জিম্বাবুয়ে সফরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য শতভাগ। একমাত্র টেস্টে ২২০ রানের জয়ের পর বিদেশের মাটিতে ওডিআইতে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানে পাওয়া হয়ে গেছে। বিপর্যয়ের মধ্যে লিটন কুমার দাসের সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে প্রথম ওডিআইতে ১৫৫ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে টাইগাররা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
তবে, হারারের স্পোর্টস গ্রাউন্ডে রোববার বেলা দেড়টায় শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে টানা দুই জয়ে পাওয়া আত্মবিশ্বাস। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগলে জিম্বাবুয়ে দল সেই সুযোগে ঘুরে দাঁড়াবে নিঃসন্দেহে। মূলত জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা ঠিকমতো নিজেদের মেলে ধরতে পারলে টাইগারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
হ্যাঁ সিরিজের স্বাগতিক দলের ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭৪ রানে বাংলাদেশ দলের চারটি উইকেটের পতন ঘটে। জিম্বাবুয়ের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে শুরুতে সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। বিশেষ করে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাতে ব্যর্থতা ছিল লক্ষ্যণীয়। অমন বিপর্যয়ে ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে লিটন কুমার দাস শতরানের ইনিংস খেলতে না পারলে ২৭৬ রানের সংগ্রহটা হতো না। লিটনের সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৯৩ রানের জুটিটা ছিল অসাধারণ। লিটন-মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে বিপদ সামলে ওঠার পর তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ব্যাটে ঝড় তোলার সময়ে পেয়েছিলেন আরেক তরুণ ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজকে।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রথম ম্যাচে সাফল্যের জন্য তরুণদের অবদানের প্রশংসার পাশাপাশি দ্বিতীয় সাফল্যের জন্য তাদেরকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তামিমের মতে, সেঞ্চুরি আর হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে কথা বলা সহজ। কিন্তু তরুণদের অবদান খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ দলের সাফল্যের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট শুরুর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না।
জিম্বাবুয়ে দলের ব্যর্থতার পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে লিটন কুমার দাসও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন একমাত্র টেস্ট এবং প্রথম ওডিআই ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে স্পষ্ট যে, চাপের মুখে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না জিম্বাবুয়ের বোলিং ডিপার্টমেন্ট। দুই স্পিনার ওয়েসলে মাধভেরে ও রায়ান বার্ল প্রথম ওডিআইতে ১১ ওভারে ৬৮ রান খরচ করেন। মূলত তখনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় স্বাগতিকরা। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেটের পতন ঘটানোর ব্যর্থতার খেসারত দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
স্বাগতিক দলের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর বোলারদের বিষয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন। তিনি চাইছেন ব্যাটাররা ভালো করুক। নাহলে, রোববারের ম্যাচেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে টেইলরের উদ্বিগ্ন না হওয়ার মূল কারণ দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাতারার ফর্ম। নতুন বলে মুজারাবানি টেস্টে যেমন সাফল্য পেয়েছিলেন, তেমনি প্রথম ওডিআইতে টাইগারতের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের দুই প্রধান স্তম্ভ তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিলেন।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিম্বাবুয়ের বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে সাফল্য পাওয়ার ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের অবস্থা তার চেয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে। প্রথম ওডিআইতে শুরুতে দুটো উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ব্রেন্ডন টেইলর বও ডিওন মায়ার্সের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। রেগিস চাকাভা ৫১ বলে ৫৪ রানের ছোটোখাটো একটা ঝড় তুললেও বাকি ব্যাটাররা সাকিবের মোকাবিলায় ছিলেন অসহায়। প্রথম ম্যাচে মাত্র ২৮.৫ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের সিরিজে টিকে থাকতে হলে ব্যাটারদের ভালো করার ওপর জোর দিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক টেইলর।
বাংলাদেশ দলের এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার মিশনের আগে দুসংবাদ হয়ে এসেছে লিটন কুমার দাসের ইনজুরি। প্রথম ম্যাচে খেলার সময়ে কব্জিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার মতো ফিটনেস না থাকলে তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা হতে পারে নুরুল হাসানের। অন্যথায় উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনবে না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা, আইসিসি ওডিআই সুপার লীগে এগিয়ে থাকতে হলে প্রতিটা ম্যাচ জিতে পয়েন্টের ভান্ডার সমৃদ্ধ করাটা জরুরি।
অন্যদিকে ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের শক্তি বাড়াতে জিম্বাবুয়ের একাদশে আসতে পারে সিকান্দার রাজা। এর বাইরে প্রথম ম্যাচে খেলা একাদশে স্বাগতিক দলের আর কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
