কোপা আমেরিকা ফুটবল
ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা ৫ম বারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে রবিবার সকালে। কোপা আমেরিকার ৮৪ বছরের ইতিহাসে এর আগে ফাইনালে দল দুটি মুখোমুখি হয়েছিল ৩ বার এবং তাতে ব্রাজিল জিতেছে দুই বার এবং আর্জেন্টিনা জিতেছে এক বার। এছাড়া দল দুটি কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে একবার মুখোমুখি হয় এবং তাতে ব্রাজিল জয়ী হয়।
১৯৩৭ কোপা আমেরিকা : আর্জেন্টিনা : ২ ব্রাজিল : ০
সে সময়ে কোপা আমেরিকা হতো রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। তাই ফাইনাল বলে কোন ম্যাচ ছিল না। কিন্তু দুটি দলই আট পয়েন্ট করে অর্জন করে। গোল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ না করে উভয় দল শিরোপার জন্য একটি ম্যাচ খেলতে রাজী হয়। বুয়েন্স আয়ার্সের সান লরেঞ্জোর পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় গোলশূণ্য ভাবে। অতিরিক্ত সময়ে ভিসেন্তে ডি লা মাতা করেন দুই গোল এবং তাতেই শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
২০০৪ কোপা আমেরিকা : ব্রাজিল : ২ আর্জেন্টিনা : ২ (টাইব্রেকারে ব্রাজিল জয়ী)
পেরুর লিমায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফাইনালে আর্জেন্টিনা শিরোপা জেতার পথে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছে গিয়েছিল। ক্রিস্টিয়ান গঞ্জালেসের পেনাল্টি গোলে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লুইজাও সমতা ফেরান ব্রাজিলের পক্ষে। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট বাকি থাকতে সিজার ডেলগাডো গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু খেলার শেষ বাশি বাজার ঠিক আগে ব্রাজিলের পক্ষে গোল করে সমতা ফেরান আদ্রিয়ানো। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ব্রাজিলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার বাচিয়ে দেন আন্দ্রেস ডি আলেসান্দ্রোর শট এবং গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ মারেন বাইরে। হুয়ান ব্রাজিলের পক্ষে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেন। সেটি ছিল কোপায় ব্রাজিলের ৭ম শিরোপা।
২০০৫ কনফেডারেশন কাপ : ব্রাজিল : ৪ আর্জেন্টিনা : ১
ব্রাজিল স্বাগতিক জার্মানিকে সেমিফাইনালে পরাজিত করে ওঠে ফাইনালে। অপর দিকে আর্জেন্টিনা বিদায় করে মেক্সিকোকে। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইনালে ওঠায় সবাই ধরে নিয়েছিল খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ হবে। কিন্তু তা হয়নি। ইনজুরির কারণে রোনালদো নাজারিও খেলতে না পারলেও ব্রাজিল জেতে বেশ সহজেই। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করেন আদ্রিয়ানো। এর ৫ মিনিট পর পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন কাকা। তৎকালীন বিশ^সেরা খেলোয়াড় রোনালদিনহো ৪৮ মিনিটে করেন তৃতীয় গোল। ৬৪ মিনিটে আদ্রিয়ানো করেন চতুর্থ গোল। আর্জেন্টিনার পক্ষে পাবলো আইমার করেন একটি সান্ত¡নাসূচক গোল।
২০০৭ কোপা আমেরিকা : ব্রাজিল ৩ আর্জেন্টিনা ০
চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি সর্বশেষ ফাইনালে খেলেছে ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকায়। লিওনেল মেসির বয়স তখন ছিল ২০ বছর। হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে এভং কার্লোস তেভেজের সাথে আক্রমণভাগে খেলেন মেসি। কিন্তু তিনি সে ম্যাচে বলতে গেলে কোন প্রভাবই ফেলতে পারেননি। ব্রাজিল শিরোপা জেতে সহজেই ম্যাচ জিতে। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন জুলিও বাপতিস্তা এবং দানি অ্যালভেজ। এছাড়া রবার্তো আয়ালা করেন একটি আত্মঘাতি গোল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ব্রাজিল পর পর দুইবার শিরোপা জেতে। আর সে ম্যাচ দিয়েই মেসির ফাইনালে ব্যর্থতার শুরু হয়।
কোপা আমেরিকা ফুটবল
শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা ৫ম বারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে রবিবার সকালে। কোপা আমেরিকার ৮৪ বছরের ইতিহাসে এর আগে ফাইনালে দল দুটি মুখোমুখি হয়েছিল ৩ বার এবং তাতে ব্রাজিল জিতেছে দুই বার এবং আর্জেন্টিনা জিতেছে এক বার। এছাড়া দল দুটি কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে একবার মুখোমুখি হয় এবং তাতে ব্রাজিল জয়ী হয়।
১৯৩৭ কোপা আমেরিকা : আর্জেন্টিনা : ২ ব্রাজিল : ০
সে সময়ে কোপা আমেরিকা হতো রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। তাই ফাইনাল বলে কোন ম্যাচ ছিল না। কিন্তু দুটি দলই আট পয়েন্ট করে অর্জন করে। গোল ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ না করে উভয় দল শিরোপার জন্য একটি ম্যাচ খেলতে রাজী হয়। বুয়েন্স আয়ার্সের সান লরেঞ্জোর পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় গোলশূণ্য ভাবে। অতিরিক্ত সময়ে ভিসেন্তে ডি লা মাতা করেন দুই গোল এবং তাতেই শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
২০০৪ কোপা আমেরিকা : ব্রাজিল : ২ আর্জেন্টিনা : ২ (টাইব্রেকারে ব্রাজিল জয়ী)
পেরুর লিমায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ফাইনালে আর্জেন্টিনা শিরোপা জেতার পথে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছে গিয়েছিল। ক্রিস্টিয়ান গঞ্জালেসের পেনাল্টি গোলে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে লুইজাও সমতা ফেরান ব্রাজিলের পক্ষে। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট বাকি থাকতে সিজার ডেলগাডো গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু খেলার শেষ বাশি বাজার ঠিক আগে ব্রাজিলের পক্ষে গোল করে সমতা ফেরান আদ্রিয়ানো। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ব্রাজিলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার বাচিয়ে দেন আন্দ্রেস ডি আলেসান্দ্রোর শট এবং গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ মারেন বাইরে। হুয়ান ব্রাজিলের পক্ষে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেন। সেটি ছিল কোপায় ব্রাজিলের ৭ম শিরোপা।
২০০৫ কনফেডারেশন কাপ : ব্রাজিল : ৪ আর্জেন্টিনা : ১
ব্রাজিল স্বাগতিক জার্মানিকে সেমিফাইনালে পরাজিত করে ওঠে ফাইনালে। অপর দিকে আর্জেন্টিনা বিদায় করে মেক্সিকোকে। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইনালে ওঠায় সবাই ধরে নিয়েছিল খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ম্যাচ হবে। কিন্তু তা হয়নি। ইনজুরির কারণে রোনালদো নাজারিও খেলতে না পারলেও ব্রাজিল জেতে বেশ সহজেই। ১২ মিনিটে প্রথম গোল করেন আদ্রিয়ানো। এর ৫ মিনিট পর পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন কাকা। তৎকালীন বিশ^সেরা খেলোয়াড় রোনালদিনহো ৪৮ মিনিটে করেন তৃতীয় গোল। ৬৪ মিনিটে আদ্রিয়ানো করেন চতুর্থ গোল। আর্জেন্টিনার পক্ষে পাবলো আইমার করেন একটি সান্ত¡নাসূচক গোল।
২০০৭ কোপা আমেরিকা : ব্রাজিল ৩ আর্জেন্টিনা ০
চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি সর্বশেষ ফাইনালে খেলেছে ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকায়। লিওনেল মেসির বয়স তখন ছিল ২০ বছর। হুয়ান রোমান রিকুয়েলমে এভং কার্লোস তেভেজের সাথে আক্রমণভাগে খেলেন মেসি। কিন্তু তিনি সে ম্যাচে বলতে গেলে কোন প্রভাবই ফেলতে পারেননি। ব্রাজিল শিরোপা জেতে সহজেই ম্যাচ জিতে। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন জুলিও বাপতিস্তা এবং দানি অ্যালভেজ। এছাড়া রবার্তো আয়ালা করেন একটি আত্মঘাতি গোল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ব্রাজিল পর পর দুইবার শিরোপা জেতে। আর সে ম্যাচ দিয়েই মেসির ফাইনালে ব্যর্থতার শুরু হয়।