ইউরো ২০২০
ফুটবল পরাশক্তি জার্মানিকে বিদায় দিয়ে ইংল্যান্ড ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইংল্যান্ড ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় জার্মানিকে। ইংল্যান্ড দুটি গোলই করে দ্বিতীয়ার্ধে। দুই ইংলিশ স্ট্রাইকার রাহিম স্টার্লিং এবং হ্যারি কেইন একটি করে গোল করেন। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের এ ম্যাচে গোলের সুযোগ পায় উভয় দলই। তবে এর মধ্যে দুটি কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ড শেষ আটে নিজেদের নাম লেখায়।
উইম্বলিতে খেলা হওয়ায় ইংলিশরা পেয়েছেন দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন। মাঠে ছিলেন কিছু জার্মান সমর্থক। নক আউট ম্যাচ বলেই হয়তো উভয় দল শুরুর দিকে ছিল কিছুটা সতর্ক। তাদের লক্ষ্য ছিল নিজ দুর্গ সামলে আক্রমণে যাওয়া। প্রথমে জার্মান দলের কিছুটা প্রাধান্য থাকলেও ধীরে ধীরে ইংলিশরা প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। খেলার ২৭ মিনিটে ইংল্যান্ড দল গোলের প্রথম সুযোগ পায়। কিয়েরান ট্রিপেয়ার দারুন একটি ক্রস করেছিলেন জার্মান গোলমুখে। লাফিয়ে উঠে হেডও দিয়েছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। কিন্তু তিনি বল পোস্টে রাখতে পারেননি। উল্টো দিকে ৩১ মিনিটে ইংলিশ গোলমুখে দারুন একটি ক্রস করেছিলেন জশুয়া কিমিখ। কিন্তু সেটি জার্মান কোন খেলোয়াড় নাগাল পাননি। এর পরের মিনিটেই ইংল্যান্ডকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড। জার্মানির টিমো ওয়ার্নার বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়লে পিকফোর্ড সামনে এগিয়ে গিয়ে শট ব্লক করে দেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবার জার্মানি কিছুটা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে। তবে গোলের পরিস্কার সুযোগ বলতে যা বোঝায় তা ঐ একবারই করতে পেরেছিল জোয়াকিম লোভের দলটি। ইনজুরি টাইমে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। প্রতিপক্ষের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে দারুন একটি আক্রমণ গড়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। তিনি গোলমুখে দিলে কেইন ঠিকমতো তা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলে জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাট হামেলস ক্লিয়ার করেন। ইংলিশ দলের জন্য এটাই ছিল সেরা সুযোগ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। তাদের আক্রমন ইংলিশ ডিফেন্ডাররা ফিরিয়ে দিলে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ভলি মেরেছিলেন কাই হাভার্টজ, সেটি জালে যাওয়ার ঠিক আগে গোলরক্ষক পিকফোর্ড হাত লাগিয়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাচান। খেলার ৭৫ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে লিড নেয় ইংল্যান্ড। কেইনের পাস থেকে বল পেয়ে গোলমুখে বাড়িয়ে দেন লুক শ, তাতে পা লাগিয়ে নয়্যারকে পরাস্ত করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন টমাস মুলার। মাঝমাঠে স্টার্লিংয়ের ভুল পাস থেকে হাভার্টজ বল পেয়ে দেন মুলারকে। জার্মান স্ট্রাইকার দ্রুত এগিয়ে গিয়ে প্লেসিং শট নেন। তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু তার প্লেসিংয়ের বল চলে যায় পোস্ট ঘেসে বাইরে। এর ৫ মিনিট পরই হ্যারি কেইন গোল করে ইংলিশ জয় নিশ্চিত করেন। গনাব্রির কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণের সুচনা করেছিলেন লুক শ। সেটি পরিনতি পায় কেইনের হেডে। গোলমুখে অবশ্য মাপা ক্রসটি করেছিলেন জ্যাক গ্রিয়ালিশ। এবারের ইউরোতে কেইনের এটা ছিল প্রথম গোল।
ইউরো ২০২০
মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
ফুটবল পরাশক্তি জার্মানিকে বিদায় দিয়ে ইংল্যান্ড ইউরো ২০২০ এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইংল্যান্ড ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় জার্মানিকে। ইংল্যান্ড দুটি গোলই করে দ্বিতীয়ার্ধে। দুই ইংলিশ স্ট্রাইকার রাহিম স্টার্লিং এবং হ্যারি কেইন একটি করে গোল করেন। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের এ ম্যাচে গোলের সুযোগ পায় উভয় দলই। তবে এর মধ্যে দুটি কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ড শেষ আটে নিজেদের নাম লেখায়।
উইম্বলিতে খেলা হওয়ায় ইংলিশরা পেয়েছেন দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন। মাঠে ছিলেন কিছু জার্মান সমর্থক। নক আউট ম্যাচ বলেই হয়তো উভয় দল শুরুর দিকে ছিল কিছুটা সতর্ক। তাদের লক্ষ্য ছিল নিজ দুর্গ সামলে আক্রমণে যাওয়া। প্রথমে জার্মান দলের কিছুটা প্রাধান্য থাকলেও ধীরে ধীরে ইংলিশরা প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়। খেলার ২৭ মিনিটে ইংল্যান্ড দল গোলের প্রথম সুযোগ পায়। কিয়েরান ট্রিপেয়ার দারুন একটি ক্রস করেছিলেন জার্মান গোলমুখে। লাফিয়ে উঠে হেডও দিয়েছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। কিন্তু তিনি বল পোস্টে রাখতে পারেননি। উল্টো দিকে ৩১ মিনিটে ইংলিশ গোলমুখে দারুন একটি ক্রস করেছিলেন জশুয়া কিমিখ। কিন্তু সেটি জার্মান কোন খেলোয়াড় নাগাল পাননি। এর পরের মিনিটেই ইংল্যান্ডকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড। জার্মানির টিমো ওয়ার্নার বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়লে পিকফোর্ড সামনে এগিয়ে গিয়ে শট ব্লক করে দেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবার জার্মানি কিছুটা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে। তবে গোলের পরিস্কার সুযোগ বলতে যা বোঝায় তা ঐ একবারই করতে পেরেছিল জোয়াকিম লোভের দলটি। ইনজুরি টাইমে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। প্রতিপক্ষের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে দারুন একটি আক্রমণ গড়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। তিনি গোলমুখে দিলে কেইন ঠিকমতো তা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলে জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাট হামেলস ক্লিয়ার করেন। ইংলিশ দলের জন্য এটাই ছিল সেরা সুযোগ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। তাদের আক্রমন ইংলিশ ডিফেন্ডাররা ফিরিয়ে দিলে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ভলি মেরেছিলেন কাই হাভার্টজ, সেটি জালে যাওয়ার ঠিক আগে গোলরক্ষক পিকফোর্ড হাত লাগিয়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাচান। খেলার ৭৫ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে লিড নেয় ইংল্যান্ড। কেইনের পাস থেকে বল পেয়ে গোলমুখে বাড়িয়ে দেন লুক শ, তাতে পা লাগিয়ে নয়্যারকে পরাস্ত করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন টমাস মুলার। মাঝমাঠে স্টার্লিংয়ের ভুল পাস থেকে হাভার্টজ বল পেয়ে দেন মুলারকে। জার্মান স্ট্রাইকার দ্রুত এগিয়ে গিয়ে প্লেসিং শট নেন। তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু তার প্লেসিংয়ের বল চলে যায় পোস্ট ঘেসে বাইরে। এর ৫ মিনিট পরই হ্যারি কেইন গোল করে ইংলিশ জয় নিশ্চিত করেন। গনাব্রির কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণের সুচনা করেছিলেন লুক শ। সেটি পরিনতি পায় কেইনের হেডে। গোলমুখে অবশ্য মাপা ক্রসটি করেছিলেন জ্যাক গ্রিয়ালিশ। এবারের ইউরোতে কেইনের এটা ছিল প্রথম গোল।