কোপা আমেরিকা ফুটবল
ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে। রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে আজেন্টিনার হয়ে গোলগুলো করেন পি পল, লতারো মার্টিনেজ এবং লিওনেল মেসি। ফেবারিট হিসেবে শুরু করা আর্জেন্টিনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল খেলেই ম্যাচে জয়ী হয়। যদিও ইকুয়েডর মাঝখানে কিছু সময় প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে এবং গোলের সুযোগও তৈরী করে। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তা এবং তাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় গোল পায়নি। অপর দিকে আর্জেন্টিনা প্রাপ্ত সুযোগগুলো মধ্যে তিনটিকে কাজে লাগিয়ে উঠে যায় সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলবে কলম্বিয়ার সাথে।
প্রথমার্ধোর সহজতম সুযোগটি নষ্ট করেন লিওনেল মেসি। ২২ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুল ব্যাক পাস থেকে একেবারে ফাকায় বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে প্লেসিং শট মারেন মেসি। সেটি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৮ মিনিটে গোল খাওয়ার হাত থেকে বেচে যায় আর্জেন্টিনা। বাম দিক থেকে এস্টুপিনিয়ানের ক্রসে মাথা লাগিয়েছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু সেটি পোস্ট ঘেসে বাইরে যায়। মিনা চেষ্টা করেছিলেন বাইরে যাওয়ার আগে পা লাগাতে কিন্তু তিনি তাতেও ব্যর্থ হন। এর পরের মিনিটেই লিড নেয় আর্জেন্টিনা। গোলটি করেন রড্রিগো ডি পল। গঞ্জালেস বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সের ঠিক ভেতরে তাকে আটকে দেন গোলরক্ষক এবং বল পেয়ে যান মেসি। তিনি ফাকায় থাকা পল কে বল দেন এবং পল সহজেই গোল করেন। ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন ভ্যালেন্সিয়া। এবারও তার নেয়া হেড পোস্ট ঘেসে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার সুস্পষ্ট প্রাধান্য থাকলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে ছিল না ইকুয়েডর। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য দুটি সহজ সুযোগের অপচয় করায় ০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ইকুয়েডর কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। আর্জেন্টিনা এ অর্ধে কৌশল নেয় নিজেদের গোল ধরে রেখে ব্যবধান বাড়ানোর। তাই প্রথমার্ধের মতো সর্বাত্মক আক্রমণ করে খেলতে দেখা যায়নি তদের। লম্বা পাস দিয়ে ঝটিকা আক্রমণের চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। অপর দিকে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে ইকুয়েডর। ৫৮ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। শেষ দিকে ইকুয়েডর গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। কিন্তু আর্জেন্টিার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় তারা সুবিধা করতে পারেনি। দুই একবার তারা পোস্টে শট নিতে পারলেও গোলরক্ষক মার্টিনেজকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি। ৮৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল করলে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি মারিয়া দেন মেসিকে। তিনি কোনাকুনি পাস দেন লটারো মার্টিনেজকে এবং মার্টিনেজ ব্যবধান দ্বিগুন করেন। শেষ দিকে ডি মারিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন হিনক্যাপি। ফ্রি কিক থেকে গোল করেন লিওনেল মেসি। এ গোলে জয় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার।
কোপা আমেরিকা ফুটবল
রোববার, ০৪ জুলাই ২০২১
ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে। রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে আজেন্টিনার হয়ে গোলগুলো করেন পি পল, লতারো মার্টিনেজ এবং লিওনেল মেসি। ফেবারিট হিসেবে শুরু করা আর্জেন্টিনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল খেলেই ম্যাচে জয়ী হয়। যদিও ইকুয়েডর মাঝখানে কিছু সময় প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে এবং গোলের সুযোগও তৈরী করে। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তা এবং তাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় গোল পায়নি। অপর দিকে আর্জেন্টিনা প্রাপ্ত সুযোগগুলো মধ্যে তিনটিকে কাজে লাগিয়ে উঠে যায় সেমিফাইনালে। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলবে কলম্বিয়ার সাথে।
প্রথমার্ধোর সহজতম সুযোগটি নষ্ট করেন লিওনেল মেসি। ২২ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুল ব্যাক পাস থেকে একেবারে ফাকায় বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে প্লেসিং শট মারেন মেসি। সেটি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৮ মিনিটে গোল খাওয়ার হাত থেকে বেচে যায় আর্জেন্টিনা। বাম দিক থেকে এস্টুপিনিয়ানের ক্রসে মাথা লাগিয়েছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু সেটি পোস্ট ঘেসে বাইরে যায়। মিনা চেষ্টা করেছিলেন বাইরে যাওয়ার আগে পা লাগাতে কিন্তু তিনি তাতেও ব্যর্থ হন। এর পরের মিনিটেই লিড নেয় আর্জেন্টিনা। গোলটি করেন রড্রিগো ডি পল। গঞ্জালেস বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সের ঠিক ভেতরে তাকে আটকে দেন গোলরক্ষক এবং বল পেয়ে যান মেসি। তিনি ফাকায় থাকা পল কে বল দেন এবং পল সহজেই গোল করেন। ইনজুরি টাইমে সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন ভ্যালেন্সিয়া। এবারও তার নেয়া হেড পোস্ট ঘেসে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার সুস্পষ্ট প্রাধান্য থাকলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে ছিল না ইকুয়েডর। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য দুটি সহজ সুযোগের অপচয় করায় ০-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ইকুয়েডর কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। আর্জেন্টিনা এ অর্ধে কৌশল নেয় নিজেদের গোল ধরে রেখে ব্যবধান বাড়ানোর। তাই প্রথমার্ধের মতো সর্বাত্মক আক্রমণ করে খেলতে দেখা যায়নি তদের। লম্বা পাস দিয়ে ঝটিকা আক্রমণের চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। অপর দিকে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে ইকুয়েডর। ৫৮ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। শেষ দিকে ইকুয়েডর গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। কিন্তু আর্জেন্টিার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় তারা সুবিধা করতে পারেনি। দুই একবার তারা পোস্টে শট নিতে পারলেও গোলরক্ষক মার্টিনেজকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি। ৮৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল করলে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি মারিয়া দেন মেসিকে। তিনি কোনাকুনি পাস দেন লটারো মার্টিনেজকে এবং মার্টিনেজ ব্যবধান দ্বিগুন করেন। শেষ দিকে ডি মারিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন হিনক্যাপি। ফ্রি কিক থেকে গোল করেন লিওনেল মেসি। এ গোলে জয় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার।