ইউরো ২০২০
কাইলিয়ান এমবাপ্পে টাইব্রেকারে শেষ পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তার দেশ ফ্রান্স ইউরো ২০২০ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। বুখারেস্টে অনুষ্ঠিত ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা অমীমাংসিতভাবে (৩-৩) গোলে শেষ হওয়ার পর ফল নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে এবং তাতে ৫-৪ গোলে জিতে যায় সুইজারল্যান্ড।
সুইজারল্যান্ডের মারিও গ্যাভ্রানোভিচ ৯০ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তারা দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরায় দারুন ভাবে লড়াই করে। এর পর গোলরক্ষক সোমার এমবাপ্পের পেনাল্টি বাচিয়ে দলকে তুলে দেন কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে তার খেলবে স্পেনের বিপক্ষে। গোলরক্ষক সোমার বলেন, ‘এটা অবিশ^াস্য একটি সন্ধ্যা। আমি এ দলের জন্য গর্বিত। আমরা যখন ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিলাম তখন কেউই বিশ^াস করেনি এ ম্যান জিততে পারি। কিন্তু ম্যাচের আগে আমরা বলেছিলাম ফল যাই হোক না কেন আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।’
খেলার ১৫ মিনিটে সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিড নেয় সুইজারল্যান্ড। গোলটি করেন হ্যারিস সেফেরোভিচ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রিকার্ডো রড্রিগেজের পেনাল্টি বাচিয়ে দেন ফ্রান্সে গোলরক্ষক হুগো লরিস। এর পর পাচ বছর পর ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া করিম বেনজামা অল্প ব্যবধানে দুই গোল করে এগিয়ে দেন বিশ^চ্যাম্পিয়নদের। পল পগবার দুরন্ত এক বাকানো শট ফ্রান্সকে এগিয়ে দেয় ৩-১ গোলে। সেভেরোভিচ দ্বিতীয় গোল করে সুইজারল্যান্ডের আশা বাচিয়ে রাখেন এবং গ্যাভ্রানোভিচ শেষ মিনিটে গোল করে খেলা নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় ফল নির্ধারন হয় টাইব্রেকারে। সুইজারল্যান্ড তাদের ৫টি পেনাল্টি থেকেই গোল করে। কিন্তু সোমার বাচিয়ে দেন এমবাপ্পের পেনাল্টি। এর ফলে ৮৩ বছরের মধ্যে সুইজারল্যান্ড বড় ধরনের কোন প্রতিযোগিতায় নক আউট পর্বে প্রথম জয়ের দেখা পেলো।
সুইস কোচ পেটকোভিচ বলেন, পেনাল্টি মিস করার পর অল্প ব্যবধানে দুটি গোল করে তারা। স্বাভাবিক অবস্থায় এ ম্যাচে আর ঘুরে দাড়ানোর কথা নয়। কিন্তু আমাদের দলটি অসাধারণ। তারা নিজেদের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছে।’
ফ্রান্স অধিনায়ক লরিস স্বীকার করেছেন, তার দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটি হালকাভাবে দেখার খেসারত দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা খুবই কষ্টের। আর টাইব্রেকারতো লটারির মতো। আমাদের ব্যর্থতা হলো ৩-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও তা ধরে রাখতে না পারা। আমরা গত কয়েক বছর এমন পরিস্থিতিতে ভালভাবেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রনে রেখেছিলাম।’
ফ্রান্স যতগুলো সুযোগ পেয়েছে তার অর্ধেক কাজে লাগাতে পারলেও তারা ম্যাচ জিততে পারতো অনেক বড় ব্যবধানে। এ টুর্নামেন্টে এমবাপ্পে এবং গ্রিজম্যান নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। সেই ব্যর্থতার খেসারত তাদের দিতে হলো টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে।
ইউরো ২০২০
মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
কাইলিয়ান এমবাপ্পে টাইব্রেকারে শেষ পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তার দেশ ফ্রান্স ইউরো ২০২০ এর দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। বুখারেস্টে অনুষ্ঠিত ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা অমীমাংসিতভাবে (৩-৩) গোলে শেষ হওয়ার পর ফল নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে এবং তাতে ৫-৪ গোলে জিতে যায় সুইজারল্যান্ড।
সুইজারল্যান্ডের মারিও গ্যাভ্রানোভিচ ৯০ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তারা দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরায় দারুন ভাবে লড়াই করে। এর পর গোলরক্ষক সোমার এমবাপ্পের পেনাল্টি বাচিয়ে দলকে তুলে দেন কোয়ার্টার ফাইনালে। যেখানে তার খেলবে স্পেনের বিপক্ষে। গোলরক্ষক সোমার বলেন, ‘এটা অবিশ^াস্য একটি সন্ধ্যা। আমি এ দলের জন্য গর্বিত। আমরা যখন ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিলাম তখন কেউই বিশ^াস করেনি এ ম্যান জিততে পারি। কিন্তু ম্যাচের আগে আমরা বলেছিলাম ফল যাই হোক না কেন আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।’
খেলার ১৫ মিনিটে সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিড নেয় সুইজারল্যান্ড। গোলটি করেন হ্যারিস সেফেরোভিচ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রিকার্ডো রড্রিগেজের পেনাল্টি বাচিয়ে দেন ফ্রান্সে গোলরক্ষক হুগো লরিস। এর পর পাচ বছর পর ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া করিম বেনজামা অল্প ব্যবধানে দুই গোল করে এগিয়ে দেন বিশ^চ্যাম্পিয়নদের। পল পগবার দুরন্ত এক বাকানো শট ফ্রান্সকে এগিয়ে দেয় ৩-১ গোলে। সেভেরোভিচ দ্বিতীয় গোল করে সুইজারল্যান্ডের আশা বাচিয়ে রাখেন এবং গ্যাভ্রানোভিচ শেষ মিনিটে গোল করে খেলা নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় ফল নির্ধারন হয় টাইব্রেকারে। সুইজারল্যান্ড তাদের ৫টি পেনাল্টি থেকেই গোল করে। কিন্তু সোমার বাচিয়ে দেন এমবাপ্পের পেনাল্টি। এর ফলে ৮৩ বছরের মধ্যে সুইজারল্যান্ড বড় ধরনের কোন প্রতিযোগিতায় নক আউট পর্বে প্রথম জয়ের দেখা পেলো।
সুইস কোচ পেটকোভিচ বলেন, পেনাল্টি মিস করার পর অল্প ব্যবধানে দুটি গোল করে তারা। স্বাভাবিক অবস্থায় এ ম্যাচে আর ঘুরে দাড়ানোর কথা নয়। কিন্তু আমাদের দলটি অসাধারণ। তারা নিজেদের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছে।’
ফ্রান্স অধিনায়ক লরিস স্বীকার করেছেন, তার দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটি হালকাভাবে দেখার খেসারত দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা খুবই কষ্টের। আর টাইব্রেকারতো লটারির মতো। আমাদের ব্যর্থতা হলো ৩-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও তা ধরে রাখতে না পারা। আমরা গত কয়েক বছর এমন পরিস্থিতিতে ভালভাবেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রনে রেখেছিলাম।’
ফ্রান্স যতগুলো সুযোগ পেয়েছে তার অর্ধেক কাজে লাগাতে পারলেও তারা ম্যাচ জিততে পারতো অনেক বড় ব্যবধানে। এ টুর্নামেন্টে এমবাপ্পে এবং গ্রিজম্যান নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। সেই ব্যর্থতার খেসারত তাদের দিতে হলো টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে।