ইউরো ২০২০
পিছিয়ে পড়েও অধিনায়ক হ্যারি কেইন অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ইংল্যান্ডকে ইউরো ২০২০ এর ফাইনালে তুলে দিয়েছেন। উইম্বলিতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড বুধবার রাতে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ককে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলাকালে (১০৩ মিনিটে) রাহিম স্টার্লিং পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। রেফারি অবশ্য ভিএআর দেখে পেনাল্টি নিশ্চিত করেন। কেইনের মারা পেনাল্টি ফিরিয়ে দেন ডেনকার্মের গোলরক্ষক স্মাইকেল। তবে ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন কেইন। ইংল্যান্ড এই প্রথম ইউরোর ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করলো। র্নিধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ড গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ গোলে। ফাইনালে তারা খেলবে ইটালির বিপক্ষে।
১৯৬৬ সালের বিশ^কাপ জেতার পর ইংল্যান্ড এই প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো।
নিজেদের মাঠে খেলা বলেই ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলতে নামে ফেবারিট হিসেবে। অপর দিকে ডেনমার্কের ছিল শেষ তিন ম্যাচে ভাল খেলার আত্মবিশ^াস। সবার প্রত্যাশা ছিল একটি উপভোগ্য এবং জমজমাট ম্যাচের, হয়েছেও তাই।
ইংল্যান্ড ম্যাচে প্রাধান্য স্থাপন করতে খুব বেশী সময় নেয়নি। খেলার বয়স কয়েক মিনিট হওয়ার পরই ইংলিশদের প্রাধান্য স্থাপিত হয়ে যায়। ডেনিসরা ঠিক করে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার। প্রতিযোগিতায় কোন গোল না খাওয়া ইংল্যান্ড ডিফেন্সের বিপক্ষে ডেনমার্কের কাজটি ছিল বেশ কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই তারা করে ৩০ মিনিটের সময়ে। পেনাল্টি বক্সের কিছুটা বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে বল সরাসরি জালে পাঠিয়ে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন মিকেল ড্যামসগার্ড। এ গোলের আগ পর্যন্ত ইংলিশদের প্রাধান্য থাকলেও ডেনিস গোলরক্ষক ক্যাস্পার স্মাইকেলের পরীক্ষা নিতে পারেনি ইংল্যান্ডের কোন খেলোয়াড়। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধের জন্য ইংল্যান্ড আরও বেশী আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। ৩৫ মিনিটে ইংল্যান্ড দল পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায়। কিন্তু স্টার্লিংয়ের ফ্রি কিক সামনে দাড়ানো খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৭ মিনিটে স্টার্লিংয়ের শট পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক পজিশন থেকে বাচিয়ে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই অবশ্য সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। শাকার পাস থেকে গোলমুখে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার সিমন কায়ের। সমতা ফেরার পর ইংল্যান্ড আরও বেশী আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে এবং ডেনমার্ককে বেশ চাপে ফেলেই খেলতে থাকে। ডেনমার্কের খেলোয়াড়রা বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে ইংলিশ আক্রমণগুলো রুখে দেন এবং মাঝে মাঝে নিজেরাই প্রতিপক্ষের দুর্গে হামলা চালাতে চেষ্টা করেন। যদিও কোন দলই দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে পারেনি। যে কারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে এবং ১০৩ মিনিটে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় সুবর্ণ সুযোগ। রাহিম স্টার্লিং বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লে তাকে প্রতিহত করতে গিয়ে ফেলে দেন জোয়াকিম মায়েহলে। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাশি বাজান। কেইনের পেনাল্টি রুখে দেন স্মাইকেল, কিন্তু বল আবার ফিরে তার কাছেই আসে এবং ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক। তার এ গোলই ইংলিশদের তুলে দেয় ফাইনালে।
ইউরো ২০২০
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১
পিছিয়ে পড়েও অধিনায়ক হ্যারি কেইন অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ইংল্যান্ডকে ইউরো ২০২০ এর ফাইনালে তুলে দিয়েছেন। উইম্বলিতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড বুধবার রাতে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ককে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলাকালে (১০৩ মিনিটে) রাহিম স্টার্লিং পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। রেফারি অবশ্য ভিএআর দেখে পেনাল্টি নিশ্চিত করেন। কেইনের মারা পেনাল্টি ফিরিয়ে দেন ডেনকার্মের গোলরক্ষক স্মাইকেল। তবে ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন কেইন। ইংল্যান্ড এই প্রথম ইউরোর ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করলো। র্নিধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ড গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ গোলে। ফাইনালে তারা খেলবে ইটালির বিপক্ষে।
১৯৬৬ সালের বিশ^কাপ জেতার পর ইংল্যান্ড এই প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো।
নিজেদের মাঠে খেলা বলেই ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলতে নামে ফেবারিট হিসেবে। অপর দিকে ডেনমার্কের ছিল শেষ তিন ম্যাচে ভাল খেলার আত্মবিশ^াস। সবার প্রত্যাশা ছিল একটি উপভোগ্য এবং জমজমাট ম্যাচের, হয়েছেও তাই।
ইংল্যান্ড ম্যাচে প্রাধান্য স্থাপন করতে খুব বেশী সময় নেয়নি। খেলার বয়স কয়েক মিনিট হওয়ার পরই ইংলিশদের প্রাধান্য স্থাপিত হয়ে যায়। ডেনিসরা ঠিক করে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার। প্রতিযোগিতায় কোন গোল না খাওয়া ইংল্যান্ড ডিফেন্সের বিপক্ষে ডেনমার্কের কাজটি ছিল বেশ কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই তারা করে ৩০ মিনিটের সময়ে। পেনাল্টি বক্সের কিছুটা বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে বল সরাসরি জালে পাঠিয়ে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন মিকেল ড্যামসগার্ড। এ গোলের আগ পর্যন্ত ইংলিশদের প্রাধান্য থাকলেও ডেনিস গোলরক্ষক ক্যাস্পার স্মাইকেলের পরীক্ষা নিতে পারেনি ইংল্যান্ডের কোন খেলোয়াড়। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধের জন্য ইংল্যান্ড আরও বেশী আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। ৩৫ মিনিটে ইংল্যান্ড দল পেনাল্টি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায়। কিন্তু স্টার্লিংয়ের ফ্রি কিক সামনে দাড়ানো খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৭ মিনিটে স্টার্লিংয়ের শট পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক পজিশন থেকে বাচিয়ে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই অবশ্য সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। শাকার পাস থেকে গোলমুখে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার সিমন কায়ের। সমতা ফেরার পর ইংল্যান্ড আরও বেশী আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে এবং ডেনমার্ককে বেশ চাপে ফেলেই খেলতে থাকে। ডেনমার্কের খেলোয়াড়রা বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে ইংলিশ আক্রমণগুলো রুখে দেন এবং মাঝে মাঝে নিজেরাই প্রতিপক্ষের দুর্গে হামলা চালাতে চেষ্টা করেন। যদিও কোন দলই দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে পারেনি। যে কারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে এবং ১০৩ মিনিটে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় সুবর্ণ সুযোগ। রাহিম স্টার্লিং বল নিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লে তাকে প্রতিহত করতে গিয়ে ফেলে দেন জোয়াকিম মায়েহলে। রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাশি বাজান। কেইনের পেনাল্টি রুখে দেন স্মাইকেল, কিন্তু বল আবার ফিরে তার কাছেই আসে এবং ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইংলিশ অধিনায়ক। তার এ গোলই ইংলিশদের তুলে দেয় ফাইনালে।