জিম্বাবুয়ে সফরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাফল্য শতভাগ। একমাত্র টেস্টে ২২০ রানের জয়ের পর বিদেশের মাটিতে ওডিআইতে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানে পাওয়া হয়ে গেছে। বিপর্যয়ের মধ্যে লিটন কুমার দাসের সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে প্রথম ওডিআইতে ১৫৫ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে টাইগাররা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
তবে, হারারের স্পোর্টস গ্রাউন্ডে রোববার বেলা দেড়টায় শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে টানা দুই জয়ে পাওয়া আত্মবিশ্বাস। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগলে জিম্বাবুয়ে দল সেই সুযোগে ঘুরে দাঁড়াবে নিঃসন্দেহে। মূলত জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা ঠিকমতো নিজেদের মেলে ধরতে পারলে টাইগারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
হ্যাঁ সিরিজের স্বাগতিক দলের ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭৪ রানে বাংলাদেশ দলের চারটি উইকেটের পতন ঘটে। জিম্বাবুয়ের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে শুরুতে সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। বিশেষ করে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাতে ব্যর্থতা ছিল লক্ষ্যণীয়। অমন বিপর্যয়ে ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে লিটন কুমার দাস শতরানের ইনিংস খেলতে না পারলে ২৭৬ রানের সংগ্রহটা হতো না। লিটনের সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৯৩ রানের জুটিটা ছিল অসাধারণ। লিটন-মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে বিপদ সামলে ওঠার পর তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ব্যাটে ঝড় তোলার সময়ে পেয়েছিলেন আরেক তরুণ ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজকে।
অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রথম ম্যাচে সাফল্যের জন্য তরুণদের অবদানের প্রশংসার পাশাপাশি দ্বিতীয় সাফল্যের জন্য তাদেরকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তামিমের মতে, সেঞ্চুরি আর হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে কথা বলা সহজ। কিন্তু তরুণদের অবদান খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ দলের সাফল্যের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট শুরুর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারছেন না।
জিম্বাবুয়ে দলের ব্যর্থতার পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে লিটন কুমার দাসও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন একমাত্র টেস্ট এবং প্রথম ওডিআই ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে স্পষ্ট যে, চাপের মুখে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না জিম্বাবুয়ের বোলিং ডিপার্টমেন্ট। দুই স্পিনার ওয়েসলে মাধভেরে ও রায়ান বার্ল প্রথম ওডিআইতে ১১ ওভারে ৬৮ রান খরচ করেন। মূলত তখনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় স্বাগতিকরা। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেটের পতন ঘটানোর ব্যর্থতার খেসারত দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
স্বাগতিক দলের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর বোলারদের বিষয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন। তিনি চাইছেন ব্যাটাররা ভালো করুক। নাহলে, রোববারের ম্যাচেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে টেইলরের উদ্বিগ্ন না হওয়ার মূল কারণ দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাতারার ফর্ম। নতুন বলে মুজারাবানি টেস্টে যেমন সাফল্য পেয়েছিলেন, তেমনি প্রথম ওডিআইতে টাইগারতের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের দুই প্রধান স্তম্ভ তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে দলকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিলেন।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, জিম্বাবুয়ের বোলাররা মাঝের ওভারগুলোতে সাফল্য পাওয়ার ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের অবস্থা তার চেয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে। প্রথম ওডিআইতে শুরুতে দুটো উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ব্রেন্ডন টেইলর বও ডিওন মায়ার্সের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। রেগিস চাকাভা ৫১ বলে ৫৪ রানের ছোটোখাটো একটা ঝড় তুললেও বাকি ব্যাটাররা সাকিবের মোকাবিলায় ছিলেন অসহায়। প্রথম ম্যাচে মাত্র ২৮.৫ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের সিরিজে টিকে থাকতে হলে ব্যাটারদের ভালো করার ওপর জোর দিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক টেইলর।
বাংলাদেশ দলের এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার মিশনের আগে দুসংবাদ হয়ে এসেছে লিটন কুমার দাসের ইনজুরি। প্রথম ম্যাচে খেলার সময়ে কব্জিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার মতো ফিটনেস না থাকলে তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা হতে পারে নুরুল হাসানের। অন্যথায় উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনবে না বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা, আইসিসি ওডিআই সুপার লীগে এগিয়ে থাকতে হলে প্রতিটা ম্যাচ জিতে পয়েন্টের ভান্ডার সমৃদ্ধ করাটা জরুরি।
অন্যদিকে ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের শক্তি বাড়াতে জিম্বাবুয়ের একাদশে আসতে পারে সিকান্দার রাজা। এর বাইরে প্রথম ম্যাচে খেলা একাদশে স্বাগতিক দলের আর কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।