলায় নিজেদের প্রাধান্য স্থাপন করতে সমর্থ হয়। তখন অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগ অনেক বেশী দৃঢ়তা অর্জণ করে ফেলেছে। স্পেনের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের আক্রমণ রুখে দিচ্ছিল। তবে ৩৮ মিনিটে আর তারা স্পেনকে গোল বঞ্চিত রাখতে পারেনি। সম্মিলিত আক্রমণ থেকে সারাব্রিয়া গোল করে সমতা ফেরান।
বিরতির পরও স্পেনের প্রাধান্য অব্যাহত থাকে। ৫৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে লিড নেয় স্পেন। বাম দিক থেকে টোরেসের করা ক্রসে মাথা লাগিয়ে অ্যাসপিলিকুয়েটা ব্যবধান ২-১ করেন। লিড নেয়ার পরও স্পেন আক্রমণের ধারা বজায় রাখে। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার খেলায় কোন পরিকল্পনা দেখা যায়নি। বলতে গেলে সবাই উদ্দেশ্যহীনভাবে বল সামনে দেয়ার চেষ্টা করেছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বল গিয়েছে প্রতিপক্ষের পায়ে। তবে ৬৭ মিনিটে তারা একটি পরিকল্পিত আক্রমণ গড়তে সক্ষম হয়। যদিও স্পেনের গোলরক্ষক সিমন ধরে নেন রেবিচের শট। এর পরপরই গোলরক্ষক প্রতিহত করেন গব্রাডিয়লের শট। ৭৩ মিনিটে মোরাতা প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে সেটি গোল হিসেবে গন্য হয়নি। অবশ্য ৭৭ মিনিটে ফেরান টোরেস লম্বা পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে প্লেসিং শটে দলের তৃতীয় গোল করেন। এ গোলের পর আর স্পেনের জয় নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। ৮৪ মিনিটে অবশ্য জটলার মধ্য থেকে একটি গোল পরিশোধ করেন ক্রোয়েশিয়ার ওরসিস। এ গোল ম্যাচের শেষ দিকে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে এবং ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে পাসালিচ গোল করে ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরান।
ইউরো ২০২০
মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
ক্রোয়েশিয়াকে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ৫-৩ গোলে পরাজিত করেন স্পেন ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। সোমবার কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপটের সাথে খেলে জয়ী হয় স্পেন। যদিও গোলরক্ষক উনাই সিমনের ভুলে প্রথম গোল হজম করেছিল স্পেন। প্রথমার্ধেই সারাব্রিয়ার গোলে সমতা ফেরায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাজপিলিকুয়েটা এবং টোরেস গোল করলে বড় ব্যবধানেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় স্পেন। কিন্তু শেষ পাচ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া দুটি গোল করে ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরায়। নকআউট ম্যাচ বলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে স্পেন দুই গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় ৫-৩ গোলে।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার ওরসিচের নেয়া শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৯৫তম মিনিটে স্পেনকে বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক। অতিরিক্ত সময়ের ১০ মিনিটে মোরাতার গোলে আবার লিড নেয় স্পেন। মোরাতার গোলে স্পেন এগিয়ে যায় ৪-৩ গোলে। এর তিন মিনিট পর বদলি খেলোয়াড় ওইরাজাবাল গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন ৫-৩ গোলে। এর পর আর স্পেনের জয় নিয়ে কোন সংশয় ছিল না।
স্পেন এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যেকার ম্যাচে পরিস্কার ফেবারিট ছিল না কোন দলই। তবে গ্রুপ পর্বের খেলার পারফরমেন্সের হিসেবে এগিয়ে ছিল স্পেন। প্রত্যাশিতভাবেই স্পেন শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। ৬ মিনিটের সময়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন ফেরান টোরেস। কিন্তু তিনি বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় দারুন একটি সুযোগ হাত ছাড়া হয় স্পেনের। স্পেন এ আক্রমনটি গড়েছিল মাঝ মাঠে পাওয়া একটি ফ্রি কিক থেকে। এর পর থেকে বলতে গেলে বল থাকে স্পেনের দখলেই। খেলা চলতে থাকে ক্রোয়েশিয়ার অর্ধেই। স্পেনের দ্রুত গতির ফুটবলের সাথে তাল মেলাতে বেশ হিমশিম খায় ক্রোয়েশিয়া। এ সময় স্পেনের নিয়ন্ত্রনে বল ছিল ৮০ ভাগ সময়। ১৩ মিনিটে ম্পেন গোলের আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সারাব্রিয়ার শট যায় সাইড নেটে। ১৬ মিনিটে কোকে গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ক্রোয়েশিয়া কৌশল নেয় কাউন্টার অ্যাটাকের। খেলার ২০ মিনিটে স্পেন হজম করে এক হাস্যকর গোল। মাঝ মাঠ থেকে পেড্রি ব্যাক পাস দিলে গোলরক্ষক উনাই সিমন সেটি পা দিয়ে থামাতে গিয়ে লাইন মিস করেন এবং বল তার পায়ের ছোয়া পেয়ে চলে যায় জালে। খেলার ধারার বিপরীতে বিস্ময়করভাবে লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। এ গোল ক্রোয়েশিয়াকে আত্মবিশ^াসী করে তোলে। অপর দিকে স্পেনের খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছুটা জড়তা চলে আসে এর পর। অবশ্য ধীরে ধীরে তারা আবার খেলায় নিজেদের প্রাধান্য স্থাপন করতে সমর্থ হয়। তখন অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগ অনেক বেশী দৃঢ়তা অর্জণ করে ফেলেছে। স্পেনের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের আক্রমণ রুখে দিচ্ছিল। তবে ৩৮ মিনিটে আর তারা স্পেনকে গোল বঞ্চিত রাখতে পারেনি। সম্মিলিত আক্রমণ থেকে সারাব্রিয়া গোল করে সমতা ফেরান।
বিরতির পরও স্পেনের প্রাধান্য অব্যাহত থাকে। ৫৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে লিড নেয় স্পেন। বাম দিক থেকে টোরেসের করা ক্রসে মাথা লাগিয়ে অ্যাসপিলিকুয়েটা ব্যবধান ২-১ করেন। লিড নেয়ার পরও স্পেন আক্রমণের ধারা বজায় রাখে। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার খেলায় কোন পরিকল্পনা দেখা যায়নি। বলতে গেলে সবাই উদ্দেশ্যহীনভাবে বল সামনে দেয়ার চেষ্টা করেছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বল গিয়েছে প্রতিপক্ষের পায়ে। তবে ৬৭ মিনিটে তারা একটি পরিকল্পিত আক্রমণ গড়তে সক্ষম হয়। যদিও স্পেনের গোলরক্ষক সিমন ধরে নেন রেবিচের শট। এর পরপরই গোলরক্ষক প্রতিহত করেন গব্রাডিয়লের শট। ৭৩ মিনিটে মোরাতা প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে সেটি গোল হিসেবে গন্য হয়নি। অবশ্য ৭৭ মিনিটে ফেরান টোরেস লম্বা পাসের বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে প্লেসিং শটে দলের তৃতীয় গোল করেন। এ গোলের পর আর স্পেনের জয় নিয়ে কোন সংশয় ছিল না। ৮৪ মিনিটে অবশ্য জটলার মধ্য থেকে একটি গোল পরিশোধ করেন ক্রোয়েশিয়ার ওরসিস। এ গোল ম্যাচের শেষ দিকে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনে এবং ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে পাসালিচ গোল করে ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা ফেরান।