ইউরো ২০২০
স্পেনকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত করে ইটালি উঠে গেছে ইউরো ২০২০ এর ফাইনালে। ইংল্যান্ডে উইম্বলি স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে ফল নির্ধারণ করা হয় এবং তাতে ইটালি জিতে উঠে যায় ফাইনালে। ফাইনালে তারা খেলবে ইংল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল বিজয়ীর সাথে।
দানি ওলমো এবং আলভারো মোরাতা টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করলে স্পেনের ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। আগের রাউন্ডে টাইব্রেকারে জিতেই শেষ চারে উঠেছিল স্পেন। ইউরোপিয়ান সেমিফাইনাল যেমনটি হওয়া উচিত ইটালি-স্পেন ম্যাচটি সে রকম উপভোগ্যই হয়েছে। ফেডেরিকো কিয়েসা ৬০ মিনিটে গোল করে ইটালিকে এগিয়ে দেন। তবে খেলা শেষ হওয়ার দশ মিনিট বাকি থাকতে মোরাতার গোলে সমতা ফেরায় স্পেন। এবার আর ২০০৮ সালের ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালের ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। সেবার ইটালিকে বিদায় করেছিল স্পেন। এবার স্পেনকে খালি হাতে দেশে ফেরত পাঠালো ইটালি।
স্পেন কোচ লুইস এনরিকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এ ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেন মোরাতাকে। ইউরো ২০২০ এর আগের সবগুলো ম্যাচে একাদশে ছিলেন মোরাতা। আক্রমনভাগে খেলেন ফেরান টোরেস, মিকেল ওইয়ারজাবাল এবং ওলমো।
নতুন আক্রমণভাগ ভালই করছিল, যদিও প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের আগ পর্যন্ত তারা ইটালির গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি। ওলমো একবার শট নিয়েছিলেন কিন্তু ইটালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা সেটি ধরে নেন। প্রথমার্ধে ইটালির সেরা সুযোগটি এসেছিল একবারে শেষ সময়ে। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে এমারসনের নেয়া শট হাত লাগিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমন।
স্পেনের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সার্জিও বুসকুয়েটস প্রথমার্ধে তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে ওইয়ারজাবালের পাস থেকে বল পেয়ে তিনি একটি শট মেরেছিলেন কিন্তু সেটি বাক খেয়ে চলে যায় বাইরে। স্পেন কিছুটা প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও ইটালির কাউন্টার অ্যাটাকগুলো ছিল ভয় জাগানিয়া। এমনই একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে চিসা ৬০ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে দেন ইটালিকে। এ গোলের পরই টোরেসকে তুলে মাঠে নামানো হয় মোরাতাকে। ইটালির গোলের পর পরই সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। কোকের উচু ক্রসে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হন ওইয়ারজাবাল। ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিলেন ইটালির ডোমেনিকো বেরার্ডি। চিসার তৈরী করা সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। স্পেন কোচ এর পর রড্রি এবং মরেনোকে মাঠে নামান কোকে ও ওইয়াজাবালকে তুলে। তার পরেও মনে হয়েছিল ইটালি দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে ফেলবে। তখনই সমতা ফেরান বদলি খেলোয়াড় মোরাতা। ওলমোর সঙ্গে দেয়া নেয়া করে গড়া আক্রমণকে গোলে পরিনত করেন মোরাতা।
এই গোলে আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে স্পেন এবং মনে হচ্ছিল নির্ধারিত সময়েই তারা গোল করে ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে এবং তখনও কোন দল গোল করতে পারেনি। অতিরিক্ত সময়ের মাঝামাঝি সময়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তির ভাব চলে আসে এবং তারা টাইব্রেকারকেই ফল নির্ধারক হিসেবে মেনে নেয়। টাইব্রেকারে ওলমো পেনাল্টি মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে এবং মোরাতার শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক ডোনারুম্মা। ইটালির হয়ে ৫ম শটে গোল করে জর্জিনহো জয় নিশ্চিত করেন। এর আগের তিন শটে ইটালির হয়ে গোল করেছিলেন আন্দ্রে বেলোত্তি, লিওনার্দো বানুচি এবং ফেডেরিকো বার্নাডেশি। তাদের হয়ে প্রথম শট গোল করতে ব্যর্থ হন ম্যানুয়েল লোকেটেলি। স্পেনের হয়ে প্রথম শটে দানি ওলমো ব্যর্থ হওয়ার পর জেরাড মরেনো এবং থিয়াগো আলকান্টারা গোল করেন। চতুর্থ শটে ব্যর্থ হন মোরাতা। তাদের হয়ে ৫ম শট আর মারার প্রয়োজন পড়েনি।
ইউরো ২০২০
বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১
স্পেনকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত করে ইটালি উঠে গেছে ইউরো ২০২০ এর ফাইনালে। ইংল্যান্ডে উইম্বলি স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে ফল নির্ধারণ করা হয় এবং তাতে ইটালি জিতে উঠে যায় ফাইনালে। ফাইনালে তারা খেলবে ইংল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল বিজয়ীর সাথে।
দানি ওলমো এবং আলভারো মোরাতা টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করলে স্পেনের ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। আগের রাউন্ডে টাইব্রেকারে জিতেই শেষ চারে উঠেছিল স্পেন। ইউরোপিয়ান সেমিফাইনাল যেমনটি হওয়া উচিত ইটালি-স্পেন ম্যাচটি সে রকম উপভোগ্যই হয়েছে। ফেডেরিকো কিয়েসা ৬০ মিনিটে গোল করে ইটালিকে এগিয়ে দেন। তবে খেলা শেষ হওয়ার দশ মিনিট বাকি থাকতে মোরাতার গোলে সমতা ফেরায় স্পেন। এবার আর ২০০৮ সালের ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালের ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। সেবার ইটালিকে বিদায় করেছিল স্পেন। এবার স্পেনকে খালি হাতে দেশে ফেরত পাঠালো ইটালি।
স্পেন কোচ লুইস এনরিকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এ ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেন মোরাতাকে। ইউরো ২০২০ এর আগের সবগুলো ম্যাচে একাদশে ছিলেন মোরাতা। আক্রমনভাগে খেলেন ফেরান টোরেস, মিকেল ওইয়ারজাবাল এবং ওলমো।
নতুন আক্রমণভাগ ভালই করছিল, যদিও প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের আগ পর্যন্ত তারা ইটালির গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি। ওলমো একবার শট নিয়েছিলেন কিন্তু ইটালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা সেটি ধরে নেন। প্রথমার্ধে ইটালির সেরা সুযোগটি এসেছিল একবারে শেষ সময়ে। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে এমারসনের নেয়া শট হাত লাগিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমন।
স্পেনের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সার্জিও বুসকুয়েটস প্রথমার্ধে তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে ওইয়ারজাবালের পাস থেকে বল পেয়ে তিনি একটি শট মেরেছিলেন কিন্তু সেটি বাক খেয়ে চলে যায় বাইরে। স্পেন কিছুটা প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও ইটালির কাউন্টার অ্যাটাকগুলো ছিল ভয় জাগানিয়া। এমনই একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে চিসা ৬০ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে দেন ইটালিকে। এ গোলের পরই টোরেসকে তুলে মাঠে নামানো হয় মোরাতাকে। ইটালির গোলের পর পরই সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। কোকের উচু ক্রসে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হন ওইয়ারজাবাল। ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিলেন ইটালির ডোমেনিকো বেরার্ডি। চিসার তৈরী করা সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। স্পেন কোচ এর পর রড্রি এবং মরেনোকে মাঠে নামান কোকে ও ওইয়াজাবালকে তুলে। তার পরেও মনে হয়েছিল ইটালি দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে ফেলবে। তখনই সমতা ফেরান বদলি খেলোয়াড় মোরাতা। ওলমোর সঙ্গে দেয়া নেয়া করে গড়া আক্রমণকে গোলে পরিনত করেন মোরাতা।
এই গোলে আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে স্পেন এবং মনে হচ্ছিল নির্ধারিত সময়েই তারা গোল করে ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে এবং তখনও কোন দল গোল করতে পারেনি। অতিরিক্ত সময়ের মাঝামাঝি সময়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তির ভাব চলে আসে এবং তারা টাইব্রেকারকেই ফল নির্ধারক হিসেবে মেনে নেয়। টাইব্রেকারে ওলমো পেনাল্টি মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে এবং মোরাতার শট বাচিয়ে দেন গোলরক্ষক ডোনারুম্মা। ইটালির হয়ে ৫ম শটে গোল করে জর্জিনহো জয় নিশ্চিত করেন। এর আগের তিন শটে ইটালির হয়ে গোল করেছিলেন আন্দ্রে বেলোত্তি, লিওনার্দো বানুচি এবং ফেডেরিকো বার্নাডেশি। তাদের হয়ে প্রথম শট গোল করতে ব্যর্থ হন ম্যানুয়েল লোকেটেলি। স্পেনের হয়ে প্রথম শটে দানি ওলমো ব্যর্থ হওয়ার পর জেরাড মরেনো এবং থিয়াগো আলকান্টারা গোল করেন। চতুর্থ শটে ব্যর্থ হন মোরাতা। তাদের হয়ে ৫ম শট আর মারার প্রয়োজন পড়েনি।